প্রথমেই চলুন,ইমাম মাহদী সম্পর্কিত হাদিছগুলো দেখে নেইঃ-
♦১,♦তুর্কি খিলাফত ধ্বংসঃ
-------------------------------------হযরত আবু কুবাইল (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন, খেলাফত ধ্বংশের ১০৪ বছরের মাথায়, মানুষ ইমাম মাহদির উপর ভির করবে।
ইবনে লাহইয়া বলেন, উক্ত খেলাফত ও হিসাবটি আজমী/ অনারবীয়।
[আল ফিতানঃ নুয়াইম বীন হাম্মদঃ -৯৬২]
*****************************************
এখন হাদিছ টি ফলো করুন।
বার বার পড়ে দেখুন!
দেখুন বলা আছে হিসাব টি আজমী।
অর্থাৎ, আরবীয় হিসাবের বাইরে।
_____________________________________________
এটাও জেনে রাখুন, এই হাদিছে চাদের নয় সুর্যের হিসাব হবে।
কেননা,
আরবীদের মধ্যেই প্রথম চন্দ্রের হিসাবে --হিজরী সন প্রবর্তন করা হয়।
আরবের বাইরে হিজরী সন ছিলোনা।
♦ কিন্তু আজমী হিসাব/ ইছাঈ সন বা খ্রীঃ সন হযরত ইছা (আঃ) এর থেকে।
তাহলে ইবনে লাহইয়া আমাদের বলে গেছেন,
হিজরী/ চন্দ্রের হিসাবে নয়,বরং
সৌরের হিসাবে করতে হবে।
তাহলে বোঝা গেলো,
উক্ত হিসাবটি সৌর হিসাবে করতে হবে।
==========================
★এখন দেখি সেটা কোন খেলাফত??
আমরা যদি দেখি, চার খলিফা, উমাইয়া খেলাফত,আব্বাসি খেলাফত, ফাতেমীয় খেলাফত সহ সকল খেলাফতই আরব দের দ্বাড়া সৃষ্ট।
কিন্তু একমাত্র, উসমানি খেলাফত/বা তুর্কি খেলাফত
আজমী বা অনারবীয়।
আর এই তুর্কি খেলাফত, আনুষ্ঠানিক ভাবে,
১৯২৪ সালে ধ্বংশ করা হয়।
তাহলে তার ১০৪ বছরের মাথায় মানুষ মাহদির উপর ভির করবে।
তথা,
১৯২৪+১০৪=২০২৮ সাল।
তাহলে জানা গেল ২০২৮ সালে মাহদি আসবেন।
যদিও চন্দের হিসাব টেনে এনে কিছু মুফতি ও মানুষগন,
একটা ছহিহ ও সাবলিল হিসাব কে কঠিন করে ভুল ব্যাক্ষা করছে।
অতএব,
ফায়ছালাঃ চন্দ্রের নয়, সুর্যের হিসাব হবে।
♦২, ♦১৫ ই শুক্রবার রাতে রমজান মাসে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবেঃ
------------------------------------------------------------------** ফিরোজ দায়লামি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে”।
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে’? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,“না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর সত্তর হাজার বধির হয়ে যাবে”।
(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)
সৌদি আরবের কেলেন্ডার অনুযায়ী ১৫ ই রমজান শুক্রবার হয়, ১৪৪৯ হিজরী বা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৮ সাল।
♦৩♦, রমজান মাস শুরু হবে শুক্রবারঃ
-----------------------------------------------------------------** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্নিত, তিনি বলেন, কোন এক রমজানে অনেক ভূমিকম্প হবে। যে বছর শুক্রবার রাতে রমজান মাস শুরু হয়। তারপর মধ্য রমজানে ফজরের নামাজের পর আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে। তখন তোমরা সবাই ঘরের দরজা, জানালা সব বন্ধ করে রাখবে। আর সবাই সোবহানাল কুদ্দুস, সোবহানাল কুদ্দুস, রাব্বুনাল কুদ্দুস তেলাওয়াত করবে।
[আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ, হাদিস নং - ৬৩৮]
সৌদি আরবের কেলেন্ডার অনুযায়ী, ১ রমজান শুক্রবার ১৪৪৯ হিজরী বা, ২৮ জানুয়ারি ২০২৮ সাল হয়।
(বিঃদ্রঃ হাদিস বড় হওয়ার কারনে সম্পূর্ণ হাদিস উল্লেখ করা হয়নি, তবে কিতাবুল ফিতানের হাদীসে শুক্রবার রমজান মাস শুরু হবে এরকম বর্ননা নেই)।
♦৪, ♦আশুরা বা, ১০ মুহাররম শনিবার হবেঃ
--------------------------------------------------------------** ইমাম বাকির (রহঃ) বলেন, যদি দেখ আশুরার দিন বা, ১০ মুহাররম শনিবার ইমাম কায়িম (মাহদী) আঃ মাকামে ইব্রাহিম ও কাবার এর মধ্যখানে দাড়িয়ে থাকেন তখন হযরত জিব্রাইল (আঃ) তার পাশেই দাড়িয়ে থাকবেন এবং মানুষকে ডাকবেন তাকে বাইয়াত দেয়ার জন্য।
(বিহারুল আনোয়ার, ভলিউম ৫২,পৃষ্ঠা - ২৭০)
(গাইবাত, লেখকঃ শাইখ আত তুসী, পৃষ্ঠা - ২৭৪)
(কাশফ উল গাম্মাহ, ভলিউম ৩,পৃষ্ঠা - ২৫২)
সৌদি আরবের কেলেন্ডার অনুযায়ী ১০ মুহাররম শনিবার ১৪৫০ হিজরী বা, ৩ জুন ২০২৮ সাল হয়।
♦৫,♦ইমাম মাহদীর নাম ধরে হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর আহ্বানঃ
------------------------------------------------------------------** হযরত আবু বাছির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু আব্দুল্লাহ আস সাদিক (হযরত জাফর সাদিক রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম? কখন আল কায়েম (ইমাম মাহদী) আবির্ভাব হবে? তিনি বললেন আহলে বাইতের (রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বংশধর) জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় (উল্লেখ) নেই। তবে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে ৫টি বিষয় ঘটবে। যেমনঃ ১,আকাশ থেকে আহ্বান। ২, সুফিয়ানীর উত্থান। ৩, খোরাসানের বাহিনীর আত্নপ্রকাশ। ৪, নিরপরাধ মানুষকে ব্যাপক হারে হত্যা করা। ৫, (বাইদার প্রান্তে) মরুভূমিতে একটি বিশাল বাহিনী ধ্বংসে যাবে।
ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা যাবে। ১, শ্বেত মৃত্যু। ২,লাল মৃত্যু। শ্বেত মৃত্যু (দুর্ভিক্ষের কারনে মৃত্যু) হল মহান মৃত্যু। আর লাল মৃত্যু হল তরবারি (যুদ্ধের) কারনে মৃত্যু। আর আকাশ থেকে তিনি (হযরত জিব্রাইল (আঃ) তার (ইমাম মাহদীর) নাম ধরে আহ্বান করবে ২৩ ই রমজান শুক্রবার রাতে। (হাদিস বড় হওয়ায় সম্পূর্ণ হাদিস উল্লেখ করা হয়নি)
( বিহারুল আনোয়ার, খন্ড - ৫২, পৃষ্ঠা - ১১৯, বিশারাতুল ইসলাম, পৃষ্ঠা - ১৫০, মুন্তাখাবুল আসার, পৃষ্ঠা - ৪২৫, মুজ'আম আল হাদিস আল ইমাম আল মাহদী, খন্ড - ৩, পৃষ্ঠা - ৪৭২)
সৌদি আরবের কেলেন্ডার অনুযায়ী ২২ রমজান শুক্রবার (যেহেতু আরবী মাস সন্ধ্যা থেকে হিসাব করতে হয়, তাই শুক্রবার রাত ২৩ ই রমজান হবে) রাত ১৪৪৯ হিজরী বা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৮ সাল হয়।
♦৬♦, রমজান মাসে চন্দ্র গ্রহন ও সূর্য গ্রহন হবেঃ
------------------------------------------------------------------** মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে আল হানাফিয়্যাহ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী থেকে দুটি বিষয় না ঘটবে, ততদিন পর্যন্ত মাহদী আগমন হবে না। প্রথমটি হল, রমজানের প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ ও মধ্য রমজানে সূর্য গ্রহন না ঘটে।
[ইমাম আল আলী বিন উমর আল দারাকতুনী]
এবং
[আল কাউলুল মুখতাসার ফি আলামাতিল মাহদী আল মুন্তাজার, লেখকঃ- ইবনে হাজার আল হাইতামী, পৃষ্ঠা-৪৭]
১ রমজান রবিবার ১৪৪৮ হিজরী বা, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৭ সালে সূর্য গ্রহন ঘটবে। এবং
১৪ রমজান শনিবার ১৪৪৮ হিজরী বা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৭ চন্দ্র গ্রহণ ঘটবে।
(সূত্রঃ Wikipedia)
বিঃদ্রঃ ২০২৬ সালেও রমজান মাসে দুই বার চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য গ্রহন হবে।
♦৭, ♦বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) এর উক্তিঃ
------------------------------------------------------------------** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ১৪০০ হিজরীর পর ২ দশক বা, ৩ দশক পর ইমাম মাহদীর আগমন হবে।
[আসমাউল মাসালিক লিইয়াম মাহদিয়্যাহ মাসালিক লি কুল্লিদ দুনিইয়া বি আমরিল্লাহীল মালিকঃ লেখক- কালদা বিন জায়েদ, পৃষ্ঠা- ২১৬]
সুতরাং ১৪০০+২০+৩০ =১৪৫০ হিজরী বা, ২০২৮ সাল।
♦৮♦, শাহ নিয়ামত উল্লাহ (রহঃ) এর কাসিদাহঃ
---------------------------------------------------------------শাহ নিয়ামত উল্লাহ (রহঃ) এর কাসিদাহ মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভবিষ্যৎবাণী করা একটি কবিতা। কাসিদাহ লেখা হয়েছে ১১৫৮ সালে। কাসিদাহ এর (প্যারা-৫৭) বলা হয়েছে,
‘কানা জাহুকার’ প্রকাশ ঘটার সালেই প্রতিশ্রুত (ইমাম মাহাদি) দুনিয়ার বুকে হবেন আবির্ভূত।
উল্লেখ যে, 'কানা জাহুকা' শব্দটি পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা বানি ঈসরাইলের ৮১ নং আয়াতে রয়েছে। এবং
আমরা জানি যে, উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান নামে ভাগ হয়েছিল, ১৯৪৭ সালে।
সুতরাং ১৯৪৭ +৮১ =২০২৮ সাল।
____________________________________________
মাহদির প্রকাসের জন্য রমজানের ১ম ও ১৫ তারিখ শুক্রবার হতে হবে।
২০২০ সালের রমজান মাসে তা মিলে যায়, অন্য কোন সালে নয়।
এরপর,
২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আর কোন রমজানেই তা মিলবে না
এবং এরপর, ২০২৮ সালের রমজানের ১ম ও ১৫ তারিখ শুক্রবার হয়।
তাহলে বোঝা গেলো,
এখন ২০২০ সালে যদি মাহদি না প্রকাশ হয়,
তাহলে ২০২৮ এর আগে আর হবেনা।
এখন কথা হলো,
উপরক্ত যত আলামত তা ২০২৮ সালের পক্ষে।
♦৯.♦ ইমাম মাহদীর আগমন সম্পর্কে আস-শাহরান এর ভবিষ্যৎ বাণীর কবিতা "আগামী কথন" এ যা বলা আছে।
প্যারাঃ (২৭)
★ দ্বিতিয় বিশ্ব সমর শেষে
আষি বর্ষ পর,,,
শুরু হবে ফের অতি ভয়াবহ,
তৃতীয় বিশ্ব সমর।
ব্যাক্ষাঃ লেখক,,আস -শাহরান প্রকাশ করেছেন,যে,,
দ্বিতিয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হবার ৮০ বছর পর,, আরো ভয়াবহ আকারে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে।
আমরা সবাই জানি যে, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে,,
১৯৪৫ সালে।
অতএব,,
১৯৪৫+৮০=২০২৫ সাল।
অর্থাৎ,২০২৫ সালেই গাজওয়াতুল হিন্দের সময়ই
৩য় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা হবে এবং পৃথিবীর আধুনিকতা ধ্বংস হবে।
প্যারাঃ (৫১)
★ আধুনিকতার অধ্বঃপতনের
তৃতীয় বর্ষ পর।।
আঠাষে প্রকাশ পাইবেন "মাহদী ".
এই দুনিয়ার ঊপর।।
**ব্যাক্ষাঃএকটি চিরাচরিত নাম** ইমাম মাহদী **
একজন প্রকৃত মুসলিম উম্মাহ হিসেবে, আপনার কাছে এই নামটিতে মিশ্রিত রয়েছে "শত আশা,আকাঙ্খা,শুখ-শান্তির বাতাস, অপেক্ষা।
**সবার একটাই প্রশ্ন?
কবে ইমাম মাহদী র আগমন ঘটবে??
#সবার সেই জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে,, আগামী কথন★ এর লেখক((আস-শাহরান)) প্রকাশ করলেন যে,, { ভবিৎষতদ্বানি অনুযায়ি } যখন,,,
#কাশ্মির বিজয় হবে---
#তার ২ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে হিন্দুস্থানিরা "দ্বিতিয় কারবালা" করবে,
## সে সময় **ইমাম মাহমুদ (হাবিবুল্লাহ) ও তার বন্ধু বা সহচর শীন(সাহেবে কিরান) এদের প্রকাশ ঘটবে।
$#তাদের নেতৃত্বে ""গাজওয়াতুল হিন্দ""হবে।
##২০২৫ সালে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে। যার ফলে আধুনিকতা চিরতরে ধ্বংশ হবে।।
এরই তিন বছরের মাথায়, অর্থাৎ, ২০২৮ সালে ★ইমাম মাহদী ★র প্রকাশ ঘটবে।।
মাহদির পুর্বে যা কিছু ঘটনা ঘটবে যেমনঃ
#ফুরাত নদির সোনার পাহাড় প্রকাশ হবে।
#পৃথিবির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মারা যাবে।
#শ্বেত মৃত্যু হবে।
#লোহিত মৃত্যু হবে।
#এক বছরের খাদ্য সংগৃহিত করতে হবে।
#ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরানের আত্ম প্রকাশ পাবে।
#গাজোয়াতুল হিন্দ হতে হবে।
#আবু সুফিয়ানের প্রকাশ হবে।
এখন বলুন,
২০২০ সালের রমজানের পুর্বে এই সকল ঘটনা কেমন করে ঘটবে?
অসম্ভব।
তাই ২০২৮ সালে হবার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি ।
আল্লাহু আলাম।
ভাই আমি তো এখনও ছোট আছি আমার বয়স মাত্র ১৩ বছর তাহলে আমি কি বড় হতে পারবো না?
ReplyDelete