সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের সময় মুসলমানদের করনীয় কি?
আর আধুনিক বিজ্ঞান কি বলে?
❤আসসালামু আলাইকুম! ❤
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।
💭বন্ধুরা বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এক বড় অংশ মহাকাশ গবেষনা।
আমরা প্রতিনিয়ত মহাকাশ নিয়ে নিত্যনতুন খবরাখবর শুনে থাকি।
এর মধ্যে চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণ " আমাদের কাছে এক অসাধারণ ঘটনা।
যা নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।💭
বর্তমান সময়ে দেখছি,অধীকাংশ মানুষই চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণ এর সময় তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকে এবং তা থেকে আনন্দ উপভোগ করে।
কিন্তু আসলেই কী সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের সময় তা দেখা ও আনন্দ অনুভব করা ই উচিৎ? নাকি অন্য কোন কাজ জরুরী?
এক্ষেত্রে আমাদের জানা উচিৎ , সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহনের সময় আমাদের প্রিয় নবী (ছাঃ)- কি করতেন?
তার সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গন কী করতেন?
চলুন হাদীস থেকে জেনে নেই,
👇👇👇👇👇👇👇
🔴গ্রহণের সময় সূর্য আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করার নির্দেশ
১৪৬৬। মুহাম্মাদ ইবনু কামিল মারওয়াবী (রহঃ) ... আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। তাদের গ্রহণ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে হয় না, অতএব, যখন তোমরা তাদের গ্রহণ দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে যতক্ষন পর্যন্ত সূর্য আলোকিত না হয়।
[সহীহ। বুখারী ১০৪০]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
🔴গ্রহণকালীন সময়ের সালাতের জন্য ডাক দেওয়ার নির্দেশ
১৪৬৮। আমর ইবনু উসমান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন লোককে নির্দেশ দিলেন। সে যেন আওয়াজ দেয়, সালাত অনুষ্ঠিত হবে। তখন তারা সবাই উপস্থিত হয়ে গেল এবং কাতার বন্দি হয়ে দাঁড়াল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন চার রুকু ও চারটা সিজদাসহ।
[সহীহ। ইরউয়াউল গালীল ৬৫৮, সহীহ আবু দাউদ হাঃ ১০৬৮, ১০৭১, ১০৭৬, বুখারী ১০৬৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৯৬৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এ সম্মন্ধে আপনারা অনেক হাদিস পাবেন সার্চ করলেই। লেখা বড় হয়ে যাবে তাই আর হাদীস উল্লেখ করলাম না।
💎তো আপনারা যেনে নিলেন, আল্লাহর রছুল (ছাঃ) সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহনের সময়, সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ছলাত আদায় করতেন।
এছাড়াও বহু বর্ননা থেকে এটা প্রমাণিত হয়, যে,
গ্রহনের সময় আল্লাহর রছুল (ছাঃ)- ছলাত আদায় করতেন অনেক লম্বা সময় ধরে(মোটামুটি গ্রহন কাটা না পর্যন্ত তিনি লম্বা ছলাত আদায় করতেন+ তাসবীহ পাঠ করতেন, আল্লাহর সাহায্য কামনা করতেন এমন কী তার চেহাড়া বিবর্ন হয়ে যেত ।
🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺
🔘 এখন প্রশ্ন, তিনি এরুপ আমল কেনো করতেন?
এর তাতপর্য কী??
বিজ্ঞান কী বলে গ্রহন নিয়ে??
🔴 এই তো কিছু বছর পূর্বেও বিজ্ঞানীরা,,, চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের সময় মুহাম্মাদ (ছাঃ) এর এইরুপ ভয় ভীতি ও ছলাত আদায় করে আল্লাহর কাছে কান্না কাটি করে সাহায্য চাওয়া নিয়ে,,
বিজ্ঞানীরা হাসাহাসি করতো।
আর বলতো, যখন পৃথিবী সূর্য ও চন্দ্র একই সরল রেখা বরাবর অবস্থান করে,তখনই গ্রহন লাগার ঘটনাটি আমরা,দেখি। এটাতে ভয়ভীতি, কান্নাকাটি, ছলাত আদায় করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া একটি হাস্যকর বিষয়।
কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান প্রতিদিনই নতুন নতুন অজানা অনেক বিষয় আবিষ্কার করতে সক্ষম হচ্ছে।
তারই সুবাদে,
বিজ্ঞানের এক সত্য আবিষ্কার, সবাই কে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
👇👇👇👇👇👇👇👇
🔴বিজ্ঞানিরা জানতে পেরেছে,
মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী ফাকা বৃহৎ অঞ্চলে রয়েছে অস্ট্রয়েট, মিটিওয়েট ও বৃহৎ আকৃতির উল্কা পাথর, যা হাজার হাজার টন ওজনের। আর এগুলো সব একটি বেল্ট ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। সব মিলে গ্রহাণু পুঞ্জের মত।
এগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় আকর্ষণ বলের কারনে নরচর করে।
আর যখন সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সরল রেখায় আসে অর্থাৎ গ্রহন লাগে তখন এই তিনটির গ্র্যাবিটিশনাল ফোর্স একত্রিত হয়ে ত্রীশক্তিতে রুপান্তরিত হয়।
যার ফলে ঐ পাথরের বেল্টে প্রচুর আকর্ষণ হয়। তার ফলে যদী ওখান থেকে একটিও উল্কা ছিটকে চলে আসে তাহলে পৃথিবীতে সজরে আঘাত করবে, যা পৃথিবী ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।।
🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺
🔴বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঠিক এরকমি একটি উল্কার আঘাতে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
আর গ্রহন লাগার সময় এটা হবার খুবই সম্ভাবনা আছে।
আর এটা হলে পৃথিবীতে সেই ডাইনোসর এর যুগের ঘটনা আবার ঘটবে। মানে অনেক ভয়াবহ ঘটনা।
🔺🔺🔺🔺🔺🔺
আর এসব যখন বিজ্ঞানীরা প্রমান করলো তখন সবাই বুঝতে পাড়লো আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে কোন আধুনিক প্রযুক্তি না থাকলেও, মুহাম্মাদ (ছাঃ) - ঠিকই জানতেন এই সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের সময় পৃথিবী কতটা ঝুকির মধ্যে থাকে।
♥♥আল্লাহু আকবার ♥♥
🏐তাই সবাইকে বলবো,
জ্ঞান হীন দের মতো, সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের সময় আনন্দ উপভোগ না করে ভীত হন, আল্লাহর এই বিরাট নিদর্শনে আল্লাহর রছুল (ছাঃ) যা করতেন ও যা আদেশ করেছে তাই করুন। এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ!.
আল্লাহ আমাদের সবাই কে সঠিক বুঝ দান করুন আমিন। ♥
আসসালামু আলাইকুম।
No comments:
Post a Comment