Sunday, 2 February 2020

খোরাসান থেকে কালো পতাকা বাহী বাহিনী কারা ? কবে তাদের উত্থান হবে ? কার নেতৃত্বে তারা অগ্রসর হবে ? তাদের উদ্দেশ্য কি হবে ? তাদের জন্য আমাদের কি করতে হবে ?

♥কালো পতাকাধারী দের সাথে শুয়াইব ইবনে ছালেহ এর সম্পর্ক কি ?
♥কালো পতাকাধারী সৈন্যদের সাথে ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান বারাহ"-এর সম্পর্ক কি?
♥কালো পতাকাধারী সৈন্যদের সাথে মানসুর ইয়েমেনির সম্পর্ক কী ?


এই সকল তথ্য সহ যাবতীয় তথ্য জানতে হলে পড়তে থাকুনঃ
*****************************************
♥খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রতিটি সচেতন মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কারন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে কঠিন ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাদের সাথে যোগ দিবে। অর্থাৎ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে যুক্ত হওয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। তাই সচেতন মুসলমানদের জন্য খোরাসানের বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা বাধ্যতামূলক। কারন, এই দলটির মধ্য থেকেই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে।

⚫খোরাসান কোথায় অবস্থিত? 

_____________________________________________
♦মূলত রাসুল (সাঃ) এর যুগে বৃহত্তর খোরাসান বলতে এর সীমানা নিম্ন লিখিত ভূখণ্ডের সমষ্টিকে বুঝায়, যার মূল কেন্দ্র হচ্ছে বর্তমান আফগানিস্তান। বিস্তৃতি নিম্নরূপঃ
“উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তান (হেরাত, বালখ, কাবুল, গাজনি, কান্দাহার দিয়ে বিস্তৃত),
উত্তর ও দক্ষিন-পূর্ব উজবেকিস্তান (সামারকান্দ, বুখারা, সেহরিসাবজ, আমু নদী ও সীর নদীর মধ্যাঞ্চল দিয়ে বিস্তৃত),
উত্তর-পূর্ব ইরান (নিশাপুর, তুশ, মাসহাদ, গুরগান, দামাঘান দিয়ে বিস্তৃত),
দক্ষিন তুর্কমেনিস্তান (মেরি প্রদেশ – মার্ভ, সানজান), দক্ষিন কাজিকিস্তান, উত্তর ও পশ্চিম পাকিস্তান (মালাকান্দ, সোয়াত, দীর ও চিত্রাল),
উত্তর পশ্চিম তাজিকিস্তান (সুগ্ধ প্রদেশের খোজান্দ, পাঞ্জাকেন্ত দিয়ে বিস্তৃত)”।

⚫খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎবাণীঃ ___________________________________________

*♦ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।
(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)

*♦হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।
(মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)

*♦“পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)

*♦"যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।
(মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)

*♦ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।
(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

*♦“শেষ পর্যন্ত আল্লাহ পাক পূর্বদিক থেকে কালো পতাকাবাহী লোকদেরকে পাঠাবেন। যারা ঐ কালো পতাকাবাহী লোকদেরকে সাহায্য করল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে সাহায্য করবেন। যে তাকে ছেড়ে দিল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে ছেড়ে দেবেন। তারপর ঐ কালো পতাকাবাহী দল এমন এক ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) এর কাছে আসবে – যার নাম আমার নামের মতো হবে। তারা ঐ ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) এর উপর শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সোপর্দ করবে। সুতরাং, আল্লাহ তায়ালাও তাদেরকে সহযোগিতা করবেন”।
(আলফিতান, নুয়া’ইম ইবনে হাম্মাদঃ ৮৬০)

*♦“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)

*♦হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী করীম (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেন, “ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।
(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ শাফেয়ী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

*♦হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)

⚫খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনীর প্রকাশ কখন হবে?

_____________________________________________
*♦ হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন বাদশাহের সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাকী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি (সাঃ) আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন, “তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”।
(সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
*♦ হযরত ইবনুল হানাফিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, খোরাসান থেকে কালো ঝান্ডাবাহী দল এবং শুয়াইব ইবনে সালেহ ও মাহদীর আত্নপ্রকাশ এবং মাহদীর হাতে ক্ষমতা আসা বাহাত্তর মাসের (৬ বছরের) মধ্যেই সংঘটিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৪ ]

⚫কোন এলাকার মানুষ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনীর সহযোগী হবে? 

_____________________________________________
♦ "দরিদ্র পীরিত তালোকান অঞ্চল(আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল) সেখানে স্বর্ন, রৌপ্যের খনি নেই কিন্তু আল্লাহ্‌র রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ। তারাই আল্লাহর রহমত দ্বারা স্বীকৃত, শেষ জমানায় তারাই হবে ইমাম মাহদীর সহযোগী "।
(লেখকঃ আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান)

⚫খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনীর যোদ্ধার সংখ্যা কত হবে? 

_____________________________________________
*♦ হযরত হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আর্যদের পিতল বর্নের চাঁর ব্যাক্তি বনি তামিম গোত্রের অভিমুখে বের হবেন। তাদের মধ্যে একজন হবেন হাঙর মাছের মত, যার নাম হবে শুয়াইব ইবনে সালেহ। তার সাথে ৪০০০ সৈন্য থাকবে। তাদের পোশাক হবে সাদা, আর তাদের পতাকা হবে কালো। তারা ইমাম মাহদীর অগ্রগামী অনুগত সৈন্য হবে এমনকি তারা তাদের শত্রুদের পরাজিত না করে মাহদীর সাথে সাথে সাক্ষাৎ করবে না।
( আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৯৭)

*♦ হযরত যামরা ইবনে হাবীব (রহঃ) ও তার শাইখদের থেকে বর্ণিত তারা বলেন, সুফইয়ানী তার অশ্বারোহী বাহিনী ও সৈন্যদল প্রেরণ করবে। তারা খোরাসানের আম্মাতুশ শিরকে (ইরানের ইসফাহান শহর) ও পারস্য (ইরানের) ভুমিতে পৌছবে। অতপর পূর্বাঞ্চলের (ইরানের) অধিবাসীরা তাদের সাথে বিদ্রোহ করবে। ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। আর তাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় অনেক যুদ্ধ হবে। যখন তাদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহ দীর্ঘস্থায়ী হবে তখন বনু হাশেমের এক ব্যক্তির নিকট বাইয়াত গ্রহন করবে। আর সে সেদিন পূর্বাঞ্চলের একেবারে শেষে থাকবে। অতপর সে খোরাসানবাসীদের নিয়ে বের হবে। উক্ত দলের সম্মুখে থাকবে বনু তামিমের আযাদকৃত গোলাম (শুয়াইব ইবনে সালেহ)। সে হবে হলুদ বর্ণের, পাতলা দাড়ি ওয়ালা। পাঁচ হাজারের (সৈন্য নিয়ে) মধ্যে তার দিকে বের হবে।
(কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস নং - ৯১৫)

এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, খোরাসানের মূল বাহিনী বের হওয়ার পূর্বেই খোরাসান থেকে কিছু যোদ্ধারা ইরানের ভূখণ্ডে তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে, তারপর শুয়াইব ইবনে সালেহ এর নেতৃত্বে ৪/৫ হাজার সৈন্য নিয়ে ইরানের ফার্স শহরের ইস্তাখর নামক ঐতিহাসিক স্থানে সুফিয়ানী বাহিনীর সাথে ভয়ংকর যুদ্ধে লিপ্ত হবে। আর এই যুদ্ধেকেই আহওয়াজের যুদ্ধ বলা হয়েছে। তবে শুয়াইব ইবনে সালেহ যখন ৪/৫ হাজার সৈন্য নিয়ে ইরানের দিকে রওনা দিবে তার সাথে আরো কয়েকটি ছোট ছোট দলও থাকবে।

♦খোরাসানের সেনাদলের নেতৃত্বদদান করবেন "ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ" ?

_______________________________________
বন্ধুরা,
আজকে আমি প্রমান করবো যে, সেই বীর যোদ্ধা দের কালো পতাকাবাহি দল,যারা ইমাম মাহদির খেলাফত কে সহজ করতে, তাকে সমর্থন করতে এবং তার সৈন্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় গড়তে, জান্নাতের অধিবাসী হতে যে কালো পতাকাধারী দল খোরাসান থেকে বের হবে, তাদের মুল নেতা হবেন
ইমাম আল মাহমুদ(হাবিবুল্লাহ)...
এবং সেই সাথে আরও প্রমান করবো,
আগামী কথন এর সত্যতা।

♦আগামী কথন♦
লেখকঃ "আস-শাহরান"

প্যারাঃ((৫৪))
*কালো পতাকাধারী মাহমুদ সেনারা,
মাহদির হাতে নিবে শপথ".
আরবে করিবে ঘোড়তরো রনো,
অতঃপর আনিবে আলোর পথ।

ব্যক্ষাঃ এই পর্বে বলা আছো কালো পতাকাধারি সেনারা মুলত ইমাম মাহমুদ এর সেনারা হবেন। তারপর তারা ইমাম মাহদির কাছে বাইয়াত নিয়ে ইমাম মাহদির সৈনিক হয়ে যাবে।

এখন প্রমান করবো যে, কিভাবে ইমাম মাহমুদ (হাবিবুল্লাহ) খোরাসানের সেনাদলের নেতা হবেন।
(, যারা আমার পুর্বের পোষ্ট গুলো পড়েন নি, তাদের বুঝতে কষ্ট হবে,তাই পড়ে নিলে আর কোনো ঝামেলা হবেনা ইংশাল্লাহ)

♦যেভাবে ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ খোরাসানের সৈন্যদের প্রধান হবেনঃ

আমি ইতপুর্বে বারবার হাদিছ দিয়ে প্রমান করেছি যে, ইমাম মাহমুদ(হাবিবুল্লাহ) ও তার বন্ধু/সহচর "শামীম বারাহ (সাহেবে কিরান)-এর নেতৃত্বে গাজোয়াতুল হিন্দ হবে ইংশাল্লাহ।
আর এই গাজোয়াতুল হিন্দের জন্য ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হবেন এবং জিহাদের ডাক দিবেন।
যখনি তারা তাদের সৈন্যদের নিয়ে জিহাদের ময়দানে ঝাপিয়ে পরবেন, তখনি ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মুসলিম জনতা বুঝতে পারবেন যে, এটাই সেই চিরো অপেক্ষিত জিহাদ গাজোয়াতুল হিন্দ।
যে যুদ্ধে অংশ নিতে পারলেই সফলতা।
বদরের যোদ্ধা দের সমপরিমান মর্যাদা,
জাহান্নামেরর আগুন থেকে মুক্তির ওয়াদা,
তখনি শত শত মুসলিম দলে দলে এসে ইমাম মাহমুদ এর কাছে বাইয়াত নিবে।
তখন তারা সবাই হয়ে যাবে
♥ইমাম মাহমুদ এর সৈনিক♥
তারপর তারা গাজোয়াতুল হিন্দের জিহাদ চালিয়ে যাবে।

ইতমধ্যে আমরা সবাই কমবেশি জানি যে,
গাজোয়াতুল হিন্দের জিহাদে মুসলমানদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে দুইটি রাষ্ট্র।
(১)ইরান ও (২) আফগানিস্থান।
আর খোরাসান বলতে বোঝায় মুলত আফগানের একটা বড় অংশ।
তো সে সুত্রানুসারে আফগানের খোরাসানের সৈন্যরা গাজোয়াতুল হিন্দ করতে আসবেন। সেটাই স্বাভাবিক।
আর যখনি তারা গাজোয়াতুল হিন্দ করতে আসবেন,তখনি তারা আল্লাহর খলিফা ইমাম মাহমুদ কে নেতা হিসেবে গ্রহন করবেন এবং তার কাছে বাইয়াত নিবেন।
তারপর একনিষ্ঠ ভাবে সবাই জিহাদে অংশ নিয়ে হিন্দুস্থান দখল করবেন।
এই সুত্রধরে, খোরাসানের কালো পতাকাধারী সৈন্যদের আমির বা নেতা হবেন ইমাম মাহমুদ(হাবিবুল্লাহ)

♦শুধুই কি ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ই এই কালো পতাকাধারী সেনাদের নেতৃত্ব দিবেন?? নাকি আরও কেউ???

কালোপতাকা ধারী সৈন্যদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতা নেতৃত্বদান করবেন।
তন্মদ্ধে উল্লেখযোগ্য হলো,,
শামীম বারাহ{সাহেবে কিরান}
(ইমাম মাহমুদ এর সহচর)
শুয়াইব ইবনে ছালিহ।
(ইমাম মাহদীর সহচর)
ইমাম মানসুর সহ আরও দুই একজন!!!!
পরবর্তি পর্বে,,, হাদিছ থেকে প্রমান করবো,, সবকিছু।ইংশাল্লাহ।
পরের পর্বে থাকবেঃ
♦কালো পতাকাধারী সৈন্যদের যাত্রা ♦
কখন কোন যুদ্ধটা কার নেতৃত্বে সম্পাদন করবেন তারা!!
সাথে থাকুন,
ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment