আগামী কথন এর দাব্বাতুল আরদ এর বর্ননা নিয়ে মতবিরোধের সমাধান।
আসসালামু আলাইকুম।"দাব্বাতুল আরদ "
♦কুরআনে এসেছে,
সেই প্রানী কথা বলবে,এ কারনে যে,তারা আমার নিদর্শনগুলো অ-স্বিকার করেছে।
( সুরা নামল।আঃ ৮২)
♦ আর আপনারা জানেন, হাদিসে এসেছে, দাব্বাতুল আরদ বের হওয়া কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার ১০ টি বড় আলামতের একটি।
♦ আর আগামী কথন এ বলা আছে,
প্যারাঃ(৮৪)
সু- শৃঙ্খলময় শান্তি বিশ্বে,
করিবে বিরাজমান ছিয়াষট্টিতে '
দাব্বাতুল আরদ এর,
হইবে উত্থান।
**ব্যাক্ষাঃ দাজ্জাল কে হত্যা করার পর, ঈছা (আ) পৃথিবি তে সুখশান্তি দাড়া শাষন করতে থাকবে। এমন সময়, ২০৬৬ সালে " দাব্বাতুল আরদ্ "" নামক একধরনের প্রানি জমিনের নিচ থেকে বের হয়ে আসবে।
# কুরআনের সুরা নামলের ৮২ নং আয়াতে এই প্রানির কথা বলা আছে। আর হাদিছে বলা আছে,এই প্রানির আগমন হলো ,কিয়ামত নিকটবর্তি হবার বিরাট একটি আলামত।।
প্যারাঃ( ৮৫)
★পাখনা বিহিন, অসংখ্য প্রানি,
বিড়ালের অবয়ব।
বাকশক্তিহিন দাত,বিষিষ্ট -তাদের -
গজবে নিঃশেষ করিবেন রব।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এখন আসি মুল সমস্যায়, ও তার সমাধানে,
কুরআনে বলা আছে, তারা কথা বলবে মানুষের সাথে।
আর আগামী কথন এ বলা আছে,
বাকশক্তি হীন!
এটা তো কুরআনের বিরুদ্ধে চলে যায়।
তাহলে বলি!
___________________
আপনি কি আগামী কথন, কবিতাটী টি ব্যাক্ষাসহ পরেছেন?
যাদী পড়ে না থাকেন, তাহলে বলি,
আগামী কথন এর কিছু কিছু প্যারায়, লেখক "আস- শাহরান" তার নিজস্ব ব্যাক্ষাদান করেছেন।
যেমনঃ প্রথম ভবিষ্যৎ বানীতে তিনি বলেন,
"বিংশ শতাব্দীর বিংশ সনের
কিছু করে হেরফের "
এখানে বিংশ শতাব্দীর বিংশ সন বলতে আমরা কিন্তু সাধারণত ১৯২০ সালই বুঝবো।
কিন্তু কবিতার মুল গ্রন্থে লেখকের নিজস্ব ব্যাক্ষায় তিনি লিখেছেন,
যদীও সবাই এই দুই হাজার শতাব্দীকে একবিংশ শতাব্দী বলেন, কিন্তু আমি এই একবিংশ শতাব্দী কেই বিংশ শতাব্দী বলছি।
"""
এখন এর কারন যাই হোক, লেখক যাই বলুক, আমরা তো বুঝতে পারতেসি যে,এটা ২০২০ সালের হেরফের।
♦ঠিক তেমনই, লেখক,
দাব্বাতুল আরদ এর ঐ প্যারায়,
তার,সব থেকে বড় ব্যাক্ষাটি দান করেছেন,
প্যারাঃ( ৮৫)
★পাখনা বিহিন, অসংখ্য প্রানি,
বিড়ালের অবয়ব।
বাকশক্তিহিন দাত,বিষিষ্ট -তাদের -
গজবে নিঃশেষ করিবেন রব।
**ব্যাক্ষাঃ এখানে বলা হয়েছে, এই দাব্বাতুল আরদ্ এর কোন পাখনা থাকবে না। তারা সংখ্যায় অগনিত হবে।
দেখতে প্রায় ই বিড়ালের আকৃতির হবে। তাদের দাতের কথা বিষেশ উল্লেখ থাকায় বোঝা যাচ্ছে,,
দাতই তাদের মুল হাতিয়ার হবে।
আর বিষেশ উল্লেখ্য যে, তারা কথা বলবে না।
যেহুতু কুরআনে বলা আছে যে,
দাব্বাতুল আরদ্ কথা বলবে, এ কারনে যে,তারা আমার নিদর্শনগুলো অ-স্বিকার করেছে।
( সুরা নামল।আঃ ৮২)
তার প্রেক্ষিতে লেখল তার মুল কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন যে,,
_________________________________________
♥হযরত মিকাইয়া (আঃ) এর যামানায়, একজন নষ্টা নারি অন্যের দ্বাড়া গর্ভপাত করে একটি বাচ্চাপ্রসব করে বলে যে, এ বাচ্চা টি মিকাইয়ার বাচ্চা। তখন সবাই জড়ো হয়ে সত্য যানতে চাইলে, হযরত মিকাইয়া (আ) বাচ্চা টির পেটে হাত দিয়ে বলে যে, হে বৎস্য তোমার পিতার নাম কি?
তখন নাবালক টি সঠিক উত্তর দেয়, যে মিকাইয়া নয়, আমার বাবা "অমুক"।
#এবং ইউসুছ (আ:) এর সময়ও ইউসুফ কে নির্দোষ প্রমান করতে,একটি নাবালোক বাচ্চা কথা বলে সাক্ষি দেয়।
#এ দ্বাড়া এ কথা বলা যাবে না যে,বাচ্চা দুটি সবসময়ই কথা বলেছে/তারা কথা বলতো।
#বরং একথা বলা যায় যে,বাচ্চা দুটি একবার করে কথা বলেছে।
*কারন তা ছিলো, নবীদের নির্দোষ প্রমান করা,,এবং তা ছিলো হযরত মিকাইয়া (আ) ও হযরত ইউসুফ (আ) এর মুজিজা।
যেন, সবাই নিদর্শন পেয়ে যায়,কেউ অসিকার না করে।
* ঠিক তেমনি, এই দাব্বাতুল আরদ্ ও ঐ শিশুদের ন্যয়, ১ বার কথা বলবে। যাতে করে,
যারা আল্লাহর,নিদর্শন মানতো না,তারা সঠিক জবাব পেয়ে যায়।
হযরত ঈছা (আ) তাদের উত্থান সমন্ধে জিজ্ঞাসিত করলে আল্লাহর হুকুমে,, তারা মানুষের সামনে ইছা (আঃ) এর সাথেএকবার কথা বলবে,।। আর তা হবে হযরত ঈছা (আ) এর মুজিজা। আর আল্লাহর নিদর্শন।
আয়াত দাড়া একথা বোঝানো হয়নি যে,
দাব্বাতুল আরদ্ সবসময়ই কথা বলবে। বরং তারা একবার কথা বলবে।কারন,
কুরআনে বলা আছে,,
"তারা কাথা বলবে এ কারনেই যে,, মানুষ আল্লাহর নিদর্শন সমুহ অসিকার করেছে।"
(নামল:: ৮২)
তাই তারা, একবার কথা বলবে যেন, অসিকার কারি গন সিকার করে নেয়।।
আর তাদের বাকশক্তি হীন বলার কারন এটাও যে, বর্তমান সময়ের মানুষগন বলেন দাব্বাতুল আরদ সাধারন ভাবেই সব সময় কথা বলবে।
কিন্তু তা যে ভুল, তা প্রমান করতেই বাকশক্তি হীন বলা হয়েছে।
(আল্লাহ অধিক জানেন)
#তিনি,লিখেছেন,এটাই ঐ আয়াতের সঠিক তাফসির।
*তারা মানুষকে অত্যাচার করবে। অতপর,কোন এক ব্যধিতে ঐ বছরই তাদের ধ্বংশ হবে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আর তারা সংখ্যায় ১ টি নয় বরং অনেক অনেক হবে।
হাদিসে এসেছে,,,
♥হযরত আবু মুসা আসআরী (রাঃ) আমি রছুল ছাঃ কে বলতে শুনেছি, যখন তিনি পৃথিবী ধ্বংসের আলামত গুলো বলছিলেন। তিনি বললেন, মরিয়াম পুত্র ইছা আঃ ৩৩ বছর পৃথিবী শাষণ করবেন। সে সময়েই জমিন থেকে এক ধরনের প্রাণী বের হবে,(দাব্বাতুল আরদ) যাদের সংখ্যা হবে আকাশের তারকার ন্যায়।
আর তাদের উত্থানে মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হবে।
সে সময় মানুষ আল্লাহর নবী ইছা আঃ এর নিকট সেই প্রাণীর ব্যাপারে নালিস জানাবে।
তখন ইছা আঃ সেই প্রানিদের নেতার সাথে কথা বলবেন। আর তা মানুষ প্রকাশ্যে শুনতে পাবে।
রাবী বলেন, তিনি আরও বলেছেন,
এই প্রাণীর পতনের পরের বছরই, ইয়াজুজ-মাজুজ বের হয়ে আস-বে।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ-২৯১)
♥হযরত আরতাত রাঃ বলেন, রছুল ছাঃ কে বলতে শুনেছি,
পৃথিবী ধ্বংসের পুর্বেই, মাটির নিচ থেকে এক ধরনের প্রাণী বের হবে, যারা বিভিন্ন দিকে ছুটে বেড়াবে।
আর সেই প্রানির দলটির প্রধান মারিয়াম পুত্র ইছা (আঃ) - এর সাথে কথা বলবে যা মানুষ নিদর্শন সরূপ দেখবে।সেই প্রানিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিবেন।
অতঃপর, সেই বছর শেষেই মানুষ দুই টি সম্প্রদায় কে দেখতে পাবে।যারা তীর চালনাতে পারদর্শী থাকবে এবং পৃথিবীর তিন ভাগের ২ ভাগ মানুষকেই হত্যা করবে।
তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ঘাড়ের ওপর আজাব নামবে,যাতে তাদের সকলেরই মৃত্যু ঘটবে।
সাহাবীগন জিজ্ঞেস করলেন, তারা কোন দুটি সম্প্রদায়?
তিনি বললেন, "ইয়াজুজ"-ও "মাজুজ।
(কিতাবুল ফিরদউস -১৮০৩,
আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ-২৯০)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আরও একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কথা বলি,
শাহ নেয়ামত উল্লাহ এর কাসিদাহ কবিতা ও আশ শাহরান এর ভবিষ্যৎ বানীর কবিতা আগামী কথন, এই দুইটি কবিতাই কিন্তু হাদিসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তারপরেও কেউ যদী তা মানতে না চায়, সে মানবে না।
ধরে নিলাম, এই কবিতা দুইটিই ভুল।
তা থেকে এটা কিভাবে প্রমানিত হয় যে, ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান ভুল??
তাদের আগমন নিয়ে তো প্রায় ৩০ টিরও অধিক হাদিস পাওয়া গেছে।
না জানি আরও কত আছে।
তাই তাদের সত্যতা জাচাই করতে এই কবিতা দুইটি নয়, বরং হাদিস ই যথেষ্ট।
আর আপনার নিকট যদী, আগামী কথন ভুল মনে হয়, তাহলে আশ শাহরান এর নিন্দা করুন, ইমাম মাহমুদ কে নয়। কেননা, ইমাম মাহমুদ তো হাদিসের আলোকে প্রমানিত।
এখন বলতে পারেন, তাহলে, আপনারা কেনো আগামী কথন এতো প্রচার করেন??
তাহলে বলবো, আগামী কথন এ ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান কে নিয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যায়, তাছাড়াও বিশ্ব যুদ্ধ, গাজোয়াতুল হিন্দ ও ইমাম মাহদী এর আগমন নিয়ে অনেক তথ্য আছে যেগুলো হাদিসের সাথে মিলে যায়।
তাই আমরা জনসচেতনতার উদ্দেশ্যেই প্রচার করেছি মাত্র।
আর এটাও বলছি খুব শীঘ্রই আগামী কথন এর সব বানীর সাথে
হাদিসের উদ্ধৃতি তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ।
সঙ্গেই থাকুন।
♥জাজাকাল্লাহ খাইরান।
No comments:
Post a Comment