Thursday, 23 January 2020

দাজ্জাল প্রকাশ পাওয়ার পর যে যুবককে হত্য করবে তার জন্ম হয়ে গেছে কি ? কখন দাজ্জালের প্রকাশ ঘটবে ?

প্রশ্নঃ দাজ্জাল প্রকাশ পাবার পর যে যুবক কে হত্যা করবেন, তার জন্ম হয়ে গেছে, ২০০৪ সালে। তাহলে কি করে দাজ্জাল অনেক পরে আসবে?


উত্তরঃ বন্ধুরা আমিও জানি আর আপনারাও জানেন যে, এই ধরনের একটি তথ্য সম্প্রতি সময়ে খুব আলোচনায় রয়েছে।



সুত্রঃ একটি ভিডিও তে একজন আলেম তা প্রকাশ করেছেন।


ঘটনাঃ একটি শিশু বলেছিলো, যে সে সেই ব্যক্তি, যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে। আর স্কলার, মুফতি সহ অনেক গবেষক রিসার্চ করে বলেছেন ঐ শিশুই সেই হাদিছের বর্নিত যুবক হবেন।

[YouTube]

ফায়ছালাঃ

ঐ শিশুই যদি হাদিছে বর্নিত যুবক হয়,
আর ২০০৪ সালে যদি জন্ম হয় তাহলে, ১৮-২০ বছর পর, তাকে হত্যা করা হলে, তখন ২০২২-২০২৪ সাল হবে।

আর ছহিহ হাদিছ বলে,
ফুরাত নদীর পানি শুকিয়ে, যাবে, অতপর,
সোনার পাহাড় প্রকাশ পাবে। তার ৬ বছরের মাথায় ইমাম মাহদির প্রকাশ ঘটবে এবং ক্ষমতায় বসবেন।

আর মুফতি ও অগনিত সাধারন মানুষদের মুফতিদের
কথা অনুযায়ি,,
মাহদির শাষনের সপ্তম বছরে,দাজ্জালের প্রকাশ ঘটবে।

আর Global Watar Form এর একটি রিসার্চ অনুযায়ি বলা হয়েছে, ফুরাত নদির পানি শুকাতে,এখনো ৩-৪ বছর লাগবে।

তাহলে, ২০২২-২০২৩ সালে হয়তো সোনার পাহাড় উন্মুক্ত হবে।
তবে,
আবু হুরায়রা(রাঃ) এর হাদিছ বলছে,
চতুর্থ ফিৎনা সিরিয়ার ফিৎনা।
যা ১২ বছর চলবে।
তার শেষ মাথায় ফুরাতের ধনভান্ডার প্রকাশিত হবে।,

যদি সিরিয়ার বর্তমান ফিৎনাই ৪র্থ ফিৎনা হয় তাহলে তা ২০১১ সাল থেকে চলছে।
১২ বছর চললে হবে ২০২৩ সাল।
তাহলে ২০২৩ সালেই এই ফুরাতের ধনভান্ডার প্রকাশ হবে ইংশাআল্লাহ!

*************-****************

তার ৬ বছর পর মাহদির প্রকাশ হবে
২০২৮ থেকে ২৯ এর দিকে।
( যদিও ইমাম মাহদির ২৮ সালে প্রকাশের ১২ টি হাদিছের প্রমান রয়েছে)

আর অধিকাংশের কথা অনুযায়ি,মাহদির
৭ বছরের মাথায়, দাজ্জালের আগমন হবে।

(যদিও ছহিহ হাদিছ বলে, মাহদি ও দাজ্জালের মধ্যে রয়েছে, বিরাট দুরত্ব... তার প্রমান পেতে হলে,
আমার পোষ্ট ""

**ইমাম মাহদি ও ইছা (আঃ) একই সময়ে আসবেননা"" দেখুন।)
****-******************************

তাহলে, ২০২৮-২৯ সালে মাহদির প্রকাশ এবং তার ৭ বছর পর যদি দাজ্জাল আসে, তখন হবে,
২০৩৫ বা ২০৩৬ সাল।

তাহলে ঐ সময়, এই ২০০৪ সালে জন্ম নেয়া,শিশুটির বয়স হবে
৩১ থেকে ৩২ বছর।
আর আমরা এটাও জানি,, , মাহদির শাষনের ৭ ম বছর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের কথা রয়েছে, এবং হাদিছ বলছে , তাহলে মাহদির শাষনের অস্টম-নবম বছরে দাজ্জাল বের হবে। সুত্রানুযায়ী।

তাহলে তখন ঐ যুবকের বয়স হবে ৩৫-৩৬ বছর।

আর হাদিছ বলে ১৮-২০ বছর হতে হবে।

তাহলে বোঝা গেলো ঘটনাটা ভুল।

যদিও হাদিছ টির কোনই নির্ভরযোগ্য সনদ নেই।

তাহলে আমরা বুঝলাম,

ঐ যুবক হাদিছের সেই যুবক নয়।

আশা করি সবাই উত্তরটা পেয়েছেন।

ইনশাআল্লাহ।


দাজ্জাল ও ইছা (আঃ) সম্পর্কে আস -শাহরানের ভবিষ্যৎ বাণীর কবিতা আগামী কথনে যা বলা আছে।



[{( আমরা অচিরেই সত্য সহ আসছি)}]
( আল্লাহ ভরসা)
** ভবিৎষতদ্বানির কবিতা**

★আগামী কথন★
লেখক--** আস-শাহরান**

দাজ্জালের প্রকাশ ঘটবে কতসালে? 

প্যারাঃ (৭৬)
★ষাটের শেষে দাজ্জাল এসে,
দিবে বিশ্বে হানা,,,।
আল্লাহর রছুল (ছা) বলে গিয়েছেন
তার থাকবে এক চোখ কানা।

**ব্যাক্ষাঃ সেই ভয়ংকর ফিতনা "" দাজ্জাল"".. *আস-শাহরান **এর ভবিৎষত দ্বানী,,, ২০৬০ সালের শেষের দিকে,,, দাজ্জালের আগমন ঘটবে। আল্লাহর রছুল (ছাঃ) বলেছেন,,, দাজ্জালের ১ চোখ কানা হবে। কপালে "কাফির" লেখা থাকবে।

(দাজ্জালের ব্যাপারে মোটামুটি সবাই জানি,তাই হাদিছ উল্লেখ করা হলো না)

প্যারাঃ (৭৭)
★মহা মিথ্যুক দাজ্জাল তখন,
করিবে রবের দাবি।
যে জন,করিবে অ-স্বিকার তাকে,
সেই হইবে কামিয়াবি।

**ব্যাক্ষাঃ দাজ্জাল প্রকাশ পেয়ে নিজেকে রব/ সৃষ্টিকর্তা বলে দাবি করবে। তখন,যারা দাজ্জাল কে অ-স্বিকার করবে,তারাই সফলকাম হবে এবং যারা তাকে মেনে নিবে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

প্যারাঃ (৭৮)
★দাজ্জাল সেনাদের তান্ডব লিলায়,
ঘটিবে বিশ্বে বিপর্যয়।
জাহজাহ চাইবেন সবার জন্য
রবের রহতমের আশ্রয়।

**ব্যাক্ষাঃ যখন, দাজ্জাল ও তার অনুসারি সন্যরা পৃথিবি তে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে,, তখন বাদশা জাহজাহ আল্লাহর রহমতের আশ্রয় চাইবেন।

প্যারাঃ (৭৯)
★ সাদা গম্বুজের দামেস্ক মসজিদে
জাহজাহ করিবেন ইমামত,
বাষট্টি সালে " গম্বুজের উপর
রব পাঠাইবেন রহমত।

**ব্যাক্ষাঃ এখানে লেখক বলেছেন যে,, জাহজাহ যে মসজিদে ইমামতি করবেন সেটার রং হবে,, সাদা। গম্বুজ বিসিষ্ট।
আর ২০৬২ সালে রব ঐ দামেস্কের মসজিদের সাদা মিনারে রহমত সরূপ কিছু পাঠাইবেন।

প্যারাঃ (৮০)
★আছরের সময় দেখবে সবাই,
হযরত ঈছা (আঃ) এর আগমন।
সাদা পোষাকে নামিবেন তিনি
দু* পাশে ফিরিস্তা দুজন।

*ব্যাক্ষাঃ আল্লাহু আকবার।
লেখক জানিয়েছন, ২০৬২ সালে দামেস্কের সাদা মসজিদে আছরের ছলাতের সময় গম্বুজের উপর সাদা পোষাক পরিহিত অবস্থায়, দুই ফিরিস্তার কাধে ভর করে হযরত ঈছা (আ) আসমান থেকে নামবেন। ঐ মসজিদেরই ইমাম হলেন "জাহজাহ"! তিনি ঐ সময় ইমামতির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবেন।

প্যারাঃ(৮১)
★ইমাম জাহজাহ যানাইবেন তাকে,
ছলাতে ইমামতির আহ্বাবান।
হযরত ঈছা (আঃ) বলবেন তাকে,
এ তো আপনারই সম্মান।

**ব্যাক্ষাঃ একটি চিরাচরিত হাদিছ,,,

***যখন গম্বুজের উপর ঈছা (আঃ) নামবেন তখন,
মুসলমানদের আমির** ঈছা (আঃ) কে বলবেন,"" আসুন ছলাতের ইমামতি করুন"
তখন ঈছাঃ বলবেন,, না বরং আপনাদের আমির তো আপনাদের মধ্যেই।"""""।

** সারা বিশ্বের মুসলমানেরা ধরে নিয়েছে যে,,,, সেই ইমাম হবেন,,
**ইমাম মাহদী '*** তার পিছনেই ঈছা (আঃ) ছলাত আদায় করবেন।

কিন্তু কোথাও ইমাম মাহদির নাম বলা হয়নি। বরং বলা আছে,,,"
"** মুসলমানদেে আমির"***...
তাই হতেই পারে যে,,সেই আমির হলেন,,, ইমাম জাহজাহ।।
# অ-স্বিকার করা যায় না।
( আল্লাহই ভালো জানেন)

প্যারাঃ (৮২)
★ যুলফিকর হাতে "লুদ্দ" এর ফটকে,
ঈছা (আঃ) তখন--
হত্যা করিবেন,কানা দাজ্জালকে
করিয়া আক্রমন।

**ব্যাক্ষাঃ আসমান থেকে নামার পর,, ২০৬২ সালে ""লুদ্দ নামক শহরের ১ম ফটক বা গেইটের সামনে হযরত ঈছা ( আঃ), দাজ্জাল কে যুলফিকর তরবারি দাড়া কতল করবেন।
( যুলফিকর তরবারি হলো মুহাম্মাদ (ছাঃ),এর তরবারি। যা জামিল হাতে পাবে ভন্ড ঈছা কে হত্যা করার জন্য। অতপর, হযরত ঈছা( আঃ) কাছে পৌঁছে দিবে,,দাজ্জাল কে হত্যা করার জন্য)

প্যারাঃ (৮৩)
★ক্ষমতা হস্তান্তর করিবেন জাহজাহ,
ঈছা (আঃ) করিবেন শাষন।
রবের রহমতে দ্বিতিয় আগমনে,
তিনি পাইবেন উচ্চ আসন।

**ব্যাক্ষাঃ ইছা ( আঃ) এর আগমনের পর ইমাম জাহজাহ বিশ্ব শাষন ভার তার হাতে তুলে দিবেন। তখন,ঈছা (আঃ) ইসলামী শরিয়াত অনুযায়ি বিশ্বশাষন করতে থাকবে।


(( আল্লাহ আলিম))

ধন্যবাদ সবাই কে।

আছছালামু আলাইকুম।

No comments:

Post a Comment