ইমাম জাহজাহ সম্পর্কে হাদীছ গুলোঃ
আমরা জানি, ছহিহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ সহ বেশ কিছু ছহিহ হাদিছ গ্রন্থে একজন গোলাম আযাদকৃত কৃতদাশের বাদশাহ হবার কথা মুহাম্মাদ (ছাঃ) ভবিৎষ্যতবানি করেছেন।
চলুন,হাদিছ দেখে নেইঃ
♦সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত], অধ্যায়ঃ ৩১/ কলহ ও বিপর্যয়, হাদিস নম্বরঃ ২২২৮
(জাহজাহ নামক মুক্তদাসের রাজ্যাধিকারী হওয়া)
২২২৮। উমার ইবনুল হাকাম (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহজাহ’ নামক কোন এক মুক্তদাস অধিপতি না হওয়া পর্যন্ত দিন-রাতের অবসান (কিয়ামাত) হবে না।
সহীহ, সহীহাহ (২৪৪১), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
♦ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৩৬/ ফিতনা অধ্যায়।, হাদিস নম্বরঃ ২২৩১
২২৩১. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) .......... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাত-দিনের বিনাশ ঘটবে না যতদিন না জাহজাহ নামক জনৈক আযাদকৃত দাস রাজ্যাধিকারী হয়ছে।
[-সহিহাহ ২৪৪১, মুসলিম।]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
==============================
এখন প্রশ্ন কী জাগছেনা মনে???
যে এই "জাহজাহ" নামের একজন কৃতদাশ
কবে??
কখন???
কোথায়????
কিভাবে?????
বাদশাহী পাবেন??????
___________________
___________________________
চলুন, তার বাদশাহী পাবার কারন টা হাদিছ থেকে জেনে নেইঃ
♦♦♦♦
♦হযরত কা’বে আহবার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মানুষের মাঝে হত্যা ইত্যাদি বৃদ্ধি পাবে তখন লোকজন বলবে এ যুদ্ধ মূলতঃ কুরাইশদের সাথে সম্পৃক্ত।
সুতরাং কুরাইশদেরকে হত্যা করলে তোমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। একথা শুনার পর সকলে মিলে কুরাইশদেরকে এমন ভাবে হত্যা করবে, তাদের একজনও বাকি থাকবেনা।
কিন্তু এরপর গিয়ে মানুষ পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হবে, যেমন জাহেলী যুগে লিপ্ত ছিল এবং কৃতদাশদের মধ্য থেকে একজন গোলাম/দাস কে আযাদ দিয়ে মানুষের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তার উপর শাষন ভার/বাদশাহী তুলে দিবে।
[কিতাবুল ফিতানঃ-১১৫২।]
======================
আমরা জেনে নিলাম যে, এই জাহজাহ নামক ব্যক্তিটি একজন গোলাম থাকবেন।
সে সময় মানুষের মাঝে বিরাট বিদ্রহ দেখা দিবে, তারা বলবে, আমরা আর কুরাঈশী বংসীয় কোন নেতা চাইনা । তারপর, তারা কুরাইশের সকল নেতা ও মানুষদেরকে হত্যা করবে এবং জাহজাহ কে বাদশা বানাবে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এখন কথা হলো জাহজাহ কে বাদশাহ বানাবে জনগন সমর্থন করে।
তাহলে ঐ সময়কার বাদশা কেও তাহলে হত্যা করা হবে নিশ্চই।
তারপরে তার জায়গায় জাহজাহ কে বসাবে।
তাহলে বোঝা গেলো,ঐ সময়ের বাদশাহও কুরাঈশী হবেন,তাই তাকে হত্যা করে"""" জাহজাহ কে বাদশাহ বানাবে।
((মজার ব্যাপার হলো, জাহজাহ নিজেও কুরাঈশী বংশীয় হবেন। কিন্তু কেউ তা জানবেন না))! কারন, কিয়ামত পর্যন্ত /ইছা (আঃ) পর্যন্ত কুরাঈশ বংশ থেকেই নেতা হবেন, এটা মুহাম্মাদ (ছাঃ) এর কাছে দেওয়া আল্লাহর প্রতিশ্রুতি))
_____________
_________________________________________
তাহলে,,
আমরা উক্ত হাদিছগুলোর তথ্য থেকে যা যানতে পালাম,তা অনুযায়ী কোন ঘটনা,
মুহাম্মাদ (ছাঃ)- থেকে এখনও পর্যন্ত ঘটেনি।
তাহলে বোঝা গেলো তা সামনের দিনে ঘটবে।
তাহলে কি প্রশ্ন জাগছেনা???
যে কবে এই ঘটনা ঘটবে????
:চলুন যানা যাকঃ
★হযরত আরতাত (রাঃ) বলেন, মাহদির মৃত্যুর পর, কাহতান গোত্রের উভয়কান ছিদ্র বিশিষ্ট একজন খলিফা হবেন। তার চরিত্র হবে হুবহু মাহদির মত। তিনি বিশ (২০) বছর শাষক হিসেবে থাকার পর,মানুষ তাকে অস্রের দাড়া হত্যা করবে। তারপর,মানুষ এমন একজেনর উপর খেলাফত/বাদশাহি দিবেন, যিনি কায়সার সম্রাটের সহর (ইউরোপ) বিজয় করবেন।তার জামানায় দাজ্জালের প্রকাশ ও হযরত ইছা( আ:) এর অবতরন হবে।
[আল ফিতান- ১২৩৪]
যেহুতু হাদিছটি বলছে, মাহদির পর যিনি শাষক হবেন,তিনি কুরাঈশ বংসের কাহতান গোত্রের।
আর তাকে মানুষই হত্যা করবে এবং আরেক জনকে বাদশাহ বানাবে।
এখন উপরের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখুন,
যে এই সেই জাহজাহ। কারন, মানুষ কাহতান গোত্রের নেতাকে হত্যা করবে,কারন তখনকার যামানার মানুষ কুরাঈশী নেতা রাখবেনা তাই এই বাদশাহকে হত্যা করে, জাহজাহ নামের কৃতদাশ কে আযাদ দিয়ে বাদশাহ নিযুক্ত করবেন।
=====================
এখন কথা হলো হাদিছ বলছে, মাহদির পর এই জাহজাহ নামের বাদশার যামানায় দাজ্জাল ও ইছা (আঃ)- আসবেন।
এটাও হাদিছ দ্বাড়া প্রমানিত হলো।
আর যারা দাবি করেন, ইমাম মাহদী ও ইছা (আঃ)- একই সময়ে আসবেন,তারা আমার পোষ্ট
♥♥ ইমাম মাহদী ও ইছা (আঃ) একই সময়ে আসবেন না♥♥দেখুন।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
সব কিছুর মধ্যে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন কি????
লেখক--আস-শাহরান------এর
♦আগামী কথন♦
যে সত্য, তা হাদিছ দ্বাড়া প্রমানিত হলো।
চলুন দেখে নেইঃ
প্যারাঃ (৭৩)
★তাহার পরেই ধরনি বাসি,
আগাইবে পঞ্চান্ন সালে,,
জমিনের বুকে আসিবে "জাহজাহ",,
ছিলো সে চোখের আড়ালে,,।।
*ব্যাক্ষাঃ লেখক বলেছেন,, তারপর যখন,২০৫৫ সাল আসবে তখন "জাহজাহ"নামক এক ব্যাক্তির আবির্ভাব ঘটবে। সে নাকি,মানুষের চোখের আড়ালে ছিলো।
অতএব, বোঝা গেলো, এই সেই হাদিছে বর্নিত ""জাহজাহ"""))
#প্যারাঃ (৭৪)
★পূর্বে কৃতদাস ছিলেন জাহজাহ,,,
আযাদ দিলেন রব।
ধরনির মাঝে বন্ধ করবেন,
কোলাহলের উৎসব।।
*ব্যাক্ষাঃ এখানে লেখক বলেছেন,, এই ""জাহজাহ"" পূর্বে কৃতদাস ছিলেন। তারপর আল্লাহ নিজেই তাকে আযাদ করেছেন।। আর '"জাহজাহ " যখন আসবে,তখন পৃথিবি তে,কোন একটা বড় কোলাহল ( ইকতেলাভ/ মতান্যৈক্য) থাকবে। যার অবসান ঘটাবেন এই "জাহজাহ"। আর এটাও প্রমানিত যে,সেই মতানৈক্য হলো, কুরাঈশী নেতা না রাখা।
( যেহুতু, হাদিছ শরিফে, জাহজাহ র বাদসাহি পাবার পূর্ব ঘোসনা রয়েছে, সুতরাং,বোঝাই যাচ্ছে,তিনি ও আল্লাহর মননিত বান্দা)
প্যারাঃ (৭৫)
*ছাপ্পান্ন তে যাবেন জাহজাহ
শাষন ক্ষমতায়।
দামেস্ক মসজিদে পাইবেন ইমামত,
সৎ চরিত্র ও সততায়।
**ব্যাক্ষাঃ জাহজাহ ২০৫৬ সালে শাষন ক্ষমতায় যাবেন। তার সৎ চরিত্র ও সততার গুণে মানুষের মনে জায়গা করে নিবেন।। সে দামেস্ক এর কোন এক মসজিদে ইমামতি করবেন এবং, রাজ্যপাট দেখাশোনা করবেন।
( বিঃ দ্রঃ যেহুতু বাদশাহ মুনসুর ২০৫৮ সাল পর্যন্ত শাষন চালাবে। সেহুতু ২০৫৬ সালে জাহজাহ বিশ্ব বাদশাহি পাবেনা। সে উক্ত ২ বছর দামেস্ক মসজিদ এবং উক্ত মহাদেশ শাষন করবেন।)
( আগামি কথনের ভাষ্যে)
প্যারাঃ (৭৬)
★ষাটের শেষে দাজ্জাল এসে,
দিবে বিশ্বে হানা,,,।
আল্লাহর রছুল বলে গিয়েছেন
তার থাকবে এক চোখ কানা।
**ব্যাক্ষাঃ সেই ভয়ংকর ফিতনা "" দাজ্জাল"".. *আস-শাহরান **এর ভবিৎষত দ্বানী,,, ২০৬০ সালের শেষের দিকে,,, দাজ্জালের আগমন ঘটবে। আল্লাহর রছুল (ছাঃ) বলেছেন,,, দাজ্জালের ১ চোখ কানা হবে। কপালে "কাফির" লেখা থাকবে।
(দাজ্জালের ব্যাপারে মোটামুটি সবাই জানি,তাই হাদিছ উল্লেখ করা হলো না)
প্যারাঃ (৭৭)
★মহা মিথ্যুক দাজ্জাল তখন,
করিবে রবের দাবি।
যে জন,করিবে অ-স্বিকার তাকে,
সেই হইবে কামিয়াবি।
**ব্যাক্ষাঃ দাজ্জাল প্রকাশ পেয়ে নিজেকে রব/ সৃষ্টিকর্তা বলে দাবি করবে। তখন,যারা দাজ্জাল কে অ-স্বিকার করবে,তারাই সফলকাম হবে এবং যারা তাকে মেনে নিবে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
প্যারাঃ (৭৮)
★দাজ্জাল সেনাদের তান্ডব লিলায়,
ঘটিবে বিশ্বে বিপর্যয়।
জাহজাহ চাইবেন সবার জন্য
রবের রহতমের আশ্রয়।
**ব্যাক্ষাঃ যখন, দাজ্জাল ও তার অনুসারি সন্যরা পৃথিবি তে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে,, তখন বাদশা জাহজাহ আল্লাহর রহমতের আশ্রয় চাইবেন।
প্যারাঃ (৭৯)
★ সাদা গম্বুজের দামেস্ক মসজিদে
জাহজাহ করিবেন ইমামত।
বাষট্টি সালে " গম্বুজের উপর
রব পাঠাইবেন রহমত।
**ব্যাক্ষাঃ এখানে লেখক বলেছেন যে,, জাহজাহ যে মসজিদে ইমামতি করবেন সেটার রং হবে,, সাদা। গম্বুজ বিসিষ্ট।
আর ২০৬২ সালে রব ঐ মসজিদের সাদা মিনারে রহমত পাঠাইবেন।
প্যারাঃ (৮০)
★আছরের সময় দেখবে সবাই,
হযরত ঈছা (আঃ) এর আগমন।
সাদা পোষাকে নামিবেন তিনি
দু* পাশে ফিরিস্তা দুজন।
*ব্যাক্ষাঃ আল্লাহু আকবার।
লেখক জানিয়েছন, ২০৬২ সালে দামেস্কের সাদা মসজিদে আছরের ছলাতের সময় গম্বুজের উপর সাদা পোষাক পরিহিত অবস্থায়, দুই ফিরিস্তার কাধে ভর করে নামবেন। ঐ মসজিদেরই ইমাম হলেন "জাহজাহ"!
প্যারাঃ(৮১)
★ইমাম জাহজাহ যানাইবেন তাকে,
ছলাতে ইমামতির আহ্বাবান।
হযরত ঈছা (আঃ) বলবেন তাকে,
এ তো আপনারই সম্মান।
**ব্যাক্ষাঃ একটি চিরাচরিত হাদিছ,,,
***যখন গম্বুজের উপর ঈছা (আঃ) নামবেন তখন,
মুসলমানদের আমির** ঈছা (আঃ) কে বলবেন,"" আসুন ছলাতের ইমামতি করুন"
তখন ঈছাঃ বলবেন,, না বরং আপনাদের আমির তো আপনাদের মধ্যেই।"""""।
** সারা বিশ্বের মুসলমানেরা ধরে নিয়েছে যে,,,, সেই ইমাম হবেন,,
**ইমাম মাহদী** তার পিছনেই ঈছা (আঃ) ছলাত আদায় করবেন।
কিন্তু কোথাও ইমাম মাহদির নাম বলা হয়নি। বরং বলা আছে,,,"
** মুসলমানদেে আমির**
তাই হতেই পারে যে,,সেই আমির হলেন,,, ইমাম জাহজাহ।।
অ-স্বিকার করা যায় না।
( আল্লাহই ভালো জানেন)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
No comments:
Post a Comment