Monday, 3 February 2020

ইমাম মাহমুদ, সাহেবে কিরান ও ইমাম মাহদীর আগমন যেন ইতিহাসের ঘটনার সাথে মিলে যাবে। ইসা (আঃ) এর আগমনের সময় যে ঘটনা ঘটেছিল।

সবাই ইমাম মাহদী কে নিয়ে পড়ে আছি!
কিন্তু আমাদের ইতিহাস থেকেও শিক্ষা গ্রহন করা জরুরি।


♦ইতিহাসের একটি ঘটনার সাথে মিলে যাবে,
মাহমুদ ও মাহদীর আগমন। প্রসঙ্গ নিম্নরুপঃ

ইমাম আল মাহদী
কিন্তু আপনারা যারা এখন শুধুমাত্র মাহদী, মাহদী করে ব্যাস্ত, তাদের ব্যাস্ততা বাড়াতেই আমার এই লেখনী!
----------------------------------

উল্লেখ্য যোগ্য একটি ঘটনা বর্ননা করছিঃ
★"যখন ইহুদি সম্প্রদায় ইছা মাছিহ (আঃ) এর আগমনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলো, তখন সবাই কিছু হিসাব যোগ করলো বা মাছিহ আসার দিনক্ষন তারা গবেষনা করলো পুথি রিসার্চ করে।(যেমন আমরা এখন মাহদির আসার দিনক্ষন রিসার্চ করি)
তারা রিসার্চ করে ফলাফল পেলো যে সেই বছরই হযরত ইছা মাছিহ (আঃ) প্রকাশ পাবে,যে বছর হযরত ইমরান( আঃ) এর বিবি গর্ভবতী ছিলেন।

★সবাই ধারনা করলেন, এই ইমরান নবীর ঘড়েই হয়তো ইছা নবী আসতে চলেছেন। যিনি ইহুদি সম্প্রদায় কে পরিত্রাণ দিবেন।
(যেমন আমরা ধারনা করছি,২-৩ বছরের মধ্যেই মাহদী চলে আসবে--- যিনি আমাদের মুসলিম উম্মাহর পরিত্রাণের উছিলা হবেন)

★ তারা সবাই ইছা (আঃ) এর জন্য অপেক্ষায় থাকার পর ইমরান নবীর ঘড়ে জন্ম হলো
"সতী নারী মা মরিয়ম"এর।
(যেমন আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকার পর,দেখতে পাবো ইমাম মাহদী না এসে অন্য কেউ এসেছে)

★সবার মন ভেঙ্গে গেলো। তারা নিরাশ হলো।
(আমাদেরও মন ভেঙ্গে যাবে,নিরাশ হবো,যখন সামনের ২-৩ বছরেও মাহদী আসবেননা)
★ তারও অনেক বছর পর, যখন মা মরিয়াম বড় হলেন,তার গর্ভে জন্ম নিলেন, হযরত ইছা (আঃ)..
(হয়তো আমাদের সময়ো অনেক পড় আসতে চলেছেন মাহদী,)
★ যখন ইছা আঃ এর জন্ম হলো তখন তাকে নিয়ে কোন ধারনাই ছিলো না।
(আমাদের মাহদীর ক্ষেত্রেও তাই হবে)
★ এমন কি সেই সময়ের মুফতি মুহাদ্দিস, স্কলারগন, সাধারন মানুষকে বলেছিলেন, ইছা আঃ আসলে আগে আমরাই জানতে পাবো। কিন্তু সেই আলেমগনই ইছা আঃ কে অবৈধ সন্তান বলে আক্ষ্যায়িত করেছিলেন।(নাউযুবিল্লাহ)
(যেমনঃ আমাদের সময়েও মাহমুদ আসলে তাকেও,মাহদী আসলে তাকেও প্রথমত সবাই মানতে চাইবে না)
★কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটাই সত্য যে, আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী!
__________________________________________
__________________________________________

উক্ত ইতিহাসটি বর্তমানের সাথে সামজ্ঞস্বপুর্ন।
এবার চলুন, হাদিছ থেকে প্রমান করা যাক, মাহদির পুর্বেই মাহমুদ ও সাহেবে কিরান নামের ২ জন আল্লাহর বান্দার আগমন হবে।
যদিও ইতিপুর্বে ২ টি হাদিছ ও ক্বাসিদাহ ও আগামী কথন কে আমি দলিল হিসেবে পেশ করেছি, তবে অনেক প্রচেষ্টার ফলে আরো একটি দলিল আমি জোগার করতে সক্ষম হয়েছি, (আলহামদুলিল্লাহ)
আপনাদের কে আরো একটি হাদিছ বর্ননা করি,যা ইতপুর্বে বর্ননা করিনিঃ
♦হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রছুল (ছঃ)- বলেছেন,শেষ জামানায় "ইমাম মাহমুদ" ও তার বন্ধু "সাহেবে কিরান বারাহর" প্রকাশ ঘটবে।আর তাদের মাধ্যমে মুসলমানদের বড় বিজয় আসবে।আর তা যেন মাহদীর আগমনের সময়।
।(কিতাবুল ফিরদাউস, ৮৭২)
আলহামদুলিল্লাহ।।

♥ হাদিছের ব্যাক্ষাঃ হাদিছ টি পড়ে দেখুন,বলা হচ্ছে, মাহদির পূর্বে মাহমুদ ও তার বন্ধু সাহেবে কিরান বারাহ, প্রকাশ পাবেন,।
বিশেষ উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, তারা শেষ জামানায় আসবে এবং তাদের মাধ্যমে মুসলমানদের বড় বিজয় হবে।
এখন আপনাদের কাছে প্রশ্নঃ

♦রছুলউল্লাহ (ছাঃ)- কর্তৃক শেষ জামানায় মুসলমানদের কয়টি বড় বিজয় আসবে বলেছেন??
আপনারা নিশ্চই বলবেন, ২ টি বড় বিজয়।
যদি প্রশ্ন করি কোন কোন বিজয়,তাহলে নিশ্চই বলবেন,
(১) গাজোয়াতুল হিন্দ।
এবং
(২)দাজ্জালের সাথে যুদ্ধ।
আর আমরা জানি, দাজ্জালের বিরুদ্ধে বড় বিজয়ে সেনাপতি হবেন, হযরত ইছা (আঃ).
আর তাহলে এই ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান বারাহ কোন বড় বিজয়ে সেনাপতি হবেন?
উত্তর দেবার মত অপশন তো বাকি একটাই।
♥ গাজোয়াতুল হিন্দ♥।


চলুন,বাকি হাদিছ গুলো এক নজরে দেখে নেইঃ

♦হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)- থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আখেরী জামানায়, ইমাম মাহদী র পূর্বে ইমাম মাহমুদ-এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে। তার যামানায় মহাযুদ্ধের বজ্রাঘাতে বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে,এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে।
সে তার সহচর বন্ধ" সাহেবে কিরান বারাহ "কে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালোনা করবে-যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে।
তোমরা তাদের পেলে যানবে,ইমাম মাহদীর প্রকাশের সময় হয়েছে।
(আসরে যুহরি,১৮৭ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ২৩৩ পৃঃ
ইলমে তাছাউফঃ ১৩০ পৃঃ
ইলমে রাজেনঃ ৩১৩ পৃঃ
বিহারুল আনোয়ারঃ ১১৭ পৃঃ)
উক্ত হাদিছ টি এই পাচটি গ্রন্থে উল্লেখ্য রয়েছে।
অধিকাংশ মুহাদ্দিছগন ব্যক্ত করেছেন,উক্ত হাদিছটি ছহিহ, কেউ কেউ বলেছেন,হাসান।)

♦আবু বছির (রঃ) বলেন, যাফর সাদিক (রঃ) বলেছেন,
মাহদীর আগমনের পূর্বে, এমন একজন খলিফার আবির্ভাব ঘটবে, যিনি হবেন, মাতার দিক থেকে কাহতানি এবং পিতার দিক থেকে কুরাঈশী। তার নাম মাহদীর নামের সাথে কিছুটা সাদৃশ্যমান হবে এবং তার পিতার নামও কিছুটা মাহদীর পিতার নামের সাদৃশ্যমান হবে।
(ইলমে তাছাউফ ঃ ১২৮ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ ২৩২ পৃঃ)
(মাহদির নামের মত নাম মাহমুদ)
♦===========♥===========♦
বন্ধুরা, আমরা সবাই জানি গাজোয়াতুল হিন্দের সেনাপতিত্ব করবেন "হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান"
যা আমি পুর্বেও বারবার প্রমান করেছি]
[ তথ্যঃ হাদিছ, ক্ক্বাসিদাহ এবং আগামী কথন ]

____^______^______^_______^______

আর সাহেবে কিরান এবং হাবিবুল্লাহ (ইমাম মাহমুদ)
তারা হলেন দুজন আল্লাহর মননীত বান্দা! পরষ্পর প্রিয় বন্ধু!
যেমনঃ হযরত মুছা( আঃ) ও হযরত হারুন (আঃ).।
______^______^_______^______^______

♦তাহলে উক্ত হাদিছগুলো আমাদের ৩ টি শিক্ষা দেয়।
(১) মাহদীর পূর্বে মাহমুদ ও সাহেবে কিরানের প্রকাশ হবে।
(২) ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান প্রকাশ পেলে জানতে হবে ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ খুবই নিকটে।
(৩) তাদের মাধ্যমে মুসলমানদের বড় বিজয়(গাজোয়াতুল হিন্দে বিজয়) আসবে।
_________ধন্যবাদ_________