Saturday, 1 February 2020

বিশ্বের প্রধান সেনাপতি জামিল সম্পর্কে হাদীছ ও আগামী কথনে যা বলা আছে?

সেনাপতি জামিল এর আগমন♥
♦হাদিছ থেকে প্রমান ও আগামী কথন এর সত্যায়ন ♦



আছছালামু আলাইকুম!
প্রিয় দ্বিনী ভাই-বোন, বন্ধুগন!
আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি একজন সন্মানিত আল্লাহর আওলীয়া,, বেলায়েত প্রাপ্ত বান্দা, সেনাপতি, ববীর যোদ্ধা ----এর আগমন ও তার জিবন কাহিনী নিয়ে সামান্য আলোকপাত করতে---------যার নাম হবে,,

,,,, ♥জামিল♥,,,

_____________________
_________________________
নামঃ জামিল(সুন্দর পুরুষ)
আমরা জানি হযরত ইউসুফ আঃ এর উপাধী ছিলো ""জামিলউল্লাহ""
সুন্দর্য্যের প্রমান।
সেহুতু সহজেই ধারনা করা যায়, জামিল ও অনেক সুন্দর পুরুষ হবেন।।
বংশ পরিচয়ঃ অবস্যই কুরাইশী হবেন,কেননা নেতৃত্বদান করবেন,। তবে জন্ম/মৃত্যু সম্মন্ধে কোনো তথ্য পাইনি। তবে কখনো পেলে জানাবো ইংসাল্লাহ।
তার একজন সহচর থাকবেন। নাম "সালমান"
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
♦♦বন্ধুরা আমার জানা মতে আপনারা এই জামিল নামে কারো আগমনের কথা হয়তো ইতপুর্বে শুনেন নাই, বা কোনো হাদিছেও তার আগমনের আগাম বার্তা পড়েন নাই।
তবে যারা আস-শাহরান এর ভবিৎষ্যত বানির কবিতা
♦আগামী কথন ♦
পড়েছেন, তারা এই কবিতায়, জামিল নামক এই বীর যুবকের আগমনের সংবাদ পেয়েছেন।
চলুন দেখি আগামী কথন কবিতায় কি বলা আছেঃ
তারপর হাদিছ থেকে প্রমান নিবো।


♥আগামী কথন♥
♦লেখকঃ আস -শাহরান♦

প্যারাঃ (৬৭)
★ আটত্রিশ থেকে আটান্ন সাল,
মুনসুরের শাষন কাল।
শত্রুর উপর বিজয়ি থেকে,
রবের দ্বীন রাখবে অটল।

**ব্যাক্ষাঃ লেখক,বলেছেন, যে, মুনসুর ২০৩৮-২০৫৮ সাল এই ২০ বছর বিশ্ব শাষন করবেন।
শত্রুর উপর বিজয়ি থেকে শরিয়ত প্রতিষ্ঠিত রাখবে।

প্যারাঃ (৬৮)
★শাষক মুনসুরের খেলাফত শেষের
অষ্ট বর্ষ পর্বে---
মিথ্যা ঈছা-র হবে দাবিদার,
একজন পারস্য সম্রাজ্যে।

**ব্যাক্ষাঃ লেখক,, ভবিৎষতদ্বানি করে বলেছেন যে, মুনসুর শাষকের খেলাফত শেষ হবার ৮ বছর আগে,যেহুতু ২০৫৮ সালে শাষন শেষ হবে,,
সুতরাং,,,২০৫০ সালে পারশ্য সম্রাজ্য থেকে,,, একজন ব্যাক্তি নিজেকে **হযরত ঈছা (আঃ) **বলে দাবি জানাবে।।
অথচ,সে একজন, মহামিথ্যুক, ভন্ড হবে।।
( এ দ্বাড়া এটাও বোঝা যাচ্ছে যে, প্রকৃত হযরত ঈছা ""( আঃ) তখনও আগমন করেন নি।
সুতরাং, বর্তমান বিশ্ব যে কথাটার উপর আস্থা রাখছে,যে, ইমাম মাহদির সময় কালেই দাজ্জাল ও ঈছা( আঃ) আগমন করবেন,সেই কথাটা *আগামী কথন * সমর্থন করেনা।
( বিঃ দ্রঃ কোন হাদিছও এ কথা বলেনা যে,, ইমাম মাহদির সময়কালেই,দাজ্জাল ও ঈছা ( আঃ) আসবেন।)

প্যারাঃ (৬৯)
★ বাতিল ধ্বংশে রবের দূত-
*** জামিল*** নামটি তার।
ভন্ড ঈছা কে ধ্বংশ করার,
রব দিবেন দ্বায়িত্ব ভার।

**ব্যাক্ষাঃ যখন ২০৫০ সালে পারশ্য সম্রাজ্য থেকে একজন ভন্ড মিথ্যাবাদি, নিজেকে ঈছা (আঃ) বলে দাবি করবে,,,, তখন,, ঐ ভন্ড ঈছা কে ধ্বংশ কারার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন,শুভ শক্তির আগমন ঘটবে। তার নামটি লেখক আস-শাহরান ** আগামি কথন' এ প্রকাশ করেছেন আর তার নামটি হবে*** জামিল*** ( সুন্দর্যের অধিকারি)
ভন্ড ঈছা কে ধ্বংশ করার জন্য রব নিজেই তাকে দ্বায়িত্ব দিবেন। অর্থাৎ, সে ইলমে লাদুনির অধিকারি হবেন।।

প্যারাঃ (৭০)
★শত্রু নিধন করবে "জামিল"
হাতে রেখে ""যুলফিকর""!
রক্ত নেশায় উঠবে মেতে,
সাথে রবে "সালমান"-সহচর।।

**ব্যাক্ষাঃ লেখক (আস-শাহরান) বলেছেন যে,, এই বীর যোদ্ধা ""জামিল""-- যখন শত্রু নিধন করতে ময়দানে নামবে,, তখন তার হাতে, **যুলফিকর ** তরবারি থাকবে( যেটা মুহাম্মাদ (ছাঃ) ব্যবহার করতেন)। সে শত্রুদের রক্তের নেশায় মেতে উঠবে
এবং,, তার পাশে থাকবে তার সহচর বা প্রিয় বন্ধু "সালমান"।
যেহুতু সালমানের নাম তার জন্মের পুর্বেই প্রকাশিত হলো,সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে সেও আল্লাহর মননিত বান্দা।
(যেমনঃ ইমাম মাহদি ও শুয়াইব,,,, ইমাম মাহমুদ ও শীন{ সাহেবে কিরান},,
ঠিক তেমনই জামিল ও সালমান)

প্যারাঃ (৭১)
★ভন্ড ঈছা কে ধ্বংশ করিবে
জামিল চোয়ান্ন সালে।
বীর জামিল কে জানাইবে সাগতম,,
মুনসুর শাষকের দলে।।

*ব্যাক্ষাঃ দেখুন,আস-শাহরান,, রবের সাহায্যে কতটা নিখুত ভবিৎষতদ্বানি দান করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পারশ্য সম্রাজ্য থেকে ২০৫০ সালে যে,ভন্ড নিজেকে ঈছা (আঃ) বলে দাবি জানাবে,তাকে ২০৫৪ সালে জামিল যুদ্ধের ময়দানে কতল করবে। তখন,, সে সময়ের বাদশা ""মুনসুর "" জামিলের বিরত্ব,, সাহসিকতা,, জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে,জামিল কে তার দলে যোগদানের জন্য আহ্ববান জানাবে।

প্যারাঃ (৭২)
★ মুনসুর তখন বানাবে জামিল কে--
তাহার প্রধান সেনাপতি।
রবের রহমতে সে বীর যোদ্ধা,
বিশ্বে পাইবেন স্বীকৃতি।।

**ব্যাক্ষাঃ জামিল যখন ভন্ড ঈছা ও তার অনুসারি দেরকে হত্যা করবে,,তখন তাকে বাদশা মুনসুর ""বিশ্বের প্রধান সেনাপতি-- বানাইবেন।।।
বীশ্ববুকে জামিল ""বীরযোদ্ধা ""খেতাব পাবেন।।
কারন,, এই জামিল হবেন আল্লাহর বিষেশ মননিত বান্দা।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
তাহলে জেনে নিলাম যে,, লেখকঃ আস্-শাহরান এর মতে,
ইমাম মাহদী র পর ২ বছর বিশ্ব শাষন করবেন ইমাম মাহমুদ।
আর তারপর খেলাফত যাবে ইমাম মানসুরের উপর।
তিনি সুধির্ঘ্য ২০ বছর শাষন করবেন।
(যদিও ভবিৎষ্যত বানিতে বলা হয়েছে সেই ২০ বছর হলো ২০৩৮ থেকে ২০৫৮ সাল!! আল্লাহু আলাম)
আর ইমাম মানসুরের শাষনামলের শেষাংশে অর্থাৎ, ২০৫০ সালে পারশ্য সাম্রাজ্য থেকে একজন মিথ্যুক, নিজেকে ইছা (আঃ)- বলে দাবি জানাবে এবং বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
সেই সময় জামিল নামক সেই বীর যোদ্ধা,, রবের হুকুমে অর্থাৎ ইলহাম দ্বাড়া আদেশ প্রাপ্ত হয়ে,,
২০৫৪ ঐ ভন্ড ইছা আঃ এর দাবিদার কে কতল করবে।
তারপর ইমাম মানসুর জামিল কে গোটা বিশ্বের প্রধান সেনাপতি হিসেবে সম্মানিত করবেন।
____________________________


এখন চলুন হাদিছের আলোকে দেখে নেইঃ এই ঘটনা কতটুকু সত্য।

এখন এমন একটি হাদিছ উপস্থাপন করবো যা সব কুয়াসা কাটিয়ে দিবে।
{{ ইংশাআল্লাহ}}

♦হযরত আলী ইবনে আবু তালিব {রাঃ} বলেন,
আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি
,ইমাম মানসুরের শাষন আমলের শেষের দিকে একজন মিথ্যুক ইসা আঃ এর দাবিদারের প্রকাশ ঘটবে।তখন সেনাপতি ♥জামিল ছফফাহ♥ তাকে অস্র দ্বারা হত্যা করবে।
(গ্রন্থঃ আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,হাদিছ,১০৩)
আলহামদুলিল্লাহ!!
_____________________
___________________________
আমার মনে হয়না যে, এই হাদিছের ব্যাক্ষা করার প্রয়োজন আছে।
কি সবাই বুঝলেন তো???
এই আগামী কথন টা কুরআন হাদিছের বাইরের কিছুই নয়।
শুধুমাত্র আস শাহরান"" উল্লেখ করেছেন যে কতো সালে, কখন কি ঘটবে।
যা আমরা বলতে পাড়ি না। সে জন্যই তো বলি,,গায়েবী মদদ সবাই পায়না। গায়েবী মদদে পাওয়া জ্ঞান আর সাধারন জ্ঞানের মধ্য তফাৎ এতোটুকুই।
তো বন্ধুরা আমরা জেনে নিলাম, সামনের দিনে জন্ম নিতে চলেছেন এক উজ্জল আত্মা,
♥জামিল♥,,
আল্লাহ তার আগমনের উছিলায় সবাই কে শান্তি দান করুন
।।আমিন।।
আপনাদের কি মতামত জানাবেন।
সময় দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সত্য প্রকাশে কলম চলছে,চলবে
{{ ইংশাআল্লাহ}}
ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment