Tuesday, 4 February 2020

গাজোয়াতুল হিন্দের সূচনা থেকে সমাপ্তি, তা থেকেই কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের উৎপত্তী? (যুদ্ধকালিন সময়ে করনীয় -বর্জনীয় এবং নুহ (আঃ) এর কিস্তির সাদৃশ্য কোন নিরাপদ স্থান ও বর্তমান পেক্ষাপট )

♣টপিকের মধ্য থেকে এখন

চলছেঃ ''গাজোয়াতুল হিন্দের সূচনা"।


(২৫ টি প্রশ্নত্তর সহ ধারাবাহিক আয়োজন)
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি ভালো আছেন।
নাম পড়েই হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে, এবারের ধারাবাহিক টির উদ্দেশ্য কি?
একটু সময় নিয়ে পড়ুন।
আশা করি এটা আপনার অনেক উপকার করবে।
চলুন শুরু করা যাক---

****************************************

♣প্রশ্নঃ (১))
গাজোয়াতুল হিন্দ কি???

♦উত্তরঃ গাজোয়া অর্থ যুদ্ধ/জিহাদ. এবং হিন্দ অর্থ ভারতীয় উপমহাদেশ।
আর গাজোয়াতুল হিন্দ অর্থ,
ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে এক বড় জিহাদ।
হাদিছ শরিফে এসেছেঃ
♦হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত,
রছুল (ছাঃ) বলেছেন,
অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানের সাথে জিহাদ করবে। আল্লাহ সেই দলকে সফলতা দান করবেন।
তারা পুরো হিন্দুস্থান দখলে আনবে। আল্লাহ ঐ দলের যোদ্ধাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন।
এবং তাদের সফলতা দান করবেন।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন,
আমি যদি ঐ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে পাড়ি তাহলে আমি আমার সকল নতুন-পুরাতন আসবাব পত্র বিক্রি করে দিবো এবং জিহাদে অংশ নিবো।
কারন, ঐ যুদ্ধে অংশ নিতে পারলে আমি হতাম জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রাহ।
রছুল (ছাঃ) মিচকি হাসলেন এবং বললেন, হে আবু হুরায়রাহ! তা তো অনেক দুরে,বহু দুরে।

{ উল্লেখ্য যে,, অন্য হাদিছে এসেছে,গাজোয়াতুল হিন্দের যুদ্ধাদের বদর ও উহুদের যুদ্ধাদের সমান সম্মান দান করা হবে। সুবহানআল্লাহ }
[ আল-ফিতান-ন্যুয়াইম বীন হাম্মদ,, হাদিছঃ ১২৩৬।
মুসনাদে ইছ্বহাক ইবনে রাহওয়াইহ -হাঃ ৫৩৭]
(গাজোয়াতুল হিন্দ প্রসঙ্গে আরো কিছু হাদিছ এসেছে,,, তবে সবগুলো উল্লেক করছিনা, পোষ্ট বড় হয়ে যাবে)
★তাই হাদিছ গুলো থেকে জানা যায়,,,,
*শেষ জামানায় হিন্দুস্থানেরর সাথে মুসলমানদের একটি বড় যুদ্ধ হবে,
* সেই যুদ্ধের সৈনিকরা জান্নাতে যাবে।
*তারা ঐ জিহাদের মাধ্যমে পুরো হিন্দুস্থান দখল করবে এবং ইসলামি রাষ্ট্র বিধান কায়েম করবে।
সেই যুদ্ধটাই হলো
*****গাজোয়াতুল হিন্দ*****
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ ((২)) গাজোয়াতুল হিন্দ এর জিহাদ কি হয়ে যায়নি?? ইতপূর্বেও তো অনেকবার হিন্দুস্থানেরর সাথে মুসলমানদের কতিপয় যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে,??

♦উত্তরঃ হ্যা এটা সত্য যে হিন্দুস্থানের সাথে মুসলমানদের বেশ অনেকবার যুদ্ধ হয়েছে এবং মুসলমানেরা তাতে অনেকবার বিজয়ের ঝান্ডাও বাজিয়েছে।
যেমনঃ
##হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর খেলাফত কালে সর্বপ্রথম ১৫ হিজরিতে হযরত ওছমান বীন আবুল আছের নেতৃত্বে একটি সেনা দল প্রেরন করা হয়।
যারা হিন্দুস্থানের থানা,ব্রুচ ও দেবল বন্দরে সফল অভিজান চালান। ব্রুচ বর্তমানে গুজরাট,, থানা বর্তমানে মুম্বাই এবং দেবল বর্তমানে করাচি শহর বলা হয়।
তারা এসময় "সরনদিব" জয় করেন,যাকে বর্তমানে ''শ্রীলঙ্কা' বলা হয়।
[ আতহার মুবারকপুরী,আল ইক্বদুছ ছামিন ফি ফুতুহিল হিন্দ(কায়রোঃ দারুল আনছার, ২য় সংস্করণ, ১৩৯৯ হিজরী/১৯৭৯ খ্রীঃ)
১/২৬,৪০,৪১,৪২]
##অতঃপর, মুয়াবিয়াহ (রাঃ) এর খেলাফতকালে (৪১-৬০ হিঃ) হিন্দুস্থানে কিছু জিহাদ হয়।
(আল-বিয়াদাহ:৬/২২৩)
## এরপর ৯৩ হিজরীতে খলিফা ওয়ালিদ বীন আব্দুল মালিকের আমলে মুহাম্মাদ বীন ক্বাছিম এর নেতৃত্বে সিন্দু ও হিন্দুস্থান কিছু বিজয়ি হয়।
(আল বিয়াদাহ-৯/৭৭,৯৫)
এরপর,,,গজনীর সুলতান
***♥সুলতান মাহমুদ♥**
এর নেতৃত্বে ভারত বর্ষের সাথে একাধিক বার জিহাদ হয় এবং প্রতিটি বারই সুলতানের সফল অভিজান এবং প্রচুর গনিমতের মাল লাভ হয়।
উল্লেখিত তিনি সোমনাথ মন্দির ধ্বংশ করেন,
(আল বিয়াদাহ ৬/২২৩, ১২-৩০)
##এরপর সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরী এর নেতৃত্বে একাধিক জিহাদের মাধ্যমে হিন্দুস্থানের বেশ পতন হয় এবং আজমীরে মন্দির ধ্বংশ করে মাসজিদ নির্মান করা হয়।
****-*****************
*********************
উপরক্ত তথ্য থেকে জানতে পারলেন যে,
বহুবার হিন্দুস্থানের সাথে জিহাদ হয়েছে এবং বিজয় ও এসেছে।
কিন্তু এর মধ্যেই ই কি সেই গাজোয়াতুল হিন্দ হয়ে গেছে??
না। হয়নি।
কারন, গাজোয়াতুল হিন্দ হবে শেষ জামানায়,। ঐ যুদ্ধের মাধ্যমে গোটা ভারতবর্ষ দখল হবে।
কিন্তু উপরের সকল জিহাদের কোনটাতেও গোটা হিন্দুস্থান মুসলমানদের দখলে আসেনি।
এবং ঐ গাজোয়াতুল হিন্দের পর হিন্দুস্থানে ১ তিল পরিমানও হিন্দু রসুম রেওয়াজ থাকবেনা,বলা আছে। কিন্তু তা কি বাস্তবে হয়েছে???
হয়নি।
তাই বলা যায় যে
গাজোয়াতুল হিন্দ ভবিৎষ্যতে হবে,এখনো হয়নি।
তবে যদি একটু গবেষনা করে দেখেন,
তাহলে বুঝতে পারবেন //
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ ((৩)) তাহলে কি গাজোয়াতুল হিন্দ ইমাম মাহদীর সময়?? নাকি ঈছা (আঃ)- এর আগমনের পর হবে?? কেউ বলে দাজ্জালের প্রকাশের ৭ মাস আগে হবে??

কোনটা সঠিক??

♦উত্তরঃ আমাদের মুসলিম উম্মাহর এক অংশ দাবি করেন যে, গাজোয়াতুল হিন্দ ইমাম মাহদির রাজত্বকালে, তারই নেতৃত্বে হবে।
এবং গাজোয়াতুল হিন্দ এর যোদ্ধাগন ভারতীয় উপমহাদেশের নেতাদের কে বেড়ী/শিকল পড়িয়ে বেধে নিয়ে শাম দেশে/শিরিয়ায় যাবে এবং সেখানে গিয়ে তারা ঈছা ইবনে মারিয়াম (আঃ) এর সাথে সাক্ষাত করবে।
তারা মুলত এ দাবি টা করে, তার উল্লেখযোগ্য কারন ২ টি।
যথাঃ
কারন(১) আবু হুরায়রাহ (রাঃ), হাদিছের ভুল ব্যাক্ষা এবং ছাফওয়ান বিন আমর (রা;) কর্তৃক বর্নিত দুর্বল /যঈফ হাদিছ।
[ নাসাঈ হাঃ ৩১৭৩-৭৪/ মুসনাদে আহমদ -৭১২৮ / হাকেম হাঃ ৬১১./ ন্যুুয়াইম বীন হাম্মদ কিতাবুল ফিতানঃ;১২০২/১২১৫/১২৩৬]
কারন(২) একটি হাদিছ
বইঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৩৬/ ফিতনা অধ্যায়।, হাদিস নম্বরঃ ২২৪১
২২৪১. আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) .......... মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহা হত্যাযজ্ঞ, কুসতুনতুনিয়া বিজয় এবং দাজ্জাল-এর আবির্ভাব ঘটবে সাত মাসের মধ্যে।
(ইবনু মাজাহ ৪০৯২)
এ বিষয়ে সাব ইবন জাছছামা, আবদুল্লাহ ইবন বুসর, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ,আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও বর্ণিত আছে এবং মান নির্বাচনে হাদিছটি ছহিহ নয়,বরং হাদীসটি হাসান/যঈফ।
কারন, তা অতি দুর্বল ছনদে বর্নিত এবং অনির্ভর যোগ্য। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমি অবহিত নই।
হাদিসের মানঃ কেউ কেউ হাসান বললেও,প্রকৃত অর্থে যঈফ (Dai'f)
,উক্ত হাদিছ গুলো থেকে মানুষ ধারনা করে যে, যেহুতু কুসতুনতুনিয়া বিজয় মাহদির আমলে হবে, তাহলে তার ৭ মাসের মাথায় দাজ্জাল বের হবে এবং তারপর ঈছা (আঃ) আসবেন।
কিন্তু উক্ত হাদিছ গুলো ইসবগুলোই যঈফ।
অথচ গাজোয়াতুল হিন্দ নিয়ে যে সকল ছহিহ (sahih) হাদিছ আছে তার সাথে মাহদি, ইছা (আঃ) বা দাজ্জালের কোনই সম্পর্ক নেই।
তাই যঈফ হাদিছ কে সনদ হিসেবে গ্রহন করাটা একেবারেই বোকামো।

প্রশ্নঃ((৪))
♦ গাজোয়াতুল হিন্দ "- এত বড় একটি জিহাদ, তাহলে মুসলমানদের আমির কোথায়? যখন কিনা,হাদিছ বলে মাহদী /ঈছা( আঃ) এর জামানায় গাজোয়াতুল হিন্দ হবেনা। তাহলে কার নেতৃত্বে, গাজোয়ায়ে হিন্দ হবে??

♦উত্তরঃ হ্যা, একবাক্যে শিকার করতে হবে যে, এটা একটি বিরাট গুরুত্বপূর্ন জিহাদ। এই জিহাদ টি তে রয়েছে অভুতপূর্ন সফলতা,।
রয়েছে বিজয় ও জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।
এই জিহাদের ফজিলত অনেক। হাদিছ শরীফ থেকে জানা যায়, রছুল (ছাঃ) নিজেই যদি বেচে থাকতেন,, তাহলে তিনিই এই যুদ্ধের সেনাপতি হতেন।
কিন্তু তিনি আর বেচে নেই।।
তাহলে কে হবে এই গাজোয়াতুল হিন্দ এর সেনাপতি??
#ইমাম মাহদী???
কিন্তু ১ম পর্বটি দেখুন, প্রমান করেছি যে, ইমাম মাহদীর আগমনের আগেই হবে, এই "গাজোয়াতুল হিন্দ".
#ইছা (আঃ) এর জামানায়??

না, সেটাও হবেনা। হাদিছ দ্বাড়া প্রমানিত।
#তাহলে কি কোন আল্লাহ প্রদত্ত সেনাপতি থাকবেন না?
#অবশ্যই থাকতে তো হবেই, কেননা, হিন্দুস্থান বিজয় করা একটা বিশাল ব্যাপার, সেখানে মুসলমানদের সঠিক গাইডার প্রয়োজন।
তাই,,, সেনাপতি তো থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
যদিও হাদিছে এই যুদ্ধের সেনাপতির কোন তথ্য পাওয়া যায় না, কিন্তু
শাহ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর ক্বাসিদাহ ও আস-শাহরান এর "আগামী কথন' বলে যে,

এই গাজোয়াতুল হিন্দের সেনাপতি হবেন ২ জন।
১)) ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ।
এবং
২)) সাহেবে কিরান।
★ সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ,
হাতে নিয়ে শমসের।
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবে,
ময়দানে যুদ্ধের।
(ক্বাসিদাহ)
★ শীন সে তো সাহেবে কিরান।
মীম-এ হাবিবুল্লাহ।
জালিমের ভুমিতে ঘটাইবে মহালয়,
সাথে আছে মহান আল্লাহ।
(আগামী কথন)

তাদের নেতৃত্বেই গাজোয়াতুল হিন্দ হবে, সেটাই অধিক যুক্তি সংগত।
(পরবর্তিতে আরও যুক্তি উপস্থাপন করা হবে)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((৫))
কে এই হাবিবুল্লাহ?
কে এই সাহেবে কিরান?

♦উত্তরঃ আপনাদের কে হয়তো নতুন করে বলতে হবেনা, সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহর পরিচয়।
কারন, আমি আমার গত ধারাবাহিক আয়োজন
★"দুয়ারে দাড়িয়ে দ্বিতীয় কারবালা"★ --তে উল্লেখ করেছি।
★#হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)- থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রছুল (ছাঃ) বলেছেন,আখেরী জামানায়, ইমাম মাহদী র পূর্বে ইমাম মাহমুদ-এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে। তার যামানায় মহাযুদ্ধের বজ্রাঘাতে বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে,এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে। সে তার সহচর বন্ধু কে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালোনা করবে-যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে।
তোমরা তাদের পেলে যানবে,ইমাম মাহদীরর প্রকাশের সময় হয়েছে।
(আসরে যুহরি,১৮৭ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ২৩৩ পৃঃ
ইলমে তাছাউফঃ ১৩০ পৃঃ
ইলমে রাজেনঃ ৩১৩ পৃঃ
বিহারুল আনোয়ারঃ ১১৭ পৃঃ)
(উক্ত হাদিছ টি এই পাচটি গ্রন্থে উল্লেখ্য রয়েছে।
অধিকাংশ মুহাদ্দিছগন ব্যক্ত করেছেন,উক্ত হাদিছটি ছহিহ, কেউ কেউ বলেছেন,হাসান।)
#আবু বছির (রঃ) বলেন, যাফর সাদিক (রঃ) বলেছেন,
মাহদীর আগমনের পূর্বে, এমন একজন খলিফার আবির্ভাব ঘটবে, যিনি হবেন, মাতার দিক থেকে কাহতানি এবং পিতার দিক থেকে কুরাঈশী। তার নাম মাহদীর নামের সাথে কিছুটা সাদৃশ্যমান হবে এবং তার পিতার নামও কিছুটা মাহদীর পিতার নামের সাদৃশ্যমান হবে।
(ইলমে তাছাউফ ঃ ১২৮ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ ২৩২ পৃঃ)
অর্থাত, মাহমুদ।
এবং তার বন্ধু সাহেবে কিরান।
তারা দুজনি আল্লাহর মননিত বান্দা।
আর ঐ সময় আমাদের একটাই করনীয়, আর তা হলো ""সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ ""- এর দলে যোগ দান করা। কারন তারা আল্লাহর মননীত প্রেরিত বান্দা এবং তাদের দলই আল্লাহুর দল। অতএব,, তারাই সে সময়ের মুক্তির দূৎ। তাদের দলের বাইরে গেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। আর তাদের সাথে মিলে শত্রুর মুকাবিলা করলে,,আমরা অবস্যই সফলতা পাবো!

প্রশ্নঃ((৬))
♦উত্তরঃ সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহর নেতৃত্বেই "গাজোয়াতুল হিন্দ হলে কোথায় পাবো তাদের? কিভাবে চিনবো)?কি করবো তখন?

♦উত্তরঃ আমরা প্রকৃত সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ কে কিভাবে চিনতে পারি,তা নিম্নরুপঃঃ
★ হাবিবুল্লাহ প্রেরিত আমির,
সহচর তার সাহেবে কিরান।
কিরানের হাতে থাকিবে জিহাদের,
কুদরতি অস্র ""উসমান""!
এবং,,
★ হাতে লাঠি, পাশে জ্যোতি,
সাথে সহচর "শীন"!
মাহমুদ এসে এই জমিনে প্রতিষ্ঠা করিবেন দ্বীন।
(আগামী কথন)
এবং,, ক্বাসিদাহ তে বলা হয়েছে,
★ সাহেবে কিরান, হাবিবুল্লাহ,
হাতে নিয়ে সমসের।
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পরিবে,
ময়দানে যুদ্ধের।
এবং,
★ কাপিবে মেদেনি সিমান্ত,
বীর গাজিদের পদভারে।
ভারত প্রানে আগাইবে তারা,
মহা রণ হুঙ্কারে।
♦অতএব, উক্ত পুথিমালাগুলো থেকে জানা গেলো, সাহেবে কিরানের হাতে এমন একটি কুদরতি অস্র থাকবে , মানে এমন কোন একটি অস্র থাকবে যার নাম হবে "উসমান"
ঐ অস্রের অনেক অলৌকিক কেরামত থাকবে।
এবং হাবিবুল্লাহর হাতে একটি লাঠি থাকবে। সেটাও অলৌকিক কেরামত সম্পুর্ন হবে এবং, পাশে জ্যোতি থাকবে ,। হয়তো বিষেস কিছু, বা জ্ঞান বা কোন শক্তিশালি বাহন।(আল্লাহু আলাম)
♦♦♦♦♦♦♣♣♣♣♣♣

♣প্রশ্নঃ ((৭))
কোন স্থান থেকে সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ প্রকাশ পাবেন?? তারা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করবেন??

♦উত্তরঃ★ বাংলাদেশ★ বা তার আশপাশের কোন এক দেশেই হয়তো তারা থাকবেন।
কারন, গাজোয়াতুল হিন্দ অর্থই ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদ। গাজোয়া অর্থ জিহাদ,
আর হিন্দ অর্থই এই ভারতীয় উপ মহাদেশ।
আর যে দেসের জিহাদ হয়,মুলত ঐ দেশ থেকেই সতর্ককারিদের আগমন হয়।
যেমনঃ
♦ মক্কা বা আরব বিজয়,হলো, মুহাম্মাদ (ছাঃ) ও আরবের নাগরিক ছিলেন।
♦মিশরের বিজয়ে মুছা(আঃ) মিসরের নাগরিক।
♦ নিজ মাতৃভুমি বিজয় করলেন, দাউদ (আ)
♦নিজ মাতৃভুমি বিজয় করলেন অধিকাংশ সতর্ককারি গন♦
তা থেকেই বোঝা যায়, তারা এই ভারতীয় উপমহাদেশের ই অন্তরভুক্ত হবেন।
যেহুতু সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ ""দ্বিতীয় কারবালা ""চলাকালিন সময়ে প্রকাশিত হবেন,, এবং তার প্রতিবাদে, জিহাদের জন্য সৈন্য নিয়ে ভারতপ্রানে অগ্রসর হবেন,তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ এই ভারতীয় উপ-মহাদেশেরই কোন এক ভুখন্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন।
কেননা, অচিরেই এদেশে দ্বিতীয় কারবালা★ হবে। আর সে সময় তাদের প্রাপ্তবয়স হতে হবে। তাই বলা যায়, তারা এখন এই ভারতীয় উপমহাদেশেই রয়েছেন।(আল্লাহ আলাম)
তবে তারা যে ভারতে নেই,সেটা বোঝা গিয়েছে। কেননা, ক্বাসিদাহ তে শাহ নেয়ামতউল্লাহ( র) বলেছেন,
""ভারত পানে আগাইবে তাহারা, মহা রণ হুঙ্কারে।""
অতএব,তারা ভারতের বাইরে তার আশ পাশে কোথাও হয়তো আছেন।
(আল্লাহু আলাম)
তবে মায়ানমারেও নেই,কেননা, রাখাইনের হত্যাযঙ্গে তারা চুপপ থাকতেন না।
শ্রিলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানেও তাদের থাকার কোনই তথ্য মেলেনা।
বরং,, মেলে শুধু ♦পাকিস্থান ও বাংলাদেশ।♦
তারা হয়তো উক্ত ২ টি দেশের কোন একটি দেশেই বর্তমানে আছেন।
[ ইয়া আল্লাহ তাদের কে চেনার এবং তাদের দলে যোগদান করার সুযগ দান করুন, আমিন]
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((৮))
কত সালে এই গাজোয়াতুল হিন্দ হবে?

♦উত্তরঃ যেহুতু এই গাজোয়াতুল হিন্দ হবে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় কারবালা হবার পর।
আর দ্বিতিয় কারবালা হবে ফোরাত নদীর সোনার পাহাড় প্রকাশের পর।
আর হাদিছ থেকে প্রমান করেছি যে, ফুরাত নদির সোনার পাহাড় ২০২৩ সালে প্রকাসিত হবে ইংশা আল্লাহ।
আর তার বছর খানেক পর,
দ্বিতীয় কারবালা " সুরু হলে,
তার কয়েক মাস পর,
শুরু হবে "'গাজোয়াতুল হিন্দ ""..
অর্থাৎ,
২০২৪ সালেই শুরু হতে যাচ্ছে
""গাজোয়াতুল হিন্দ ""
( যদিও এর ত্বাত্তিক বিশ্লেষন রয়েছে-- তা পরবর্তিতে আবার দির্ঘ্য আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করবো!
ইংশাআল্লাহ)


♣ প্রশ্নঃ((৯))দ্বিতীয় কারবালা থেকে ""গাজোয়াতুল হিন্দ"" --যুদ্ধ চলবে কিরুপে,?? 

কোন পর্যায়ে এবং কোন পদক্ষেপে যুদ্ধ চলবে???
♦উত্তরঃ বন্ধুরা এটি একটি বিরাট গবেষনা। বস্তুত, এই গবেষনাটা একটি আনুমানিক ও সাম্যক তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষন।
এই গাজোয়ায়ে হিন্দের মাধ্যমে, পুরো ভারত সহ, ভারতীয় উপমহাদেশের সকল রাস্ট্র দখলে নেবে মুসলিমরা। আর তা যে একটি বিরাট ব্যপার তা তো বুঝতে বাকি নেই।
প্রথমত,,, মুসলিম দের বাহিনিটা ভারতে প্রবেশ করবে, মেদেনীপুর হয়ে।
ক্বাসিদাহ এ শাহ নেয়ামতউল্লাহ( রহ) বলেন,
"কাপিবে মেদেনী সিমান্ত,
বীর গাজীদের পদভারে।
ভারত পানে আগাইবে তারা
মহারণ হুঙ্কারে।""
******************
যুদ্ধের সময় ভারতীয় মালাউনের বিশাল বাহিনি, মুমিনদের উপর আক্রমন করতে অগ্রসর হবে।
যখনি মুমিনদের একটি দল ভারতের সাথে জিহাদ ঘোষনা দিবে, তখনি দেখা যাবে লক্ষ লক্ষ বীর মুসলিম, ঐ ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরানের দলে যুক্ত হবে।
কেননা, গাজোয়ায়ে হিন্দ করার জন্য অধির আগ্রহে দিন পার করছে হাজারো ইসলাম প্রিয়, বীর জনতা
তারা যখনি দেখবে যে মুমিনদের সেনাপতি চলে এসেছে তখনি সকলেই ঢেউএর গতিতে জিহাদে অংশ নিবে।
এর একটি বড় কারন,হলো,
এই জিহাদ সফলতার জিহাদ।
#ধারনা করা যায় যে,
এই জিহাদে ভারতের প্রদেশ গুলো একটি একটি করে দখলে আসতে থাকবে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((১০)) এই জিহাদে মুমিনদের সাহায্যার্থে কি কোন বিরাট দল এগিয়ে আসবেনা???

♦উত্তরঃ হ্যা নিশ্চই সাহায্য করবে। কেননা, এই জিহাদে সারা বিশ্বের প্রকৃত ইসলাম প্রিয় রাষ্ট্রগুলো মুমিন দের সহযোগিতা করবে।
আর যদি, ক্বাসিদাহ এবং "আগামী কথন" দেখি, তাহলে যানতে পারবো, যে,
★ সেইক্ষনে মিলিবে দক্ষিনী বাতাস,
মুমিনদের সাথে দুই আলিফদ্বয়।
মুশরিক জাতি মানবে পরাজয়,
মুমিনদের হইবে বিজয়।
(আগামী কথন)
প্যারাঃ(২৩)....
★ব্যখ্যাঃ ,
এই প্যারায় আস-শাহরান ভবিৎষতদ্বানি করে বলেছেন যে,,
"" সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহর নেতৃত্বে "" গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য,,, যখন মুমিনগন,,ভারতে দিকে অগ্রসর হবে,, ও যুদ্ধ চালাবে,,,, তখন,,,,,
মুমিনদের সাহায্যের তাগিদে,,,,মহান আল্লাহ তাআলা,,,
দুইটি ইসলামি দল বা দেশ কে মুমিনদের দলে যোগ করিয়ে দিবেন।।
# সেই দুইটি দল বা দেশের নামের প্রথম হরফ হবে,,,,, আরবির "" আলিফ "" হরফ দিয়ে।।"বির গাজি মুমিন""দের সাথে তারা যোগদান করে,, হিন্দুস্থানের মুসরিকদের পরাজিত করবে।
হিন্দুস্থান পুরোপুরি মুমিন মোসলমানদের দখলে চলে আসবে।।।
★★ এই প্রসঙ্গে হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) - তার ভবিৎষত বানির কবিতা বই "" ক্বাসিদাহ"" এ ভবিৎষত বানি করে বলেছেন যে,,,,,
## যখন মুমিনেরা সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহর নেতৃত্বে ভারত বিজয়ের জন্য ভারতে মহা যুদ্ধে লিপ্ত হবে,,তখন,,
মুমিনদের পাশে--------
★মিলে একসাথে দক্ষিনি ফৌজ,,
ইরানি ও আফগান।।।
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা,,
আনিবে হিন্দুস্থান।।
{ ক্বাসিদাহ,,, প্যারাঃ৪৭)
$$ আগামি কথনের এই প্যারায়,,, বলা আছে যে,,
গাজওয়াতুল হিন্দের সময়,, সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহর দলে,,, যে দুই দেশ যোগ দিবে এবং,,,
হিন্দুস্থান বিজয় করে পুরোপুরি মুসলমানদের দখলে আনবে,,,সেই দেশ দুইটি হলো,,
১# ইরান। ও
২# আফগানিস্থান।।।
"" অতএব জানা গেলো যে,,, সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহর দলে,,
ইরান,,,,,,,,,, এবং,,,,,,
আফগানিস্থানের মিলিত হবার পর এই ৩ দলের সংঘবদ্ধ শক্তির উছিলায়ই মহান আল্লাহ

*** গাজওয়াতুল হিন্দে*** মুসলমানদের বিজয় দান করবেন।।।
যে বিজয়ের ওয়াদার ভবিৎষতদ্বানি হিসেবে মহান আল্লাহ,,,,, তার প্রিয় রছুল (ছাঃ),, এর মাধ্যমে অনেক পুর্বেই দান করেছিলেন।
এবং,,,,
# ক্বাসিদাহ তে শাহ নেয়ামতউল্লাহ,,, এবং
# আগামী কথন' এ * আস-শাহরান
ভবিৎষতদ্বানি করেছেন।।।
(( আল্লাহ আলিম))
( আল্লাহ যেন আমাদের সঠিক পথ চেনার সুযগ দান করেন){{{ আমিন}}}...
উক্ত তথ্য থেকে বোঝাগেলো,
ইরান ও আফগানিস্থান ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরানের দলকে বিরাট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। যার ফলশ্রুতিতে গাজোয়াতুল হিন্দের বিজয়ের নিশান উরবে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((১১)) ইরাক ও আফগানিস্থান কিভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে??

♦উত্তরঃ এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে হলে , বিবেক দ্বাড়া বিবেচনা করতে হবে।।
যেহুতু গোটা বিশ্বের মধ্যে ইরান ও আফগানিস্থান উল্লেখ্য যোগ্যতা পেয়েছে,
তাই বোঝাই যাচ্ছে, তারা কোন একটা বড় ভুমিকা রাখবে।
যদি ইরানের দিকে তাকাই,
এবং তাদের সামর্থ্যানুযায়ী সাহায্য কল্পনা করি,
দেখতে পাবোঃ
#ইরান সামরিক শক্তির দিক দিয়ে প্রচুর অগ্রসর।
তাদের রয়েছে শক্তিশালি ক্ষেপনাস্র।
# রয়েছে ২ টি বিষেস বাহিনি। যার একটি সাধারন নিয়মিত বাহিনি এবং অপরটি বিষেস বিপ্লবী গার্ড বাহিনি। এবং যারা গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শি তারাও।
#সামরিক বোবেচনায়,ইরান বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের একক বৃহৎ শক্তি।"
#প্লাস্টিক ক্ষেপনাস্র তৈরি করেছে তারা,যা তাদের দেশটির বিরাট একটি সুরক্ষা সিস্টেম।
# সম্পুর্ন দেশিও প্রযুক্তিময় যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করেছে ইরান।যেগুলো ঘন্টায় ১৫০ কি,মি, বেগে চলতে সক্ষম।
#ইরান বর্তমানে অত্যধুনিক কিছু যুদ্ধ বিমানের সংযোগ ঘটিয়েছে তাদের দেশে।
#আকাশপথে তাদের সামর্থ অধিক।
আফগানিস্থানের সারমিক শক্তিঃ
#আফগানিস্থান সামরিক শক্তিতে পিছনে পড়ে রয়েছে।
#দেশটির তেমন কোন বিষেস যুদ্ধাস্র নেই।
#রয়েছে শুধু সামরিক বাহিনি।
#তবে একটি বড় ব্যাপার হলো সেখানকার তালেবান গোষ্ঠী।
#যারা বিশাল বাহিনি ও যোদ্ধা।
#একটি গবেষনায় জানা গিয়েছে, ২০০০ সালের পর থেকে, ঐ দেশটির সকল সামরিক বাহিনিদের মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে তালেবান সমর্থক।
#যারা তালেবানদের সাহায্য করে চলেছে,গোপনে।
#এমনকি তালেবানদের সকল অভিজান সহজ এবং বিজয়ী হবার পিছনে রয়েছে এই সমর্থন ও তার কার্যক্রম।
এভাবেই ইরান সাহায্য করবে বিভিন্ন অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্র ও আকাশ পথে।
এবং আফগানিস্থান সাহায্য করবে জননশক্তিতে।
(তথ্য উপাত্তের বিশ্লেষন। বাকি টা আল্লাহ মালুম)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এভাবেই কয়েক মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলতে থাকবে।
অগনিত মুমিন যোদ্ধারা শাহাদাত বরন করবেন। এবং জান্নাতের দিকে পা বাড়াবেন।
এবং অসংখ্য কাফের মুশরিক,মালাউনরা কতল হবে এবং জাহান্নামের দিকে পতিত হবে। ধীরে ধীরে মুমিনদের বিজয় হতে থাকবে,বিভিন্ন শহর,।
যুদ্ধ, চলতে থাকবে----

প্রশ্নঃ((১২))
এভাবেই যুদ্ধ চলার পর কি যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে???
গাজোয়াতুল হিন্দ শেষ হয়ে যাবে???

♦উত্তরঃ ((((( না ))))))
একদমই তা নয়,।।
বরং এই গাজোয়াতুল হিন্দ হলো,
এক মহা বিধ্বংশি,,,,,,,,মহাক্ষতিকর সূচনা।
তা হলো
★তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের★ সূচনা।
চলুন দেখি
শাহ নেয়ামতউল্লাহ,, তার ক্বাসিদাহ গ্রন্থে কি বলেছেনঃ
★ ভারতের মত পশ্চিমাদেরও
ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে
ঘটাইবে মহালয়
(ক্বাসিদাহঃ৫১)
এবং
চলুন দেখি,
আস্-শাহরান তার **আগামী কথন**এ কি বলেছেনঃ
★ অনত্র পশ্চিমা বিশ্ব তখন,
সৃষ্টি করিবে বিপর্যয়।
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে,
ঘটাইবে বড় মহালয়।
(
******************
বর্তমান সময়ে স্পষ্ট সেই তৃতীয় সমরের প্রস্তুতি চলছে। অর্থ্যাৎ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুসলমাদের বিরুদ্ধে কাফিররা যুদ্ধ করছে তথা জুলুম নির্যাতন করছে। এই জুলুম নির্যাতনই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে রূপ নিয়ে এক সময় কাফের মুশরিকদের ধ্বংসের কারণ হবে। এখানে বলা হচ্ছে মহালয় বা কিয়ামত শুরু হবে যাতে পশ্চিমারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
আর গাজোয়াতুল হিন্দ চলতে থাকা কালে যখন, হিন্দুস্থানের সাথে জিহাদ করতে
বাঙ্গালিরা সহ,
পাকিস্থানের মুমিনরা,
আফগানিস্থানের জিহাদিরা,
তালেবান গোষ্ঠীরা,
ইরানের রাস্ট্রিয় সামরিক সহযোগিতা সহ,,
,বিভিন্ন জিহাদি দল এবং যারা গাজোয়াতুল হিন্দের প্রত্যাশী তারাও যখন
ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরানের
দলে যোগ দিতে থাকবে তখন
বিশ্ব জাতি সংঘ আইন লঙ্ঘন হবে এবং কোন প্রতিরোধক বাধ থাকবে না,,
ঐ সময় যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ টা কতটা স্বাভাবিক,
তা আপনারা বিশ্ব রাজনৈতিক সরযন্ত্রের জ্ঞান রাখলেই বুঝতে পারবেন।আশা করি।।

প্রশ্নঃ((১৩)) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা কোথা থেকে??

♦উত্তরঃ বন্ধুরা, যদি এক কথায় বলি, তাহলে বলতে হবে, গাজোয়াতুল হিন্দ ই মুলত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা।
চলুন দেখি
শাহ নেয়ামতউল্লাহ,, তার ক্বাসিদাহ গ্রন্থে কি বলেছেনঃ
★ ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়
(ক্বাসিদাহঃ৫১)
এবং
চলুন দেখি,
আস্-শাহরান তার **আগামী কথন**এ কি বলেছেনঃ
★ অনত্র পশ্চিমা বিশ্ব তখন,
সৃষ্টি করিবে বিপর্যয়।
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে,
ঘটাইবে বড় মহালয়।
******************
#বন্ধুরা দুইটি গ্রন্থেই বলা হয়েছে যখন ভারতীয় উপমহাদেশে """গাজোয়াতুল হিন্দ """ চলতে থাকবে, ঠিক একই সময়ে অন্যত্র বা অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে নেমে পরবে।।
বর্তমান সময়ে স্পষ্ট সেই তৃতীয় সমরের প্রস্তুতি চলছে। অর্থ্যাৎ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুসলমাদের বিরুদ্ধে কাফিররা যুদ্ধ করছে তথা জুলুম নির্যাতন করছে।।
আর উক্ত গাজোয়াতুল হিন্দের সমাপ্তি হবার আগেই আবার ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।
আর শুধু ভবিৎষ্যতবানির কবিতা গুলোই নয়,,,
যদি আপনি বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির উপন নজর রাখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ কতটা নিকটে।।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((১৪))
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাস্র কি?? সেখানে কি প্রানঘাতি পারমানবিক অস্রসহ,সকল সাংঘাতিক অস্রের ব্যবহার হবে???

♦উত্তরঃ সংবাদটা কষ্টের হলেও চরম সত্য,,,,,
নিঃশ্বন্দেহে এই বিশ্বযুদ্ধে শক্তিশালী পারমানবিক অস্র, হাউড্রোজেন বোমা, মারাত্বক যুদ্ধাস্র,ক্ষেপনাস্র, সহ সকল প্রকার অত্যাধুনিক যুদ্ধের অস্র ব্যবহৃত হবে।
সেটাই স্বাভাবিক।।
কেননা, এই বিশ্বযুদ্ধের উৎপত্তি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে। আর আমরা যদি পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো,
পশ্চিমা বিশ্বের সকল রাষ্টগুলো এখন যার যার মতো করে নিজ দেশের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি ও যুদ্ধের বিশাল প্রস্তুতি গ্রহন করেই চলেছে।
এমনকি তারা তাদের শত্রুদেশগুলোকে প্রকাশ্য হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে অবিরত।
বর্তমানে তারা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক মহা প্রস্তুতিকরণ গ্রহন করছে।
আর বর্তমান আধুনিক বিশ্বে আধুনিক অস্রদারা যুদ্ধ হবে। সেটাইস্বাভাবিক।
অতএব বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ভয়ংকরি আকার ধারন করবে এই মহাযুদ্ধ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((১৫))এই যুদ্ধটা চলবে কিভাবে?? কোন দেশ কোন দেশের বিরুদ্ধতা করতে পারে??

♦উত্তরঃ এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধ যখন সংঘটিত হবে, তখন যে কতটা দুর্যোগ নেমে আসবে তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
এই যুদ্ধে কে কার বিরোধিতা করবে,তা সম্মন্ধে ক্বাসিদাহ তে তেমন বিস্তারিত না থাকলেও ""আগামী কথন★ এ এর সুন্দর একটি বিস্তর তথ্য উপস্থাপন করেছেন "আস-শাহরান।
তিনি বলেছেনঃ
প্যারাঃ (২৮)....
কুর্দি কে এ রনে করিবে ধ্বংশ,
কঠিন হস্তে আরমেনিয়া।
আরমেনিয়ায় ঝড় তুলিবে
সম্মুখ সমরে রাশিয়া।
★প্যারাঃ (২৯)....
রাশিয়া পাইবে কঠিন শাস্তি,
মাধ্যম হইবে তুরষ্ক।
তাহার পরেই এই মাধ্যমকে,,
কুর্দি করিবে ধ্বংশ।

★প্যারাঃ (৩০).....
এরই মাঝেই চালাবে তান্ডব,
পার্শদেশ কে হিন্দুস্থান।
বজ্রাঘাতে হইবে ধ্বংশ,
বেইমানের হাতে পাকিস্থান।
প্যারাঃ (৩১)
★ তাহার পরেই হিন্দুস্থান কে,
ধ্বংশ করিবে তিব্বত।
তিব্বত কে করিবে সে রনে তখন,
একটি আলিফ বধ।
*********************
********************
ব্যাক্ষাঃ
আস শাহরান বলেছেন,, কুর্দিকে এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংশ করবে,আরমেনিয়া। এবং,,আরমেনিয়ার সাথে লড়াইএ মাতবে রাশিয়া।
{ কুর্দি= যারা ইরাক,সিরিয়া,ও ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় এবং, তুরষ্কের পূর্বাঞ্চলীয় বাসিন্দা}
আরমেনিয়া=ইরানের উত্তরে এবং তুরষ্কের পুর্বদিকে, কাস্পিয়ান সাগর ও কৃষ্ণ সাগরের মাঝে অবস্থিত।
তারপর রাসিয়ায় আক্রমন চালাবে তুরষ্ক। আর ঠিক তখন,তারপরই,, তুরুষ্ককে কুর্দি জাতি আক্রমন করে ধ্বংশ করে দিবে।
ব্যক্ষাঃ এর মাঝেই ভারত তখন,,, পাকিস্থানের উপর তান্ডব চালাবে। তারা বজ্রাঘাতে( পারমানবিক বোমা হামলার মাধ্যমে) পাকিস্থানকে ধ্বংশপ্রাপ্ত করবে।
যখন পাকিস্থান কে ভারত ধ্বংশ করে দিবে তখন,,চিন(তিব্বত) তখন আবার ভারতকে ধ্বংশ করে দিবে। এবং,, তার পরপরই চিন কে আবার একটি দেশ ধ্বংশ করবে,বধ করবে। সে দেশটির নাম আরবীতে "আলিফ" হরফে শুরু। অর্থাৎ "অ্যামেরিকা " যা ক্বাসিদাহ তেও উল্লেখ হয়েছে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((১৬)) উপরের তথ্যতে জানতে পেরেছি যে, ভারত পাকিস্থানের সাথেও যুদ্ধ করবে, এবং চিনও যুক্তহবে।
গাজোয়াতুল হিন্দ তো চলছিইলো,তাহলে কিভাবে ভারত পাকিস্থানের ঊপর হামলা করবে,??

♦উত্তরঃ হ্যা বন্ধুরা,, এটা হওয়াটা স্বাভাবিক।
কিন্তু এই হামলা টা মুসলমান কর্তৃক হবেনা
বরং, ভেবে দেখুন,
৩য় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু যখন শুরু হয়েছে তখন কিন্তু গাজোয়াতুল হিন্দ সমাপ্ত হয়েছিলো না। ভারতো পুরোটা দখলে এসেছিলোনা।বরং কিছু অংশ দখলে এসেছিলো এবং বাকি অংশ মালাউনদের হাতেই ছিলো।
আর মালাউনরাই তখন অন্য দেশকে হামলা করবে এবং মালাউনরাই অন্য দেশের আঘাতে ধ্বংশ হবে ও মুমিনদের জন্য হিন্দুস্থান দখল করা সহজ হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ উপরের তথ্য টা কেবল উল্লেখ যোগ্যতা পেয়েছে যে কোন দেশ কোন দেশকে ধ্বংশ করবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অন্যদেশগুলোতে কি তাহলে যুদ্ধ হবেনা?হ্যা প্রতিটি দেশই যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে।। কারন, সেটাই বিশ্ব যুদ্ধ।

প্রশ্নঃ((১৭)) তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এবং *সুরা দুখান* এর প্রসঙ্গঃ

♦উত্তরঃ আমরা জানি, প্রবিত্র কুরআনে বর্নিত ৪৪ তম সূরা -----সুরা আদ-দুখান"
আমরা জানি, দুখান অর্থঃ ধোয়া।
আর এই সুরার নামকরণ করা হয়েছে, সুরায় বর্নিত ধোয়ার আগমন ঘটার কাহিনি হতে।
বলা হয়েছেঃ
- অতএব আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন, যখন আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে।
যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।
তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।
অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে।
আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে।
যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
[ সুরাঃ আদ-দুখান।আয়াতঃ ১০-১৬]
অর্থাৎ, একটি ভবিৎষ্যতের ঘটনা বলা হয়েছে যে,,
আকাশ ধোয়ায় ছেয়ে যাবে। মানুষকে আযাবে ঘিড়ে ফেলবে ঐ ধোয়া।
শাস্তি চলা কালিন সময়ে সারা বিশ্বের মানুষই বলবে,আমাদের উপর থেকে আযাব তুলে নিলে,আমরা ইমান আনবো।
তারপর,আযাব সরিয়ে নিলে,অধিকাংশ মানুষই আবার পথভ্রস্ট হবে।
এবং হাদিছ বলছেঃ
কিয়ামতের বড় ১০ টি আলামতের মধ্যে,,, ১ টি হলোঃ আকাশ ধোয়ায় ছেয়ে যাবে""
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
****************--

প্রশ্নঃ ((১৮))
কবে কখন আসবে সেই ধোয়ার আযাব,???

♦উত্তরঃ এই সম্মন্ধে,
আগামী কথন নামক একটি ভবিৎষ্যতবানির কবিতায় লেখক ""আস-শাহরান"" বলেছেনঃ
#প্যারাঃ (৩৩)
★ বিশ্ব রনে কালো ধোয়ায়,,
অন্ধকার থাকিবে আকাশ।
দেখিবে তখন জগৎবাসি,,
দুখানের দশম বানীর প্রকাস।।
ব্যাক্ষাঃ লেখক আস শাহরান প্রকাশ করেছেন যে,, যখন,৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে,,ঐ যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে,, ধোয়ার কারনে আকাশ দিনের বেলায়ও অন্ধকার দেখাবে।। আর মানুষ সেই দিন সুরা আদ-দুখানের ১০ নং বানির বাস্তবতা দেখতে পাবে।
# মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,,
(( অতএব,,আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন,, যে দিন আকাশ সুস্পষ্ট ধোয়ায় ছেয়ে যাবে!
সুরাঃ আদ-দুকান। আয়াতঃ ১০))
# প্যারাঃ (৩৪)
★ সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে
বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত।
দুই-তৃতীয়াংশ মানব হাড়াইবে প্রান,,
রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।।
ব্যাক্ষাঃ এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধর সময় সাত(৭) মাস ধোয়ার কারনে পৃথিবি অর্ধ-অন্ধকার থাকিবে।
$# হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেন,,, কিয়ামতের বড় ১০ টি আলামতের মধ্যে,, একটি হলো,,
আকাশ কালো ধোয়ায় ছেয়ে যাবে))
# আর এই যুদ্ধের এই অবস্থার
কারনটা হয়তো,,আমরা সবাই বুঝতেই পারছি যে,, ২০২৫ সালে যদি এরুপ যুদ্ধ সংঘটিত হয়,,তাহলে, নিশ্চই তা,, অতি আনবিক, হাইড্রোজেন, পারমাণবিক সহ সকল প্রকার শক্তিসালি যুদ্ধ অস্র ব্যবহৃত হবে। যার বিষ্ফরনের ফলশ্রুতিতে,,
# পৃথিবির আকাশ ধোয়ায় ঘিড়ে যাবে।
# অসংখ্য অগনিত, মানব-দানব, পশুপাখি, গাছপালা মারা যাবে।।
# ফসল উৎপাদন হবে না।
## হাদিস অনুযায়ি ইমাম মাহদির প্রকাশের পুর্বে ২ ধরনের মৃত্যু দেখা যাবে।

(১) স্বেত মৃত্যু = ৩য় বিস্বযুদ্ধের কারনে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ১-২ বছর ফসল উৎপা দন না হওয়ার ফরে সংঘটিত দুর্বিক্ষ (খড়া) র কারনে।
(২) লোহিত মৃত্যু= যুদ্ধে রক্তপাতের কারনে মৃত্যু।
***------**********---------*********------***
#প্যারাঃ (৪০)
★ অবিশ্বাসি জাতির উপর
গজব নাজিল হবে তখন-
পচিশ সনের মহা সমরে
ধোয়ার আযাব আসিবে যখন।
[ ভবিৎষতবানী অনুযায়ি ]
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((১৯))
এই বিশ্বযুদ্ধ কবে সংঘটিত হবে???

♦উত্তরঃ যেহেতু এই বিশ্বযুদ্ধ, গাজোয়াতুল হিন্দের সময় কালেই উৎপত্তি হবে,
আর এটাও প্রমান করেছি,
গাজোয়াতুল হিন্দ ২০২৪ সালে হবে, এবং গাজোয়াতুল হিন্দ কয়েক মাস চলা কালিন সময়ে বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে।
সুতরাং, ২০২৫ সালের দিকেই, এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটীত হবে।
আগামী কথন পূথীমালা তে বলা হয়েছে,
প্যারাঃ (২৭).....
♥দ্বিতিয় বিশ্ব সমর শেষে
আষি বর্ষ পর,,,
শুরু হবে ফের অতি ভয়াবহ,
তৃতীয় বিশ্ব সমর।
ব্যাক্ষাঃ লেখক,,আস -শাহরান প্রকাশ করেছেন,যে,,
দ্বিতিয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হবার ৮০ বছর পর,, আরো ভয়াবহ আকারে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে।
আমরা সবাই জানি যে, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে,,
১৯৪৫ সালে।
অতএব,,
১৯৪৫+৮০=২০২৫ সাল।
অর্থাৎ,, ২০২৫ সালেই গাজওয়াতুল হিন্দের সময়ই,,,৩য় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা হবে।
(ভবিৎষতবানি অনুযায়ি)।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ ((২০))
এই বিশ্বযুদ্ধে কত মানুষ মারা যাবে? পৃথিবির কি অবস্থা হবে??

♦ উত্তরঃ এই তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধ হলো পৃথিবির সর্বশ্রেষ্ঠ ভয়ংকর যুদ্ধ। কেননা, এই যুদ্ধে যে যতটা ভয়ংকরি পারমানবিক, ও অত্যাধুনিক, অস্র ব্যবহার হবে, তা আর কোন দিনও, কোন সময়ে ব্যবহার করা হয়নি,।
এই বিশ্বযুদ্ধে বলা হয়েছে পৃথিবির ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষই মারা যাবে। বেচে রবে শুধু ১ ভাগ।
হাদিছে বলা হয়েছে, ইমাম মাহদীর প্রকাশের পুর্বে মহাযুদ্ধ হবে। পৃথিবির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মারা যাবে।
( মাহদির আগমনের সঠিক জ্ঞান রাখলেই বুঝতে পারবেন, কি হতে চলেছে)
এবং
আগামী কথনে বলা হয়েছে,
# সাত মাস ব্যপি ধোয়ার আযাবে বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত,
দুই- তৃতিয়াংশ মানুষ হাড়াইবে প্রান,রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।
তাহলে বুঝুন,
কতটা ভয়ংকর হবে এই যুদ্ধটা।।

প্রশ্নঃ ((২১))তৃতিয় বিশ্ব যুদ্ধের স্থায়িত্বকাল ও সমাপ্তি কিভাবে?

♦ উত্তরঃ আমরা সবাই এতক্ষনে এটা আপাদতো বুঝতে পেরেছি যে, এই সময় যদি বিশ্বযুদ্ধ বাধে তাহলে বিশ্বযুদ্ধে বেশি সময় লাগবে না।
কারন,এখন তো আর তরবারি দিয়ে যুদ্ধ হবেনা।
পারমানবিক অস্র সহ সকল মারাত্মক যুদ্ধাস্র,
মাত্র হাতেগোনা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধ্বংশ করে দিতে পাড়ে এব বৃহত্তম অংশ।
তা তো আর আপনাদের কে বিস্তারিত বলতে হবেনা।
আর যেহেতু এই যুদ্ধের স্থায়িত্বকাল নিয়ে হাদিছ নেই,
তবে, আগামী কথন" এ লেখক" আস শাহরান"
ভবিৎষ্যতবানি করে বলেছেন যে,
♣ সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে,
বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত।
দুই-তৃতিয়াংশ মানুষ হাড়াইবে প্রান
রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।
তাহলে বোঝাইযাচ্ছে ধোয়ার আযাব ৭ মাস চলবে
আর এই ধোয়া কোন গ্রহ নক্ষত্রের বিস্ফোরণের কারনে নয়,বরং পারমানবিক অস্রের কারনে হবে।
এবং গাজোয়াতুল হিন্দ সহ প্রায় ১ বছর খানেক যুদ্ধ চলবে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ ((২২)) বিশ্বযুদ্ধের এতটা ধ্বংশ লিলা চলার পর কি এই আধুনিক বিশ্বের অস্তিত্ব টিকে থাকবে??
বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন এক পৃথিবি,
আধুনিকতার অধ্বপতন ও তার কারন।

♦ উত্তরঃ
বন্ধুরাঃ এই বিশ্বযুদ্ধটি মুলতো পৃথীবির বুকে, সর্বাধিক মারাত্বক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ব্যবহৃত সকল পারমানবিক,বৈদ্যুতিক, হাইড্রোজেন অস্র,সহ সকল, আধুনিক জ্বালানি সমৃদ্ধ অস্র হুলো বিস্ফোরিতো হবে।
যার ফল শ্রুতিতে পৃথিবি ধোয়ায় ছেয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
এবং, প্রান হারাবে কোটি কোটি মানুষ,পশু-পাখি,।
ধ্বংশ হবে গাছপালা,।
থাকবেনা, পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন,
পড়ে রবে শুধুই, বিধ্বঃস এক পৃথীবি।
এক ঝড় যেন সবকিছু অগোছালো করে দিয়ে গেছে।
যেন, নুহের প্লাবন,হুদের ঝজ্ঝাবায়ু, লুতের পাথর বৃষ্টির সংমিশ্রণ।
পরে রবে শুধু ছাই,
ভারি বাতাস, গরম জল, রক্তের দুর্গন্ধে চারিদিক ছেয়ে যাবে। বাতাসে মানুষ,পশুপাখির মৃত দেহ পুরে হওয়া ছাই উরতে থাকবে।
♥ বিশ্ব যুদ্ধের পর, আর আধুনিকতা থাকবেনা!
আর বিল্ডিং গুলো পাহাড়ের উপর মাথা তুলে দাড়িয়ে থাকবেনা।
হাতে হাতে আর স্মার্ট ফোন থাকবেনা।
ঘড়ে ঘড়ে আর টিভি,ফ্রিজ, ফ্যান, বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবেনা।
আধুনিকতার কোন অংশের অস্তিত্বই আর অবশিষ্ট থাকবেনা!
কারনঃ এই সকল অস্র যখন গোটা বিশ্বে বিস্ফোরিত হবে,তখন বিশ্বের সকল দেশগুলো ধ্বংস হবে।
এবং অগ্নিক্রীড়ার মাধ্যমে সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন পক্রিয়া নষ্ট হবে। সকল ইজ্ঞিন চালানোর জ্বালানি জ্বলে পুরে শেস হয়ে যাবে। কোন ধরনের ইঞ্জিন সৃষ্টি করা যাবেনা।
ম্যাগনেট একশান নষ্ট হবে,
এভাবেই পৃথীবি থেকে আধুনিকতা চিরোতরে বিদায় নিবে।
বিঃদ্রঃ যারা বলেন যে, ইমাম মাহদী,ইছা(আঃ)ও দাজ্জালের আমলে আধুনিকতা থাকবে,
তাদের কাছে, অনুরোধ, তারা যেন, একটু ছবুর করেন,
আমার পরবর্তি আয়োজন,
(মাহদির পুর্বেই আধুনিকতার অধ্বঃপতন)
প্রকাশ করার পর এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক করবেন
এর আগে নয়।
কারন
এটা আমার বর্তমান আলোচ্য বিষয় নয়।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

প্রশ্নঃ((২৩)) ইমাম মাহমুদ ও ইমাম মাহদী প্রসঙ্গঃ

♦উত্তরঃ
♦ ইমাম মাহদির পুর্বে ^^ ইমাম মাহমুদ^^ এর প্রকাশ ঘটিবে।
হাদিছঃ
## হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত,
রছুল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ এ উম্মাতের সাহায্যার্থে প্রতি শতাব্দিতে এমন একজন, ব্যক্তিকে, পাঠাবেন (মুজাদ্দিদ) ---যে দ্বীনের তাজদিদ/সংস্কার সাধন করবে!
(আবু দাউদ শরিফ, অধ্যায়ঃ যুদ্ধ-বিগ্রহ, শতাব্দির বর্ননার ১ নং হাদিছ)
*** হাদিছেরর সুত্র বলেঃ

(১)যখনি ইসলামের কোন কিছুর ক্ষতি হবে, তার ১০০ বছরের মাথায় একজন আল্লাহ প্রদত্ব ব্যক্তির আগমন ঘটবে।
(২) সেই ব্যক্তিকে মুজাদ্দিদ বা ধর্ম সংস্কারক বলা চলে।
(৩) সে ১০০ বছরের মাথায় দ্বীনের সংসোধন করবেন, ত্রুটিমুক্ত করবেন।
(যেমনঃ যখন জেরুজালেম ক্রুসেডারদের দখলে চলে গিয়েছিলো, তার ১০০ বছরের মাথায়, গাজি সালাহউদ্দিন (র) জেরুজালেম কে উদ্ধার করেছিলেন।)
----------------------------
----------------------------

আমাদের নিকটবর্তি সময়ে ১৯২৪ সালে উসমানী খেলাফত ধ্বংশ হয়েছিলো।
তাহলে হাদিছের সুত্রানুসারে ১০০ বছরের মাথায় অর্থাৎ,
২০২৪ সালে কেউ একজন আল্লাহ প্রদত্ব ব্যক্তির আগমন ঘটিবে।
-----
০০০০০০০০০০০০০০০০০০
এখন, অনেকেই বলছেন,এবারের ১০০ বছরের মাথায় ইমাম মাহদীর আগমন ঘটবে।
কিন্তু, অন্য একটি হাদিছে বর্নিত আছে,
# হযরত আবু কুবাইল (রাঃ) বলেন,
খেলাফত ধ্বংশের ১০৪ বছরের মাথায়, ইমাম মাহদীর উপর মানুষ ভির করবে।
ইবনে লাহইয়া বলেন,উক্ত খিলাফতটি
অন আরবিয়ো।
[ আল-ফিতান, ন্যুয়াইম বীন হাম্মদ:-৯৬২]
আমরা সবাই জানি যে, একমাত্র অনারবীয় খেলাফত ই হলো তুর্কি খেলাফত।
যা১৯২৪ সালে শেষ হয়।
এর ১০৪ বছরের মাথায়,অর্থাৎ,২০২৮ সালেই তাহলে ইমাম মাহদির আগমন ঘটবে।ইংশাআল্লাহ।
????
তাহলে আবু দাউদের হাদিছটির ব্যাক্ষা কি হবে??
১০৪ বছরের মাথায় (২০২৮ সালে) মাহদী আসলে,,
প্রতি ১০০ বছরের মাথায় যে মুজাদ্দিদের আগমন হবার কথা,সে কোথায়??
♣ ইমাম মাহদী ১০০ বছরের মাথায় আসবেন না বলেই, আলাদা করে ১০৪ বছর উল্লেখ হয়েছে।
তাহলে, আবু হুরাইরা (রাঃ) এর হাদিছ অনুযায়ি ১০০ বছরের মাথায় কে আসবেন,?? (২০২৪ সালে)
আপনারা জানেন তিনিই ইমাম মাহমুদ
*******--------------------------**********
-----------******************-------------
(১)#হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)- থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, মোহাম্মাদ (ছাঃ) বলেছেন,,,
আখেরী জামানায়, ইমাম মাহদী র পূর্বে ইমাম মাহমুদ-এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে। তার যামানায় মহাযুদ্ধের বজ্রাঘাতে বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে,এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে। সে তার সহচর বন্ধু কে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালোনা করবে-যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে।
তোমরা তাদের পেলে যানবে,ইমাম মাহদীরর প্রকাশের সময় হয়েছে।
(আসরে যুহরি,১৮৭ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ২৩৩ পৃঃ
ইলমে তাছাউফঃ ১৩০ পৃঃ
ইলমে রাজেনঃ ৩১৩ পৃঃ
বিহারুল আনোয়ারঃ ১১৭ পৃঃ)
উক্ত হাদিছ টি এই পাচটি গ্রন্থে উল্লেখ্য রয়েছে।
অধিকাংশ মুহাদ্দিছগন ব্যক্ত করেছেন,উক্ত হাদিছটি ছহিহ, কেউ কেউ বলেছেন,হাসান।)
এবং,(২)
#আবু বছির (রঃ) বলেন, যাফর সাদিক (রঃ) বলেছেন,
মাহদীর আগমনের পূর্বে, এমন একজন খলিফার আবির্ভাব ঘটবে, যিনি হবেন, মাতার দিক থেকে কাহতানি এবং পিতার দিক থেকে কুরাঈশী। তার নাম মাহদীর নামের সাথে কিছুটা সাদৃশ্যমান হবে এবং তার পিতার নামও কিছুটা মাহদীর পিতার নামের সাদৃশ্যমান হবে।
(ইলমে তাছাউফ ঃ ১২৮ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ ২৩২ পৃঃ)
[ প্রথম হাদিছটি বলছে, মাহদির আগে মাহমুদের প্রকাশ ঘটবে। আর দ্বিতিয় টি বলছে, মাহদির পুর্বে এমন একজন খলিফার প্রকাশ ঘটবে যার নাম মাহদির নামের কিছুটা সাদৃশ্য হবে।
যেহেতু, মাহদির নাম হবে ----
*(মুহাম্মাদ। = চিরো প্রশংসিত।)
তার সাদৃশ্য হলো (মাহমুদ = চিরো প্রশংসিত।)
তাহলে হাদিছ থেকে পাওয়া গেলো, মাহদির পুর্বে মাহমুদের আত্মপ্রকাশ ঘটিবে।
# ২য় হাদিছ বলছে, ইমাম মাহমুদ মায়ের দিক থেকে কাহতানি হবেন।
অর্থাৎ, কাহতান গোত্রের হবেন।

হাদিছ বলে কাহতান গোত্র থেকে ২ জন লাঠি ওয়ালার প্রকাশ ঘটবে।
(১) একজন, যে মানুষদের কে লাঠি দ্বরা পরিচালোনা করবে।
(২) দুই কান ছিদ্র বিশিষ্ট, বড় কপাল বিশিষ্ট, যার চরিত্র প্রায়ই মাহদীর মত হবে। সে ২০ বছর শাষন করবে।
**
আগামী কথনে লেখক লিখেছেনঃ
ইমাম মাহমুদের হাতেও বিষেস লাঠি থাকবে।
আর তার সাথে তার সহচর বন্ধুও থাকবে।
(প্যারাঃ ৩৮)
(তাহলে ইমাম মাহমুদ ই হবেন,কাহতানির ১ম লাঠি ওয়ালা।।।।। যে কিনা মাহদির পুর্বে আসবেন।
এবং
অন্য যায়গায় বলেছেন,
কাহতান গোত্রের কান ছিদ্র,বড় কপাল বিশিষ্ট, মুনসুর নামের আরেক জন, খলিফা মাহদির পর,২০ বছর খেলাফতে থাকবেন।
যা কিতাবুল ফিতানের হাদিছের সাথে মিল রয়েছে।)
(আল্লাহই ভালো জানেন)
__________________________________________
উপরক্ত হাদিছ বলছে,
ইমাম মাহদির পুর্বেই** ইমাম মাহমুদ ** এবং তার সহচর বন্ধু সাহেবে কিরানপ্রকাশ ঘটবে।
আগামী কথনে লেখক, আস্-শাহরান বলেছেন,
২০২৩ সালে ফুরাত নদির স্বর্নের পাহাড় প্রকাশ পাবার পরপরই (হয়তো ২০২৪) এবং তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধের (২০২৫) এর আগে, ইমাম মাহমুদ ও তার সহচর বন্ধু সাহেবে কিরানের প্রকাশ ঘটিবে।
তারাই গাজোয়াতুল হিন্দের প্রধান দুই সেনাপতি হবেন।
# ক্বাসিদাহ তে শাহ নেয়ামতউল্লাহ (র) বলেছেন,
সাহেবে কিরান,,,+,, হাবিবুল্লাহ,,,
হাতে নিয়ে সমসের।
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবেন,
ময়দানে যুদ্ধের।
(ক্বাসিদাহ। প্যারাঃ৪৪)
০ অর্থাৎ, লেখক বলেছেন,
গাজওয়াতুল হিন্দের নেতা হবেন, হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান।
এবং ** আগামী কথনে লেখক বলেছেন যে, ইমাম মাহমুদের উপাধী ই হলো *হাবিবুল্লাহ।*
এবং তার সহচর বন্ধুর উপাধীই হলো *সাহেবে কিরান।*
তারাই গাজোয়াতুল হিন্দের নেতৃত্ব দিবেন এবং ৩য় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা করবেন।
আর তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধেই ২০২৫ সালে আধুনিকতা বিনষ্ট হয়ে যাবে।
তার ৩ বছরের মাথায় ২০২৮ সালেই ইমাম মাহদী প্রকাশ পাবেন।
************************
আর হাদিছও বলছে,
মাহমুদের জামানায় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হবে(গাজোয়াতুল হিন্দ ও ৩য় বিশ্বযুদ্ধ)...
০বজ্রাঘাতে(পারমানবিক অস্রের কারনে) বিশ্ব বিধ্বঃস্ত হবে।
০ তারপর বিশ্ব সেই যুগে ফিরে যাবে। (নবীজি (ছাঃ)-- এর যুগের মত হয়ে যাবে। আধুনিকতা বিহিন।
তাহলে বোঝাগেলো,,খেলাফত হাড়ানোর ১০০ বছরের মাথায় (২০২৪ সালে)
ইমাম মাহমুদ প্রকাশ পাবেন
এবং খেলাফত হাড়ানোর ১০৪ বছরের মাথায় (২০২৮ সালে) ইমাম মাহদী প্রকাশ পাবেন।ইংশাআল্লাহ!
(হাদিছ দ্বাড়া প্রমানিত)
--------------------------------------------------------------------
আর আপনারা তো জানেন যে,
দ্বিতীয় কারবালা চলাকালিন সময়ে
হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান প্রকাশ পাবেন।
♣ নুহ (আঃ) এর কিস্তি বা নৌকার সাদৃশ্য কোন নিরাপদ স্থান♣

প্র্শ্নঃ((২৪)) উপরের বাকি ২৩ টি প্রশ্নত্তর পড়ে যা বুঝতে পারলাম,
নূহ (আঃ) জামানায় এক মহা প্লাবন হয়েছিলো। ৩য় বিশ্বযুদ্ধও ঠিক তেমনি যেন ""দ্বিতীয় প্লাবন"".....
তো নূহ (আঃ)- এর প্লাবনে তো কিছু সংখ্যক মানুষ তার তৈরী কিস্তি/নৌকায় চড়ে নিরাপদ স্থান পেয়েছিলো,
তাহলে এই বিশ্বযুদ্ধের মত প্লাবনে কি কোন নিরাপদ স্থান থাকবেনা?? যেমন নূহ(আঃ) নৌকা ছিলো???

'
♦ উত্তরঃ আমরা জানি, হযরত নূহ (আঃ) হলেন, গোটা মানব জাতির জন্য, প্রেরিত প্রথম রছুল।
নূহ (আঃ)-এর কাহিনিঃ
আল্লাহ তা‘আলা নূহ (আঃ)-কে সাড়ে নয়শত বছরের সুদীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। তিনি এক পুরুষের পর দ্বিতীয় পুরুষকে অতঃপর তৃতীয় পুরুষকে শুধু এই আশায় দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছিলেন যে, তারা ঈমান আনবে। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী অক্লান্তভাবে দাওয়াত দেওয়া সত্ত্বেও তারা ঈমান আনেনি।
মূলতঃ এই সময় নূহ (আঃ)-এর কওম জনবল ও অর্থবলে বিশ্বে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। সংখ্যাধিক্যের কারণে ইরাকের ভূখন্ড ও পাহাড়েও তাদের আবাস সংকুলান হচ্ছিল না। আল্লাহর চিরন্তন নীতি এই যে, তিনি অবাধ্য জাতিকে সাময়িকভাবে অবকাশ দেন (বাক্বারাহ ২/১৫)। নূহের কওম সংখ্যাশক্তি ও ধনাঢ্যতার শিখরে উপনীত হয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। তারা নূহ (আঃ)-এর দাওয়াতকে তাচ্ছিল্য ভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
নূহ (আঃ) তাদেরকে দিবারাত্রি দাওয়াত দেন। কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে অর্থাৎ সকল পন্থা অবলম্বন করে তিনি নিজ কওমকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেন (নূহ ৭১/৫-৯)।
আব্দুল্লাহপুর ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, এই সুদীর্ঘ দাওয়াতী যিন্দেগীতে তিনি যেমন কখনো চেষ্টায় ক্ষান্ত হননি, তেমনি কখনো নিরাশও হননি। সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নানাবিধ নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েও তিনি ছবর করেন। কওমের নেতারা বললোঃ
‘হে নূহ! যদি তুমি বিরত না হও, তবে পাথর মেরে তোমার মস্তক চূর্ণ করে দেওয়া হবে’ (শো‘আরা ২৬/১১৬)।
তবুও বারবার আশাবাদী হয়ে তিনি সবাইকে দাওয়াত দিতে থাকেন। আর তাদের জন্য দো‘আ করে বলতে থাকেন,- ‘হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমার কওমকে ক্ষমা কর। কেননা তারা জানে না’ (তাফসীর কুরতুবী, সূরা নূহ)।
ওদিকে তাঁর সম্প্রদায়ের অনীহা, অবজ্ঞা, তাচ্ছিল্য এবং ঔদ্ধত্য ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব বলেন, ‘নিহত কোন নবী ব্যতীত অন্য কোন নবী তার কওমের নিকট থেকে নূহের মত নির্যাতন ভোগ করেননি’ (ইবনু কাছীর, সূরা আ‘রাফ ৫৯-৬২)।
বলা চলে যে, তাদের অহংকার ও অত্যাচার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল এবং পাপ ষোলকলায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ফলে এক পর্যায়ে নূহ (আঃ) স্বীয় কওমকে ডেকে বললোঃ
‘হে আমার কওম! যদি তোমাদের মাঝে আমার অবস্থিতি ও আল্লাহর আয়াত সমূহের মাধ্যমে তোমাদের উপদেশ দেওয়া ভারি বলে মনে হয়, তবে আমি আল্লাহর উপরে ভরসা করছি। এখন তোমরা তোমাদের যাবতীয় শক্তি একত্রিত কর ও তোমাদের শরীকদের সমবেত কর, যাতে তোমাদের মধ্যে কোনরূপ দ্বিধা-সংকোচ না থাকে। অতঃপর আমার ব্যাপারে একটা ফায়ছালা করে ফেল এবং আমাকে মোটেও অবকাশ দিয়ো না’। ‘এরপরেও যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। তবে জেনে রেখ, আমি তোমাদের কাছে কোনরূপ বিনিময় কামনা করি না। আমার বিনিময় কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটেই রয়েছে। আর আমার প্রতি নির্দেশ রয়েছে যেন আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই’। ‘কিন্তু তারপরও তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল...’ (ইউনুস ১০/৭১-৭৩)।
বলা বাহুল্য যে, এটা ছিল কওমের দুরাচার নেতাদের প্রতি নূহ (আঃ)-এর ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ, যার মুকাবিলা করা তাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব ছিল না।
এ সময় আল্লাহ পাক অহী নাযিল করে বলেন,
-
‘তোমার কওমের যারা ইতিমধ্যে ঈমান এনেছে, তারা ব্যতীত আর কেউ ঈমান আনবে না। অতএব তুমি ওদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হয়ো না’ (হূদ ১১/৩৬)।
গযবের কারণ
আল্লাহ বলেন, ‘তাদের পাপরাশির কারণে তাদেরকে (প্লাবনে) ডুবিয়ে মারা হয়েছিল। অতঃপর তাদেরকে (কবরের) অগ্নিতে প্রবেশ করানো হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের জন্য আল্লাহর মুকাবেলায় কাউকে তারা সাহায্যকারী পায়নি’
(নূহ ৭১/২৫)।

উপরোক্ত আয়াতে বুঝা যায় যে, পথভ্রষ্ট সমাজনেতাদের সাথে পুরা সমাজটাই পাপে নিমজ্জিত হয়েছিল। যেজন্য সর্বগ্রাসী প্লাবনের গযবে তাদেরকে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়।
এমনকি মৃত্যুর পর বরযখী জীবনে তাদেরকে কবর আযাবের অগ্নিকুন্ডে প্রবেশ করানো হয়েছে, সেকথাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এতদ্ব্যতীত ক্বিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম যে সুনিশ্চিত, সেকথাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেননা তারা সেদিন মুক্তির জন্য কোন সুফারিশকারী পাবেনা।
((শিক্ষণীয় বিষয় : সমাজপরিচালনার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে দল ও প্রার্থীবিহীন ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরণ করা আবশ্যক।))
♦ নূহের প্লাবন ও গযবের কুরআনী বিবরণ
এ বিষয়ে সূরা হূদে পরপর ১২টি আয়াত নাযিল হয়েছে। যেমন, চূড়ান্ত গযব আসার পূর্বে আল্লাহ নূহ (আঃ)-কে বললেন,
‘তুমি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশনা মোতাবেক একটা নৌকা তৈরী কর এবং (স্বজাতির প্রতি দয়া পরবশ হয়ে) যালেমদের ব্যাপারে আমাকে কোন কথা বলো না। অবশ্যই ওরা ডুবে মরবে’ (হূদ ১১/৩৭)।
আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর নূহ নৌকা তৈরী শুরু করল। তার কওমের নেতারা যখন পাশ দিয়ে যেত, তখন তারা তাকে বিদ্রুপ করত। নূহ তাদের বলল, তোমরা যদি আমাদের উপহাস করে থাক, তবে জেনে রেখো তোমরা যেমন আমাদের উপহাস করছ, আমরাও তেমনি তোমাদের উপহাস করছি’ (৩৮)। ‘
অচিরেই তোমরা জানতে পারবে লাঞ্ছনাকর আযাব কাদের উপরে আসে এবং কাদের উপরে নেমে আসে চিরস্থায়ী গযব’ (৩৯)।
আল্লাহ বলেন, ‘অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে গেল এবং চুলা উদ্বেলিত হয়ে উঠল, (অর্থাৎ রান্নার চুলা হ’তে পানি উথলে উঠলো), তখন আমি বললাম, সর্বপ্রকার জোড়ার দু’টি করে এবং যাদের উপরে পূর্বেই হুকুম নির্ধারিত হয়ে গেছে, তাদের বাদ দিয়ে তোমার পরিবারবর্গ ও সকল ঈমানদারগণকে নৌকায় তুলে নাও। বলা বাহুল্য, অতি অল্প সংখ্যক লোকই তার সাথে ঈমান এনেছিল’ (৪০)। ‘
নূহ তাঁদের বলল, তোমরা এতে আরোহণ কর। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রভু অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (৪১)। ‘
অতঃপর নৌকাখানি তাদের বহন করে নিয়ে চলল পর্বতপ্রমাণ তরঙ্গমালার মাঝ দিয়ে। এ সময় নূহ তার পুত্রকে (ইয়ামকে) ডাক দিল- যখন সে দূরে ছিল, হে বৎস! আমাদের সাথে আরোহণ কর, কাফেরদের সাথে থেকো না’ (৪২)। ‘
সে বলল, অচিরেই আমি কোন পাহাড়ে আশ্রয় নেব। যা আমাকে প্লাবনের পানি হ’তে রক্ষা করবে’। নূহ বলল, ‘আজকের দিনে আল্লাহর হুকুম থেকে কারু রক্ষা নেই, একমাত্র তিনি যাকে দয়া করবেন সে ব্যতীত। এমন সময় পিতা-পুত্র উভয়ের মাঝে বড় একটা ঢেউ এসে আড়াল করল এবং সে ডুবে গেল’ (৪৩)।
অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হ’ল, হে পৃথিবী! তোমার পানি গিলে ফেল (অর্থাৎ হে প্লাবনের পানি! নেমে যাও)। হে আকাশ! ক্ষান্ত হও (অর্থাৎ তোমার বিরামহীন বৃষ্টি বন্ধ কর)। অতঃপর পানি হরাস পেল ও গযব শেষ হ’ল। ওদিকে জূদী পাহাড়ে গিয়ে নৌকা ভিড়ল এবং ঘোষণা করা হ’ল, যালেমরা নিপাত যাও’ (৪৪)।
‘এভাবে, নূহ (আঃ) জাতি ধ্বংশ হলো।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বর্তমান জামানাঃ আমরা দেখেছি,
নুহ (আঃ) এর জামানায় গজব এসেছিলো ২ টি কারনে।
১) দাম্ভিহকতা ও অহংকার করে, আল্লাহ বিমুখ হওয়া
'
এবং
২) হযরত নূহ(আঃ) এর দাওয়াত অ-স্বিকার করে, তার উপর অন্যায় অবিচার,অত্যাধিক অত্যাচার করার কারনে।
এখন প্রশ্ন হলো হাদিছ বলছে,
মাহদী নয়, বরং মাহমুদ এর জামানায় বিশ্বযুদ্ধ হবে।
আর আমরা জানি,
এই বিশ্বযুদ্ধই এক মহা প্লাবন!
নূহ (আঃ)- এর প্লাবনের মতই!
তাহলে এতবড় শাস্তির কি কারন????
কারন রয়েছে, যুক্তিপুর্ন উদাহরন গ্রহন করা আবশ্যকিয়!
আমার ব্যাক্তি গত মতামত হলো এবারের মহা প্লাবনের কারনও ২ টি।
দুইটি কারন, নুহ আঃ এর জাতীর কারন ২টির অনুরুপ।
যথাঃ ১) দাম্ভিহকতা ও অহংকার করে আল্লাহ বিমুখী হওয়া!
এবং
২) ইমাম মাহমুদ এর দাওয়াত অস্বিকার করে, তার উপর অন্যায়, অবিচার, অত্যাধিক অত্যাচার করা।

হ্যা বন্ধুরা। এটাই সর্বাধিক যুক্তিপুর্ন কারন।
♦ এখন প্রশ্ন করতে পারেন, যে, তাহলে কি,, "গাজোয়াতুল হিন্দ"/ দ্বিতিয় কারবালা★ এর পূর্বেই ইমাম মাহমুদ প্রকাশ্য দাওয়াত দিবেন??
তার বেলায়েতের উপর, ইমান আনার জন্য??
উত্তরে বলতে পাড়ি ঃ হ্যা।
(আল্লাহু আলাম)
কেননা! যুক্তি তাই বলে
এবং যদি # আগামী কথন # দেখি তাহলে আরও বেশি নিশ্চিত হতে পারবো।
সেখানে বলা হয়েছে যে,
প্যারাঃ (৩৫)
★ ভয়ংকর এই শাস্তির কারন,
বলে যাই আমি এক্ষনে।
নিম্নের কিছু কথা তোমরা,,,
রাখিও স্মরনে।।।
ব্যাক্ষাঃ লেখক বলেছেন যে,, এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে মানুষজাতিকে এতটা কঠিন শাস্তি কেন দেওয়া হবে?? তার কিছু কারনও রয়েছে,,,,,যা তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন।
#প্যারাঃ (৩৬)
★ মহা সমরের পুর্বে দেখিবে,,
প্রকাশ পাইবেন "মাহমুদ।"
পাশে থাকিবেন "শীন" ও "জ্যোতি"-
সে প্রকৃতই রবের দুত।।
ব্যাক্ষাঃ আল্লাহ বলেছেন যে,, যখন কোন জাতি পাপাচারে লিপ্ত হয়,, তখন ততক্ষন পর্যন্ত আমি ধ্বংশ করিনা,যতক্ষন না সেখানে আমার পক্ষথেকে একজন সতর্ককারি না পাঠাই।
# ইতিহাসও তাই বলে। তাহলে ২০২৫ সালে যে এতটা ধ্বংশলিলা চলবে,,, তা বর্তমানে বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝতে পারছি যে কেন! তাহলে,নিশ্চই ধ্বংশের পূর্বেই একজন সতর্ককারীকে আল্লাহ পাঠাইবেন।।
# তারই পরিচয় লেখক আস-শাহরান দিয়েছেন,,।
তিনি বলেছেন,, সেই আল্লাহ পদত্ত ব্যাক্তি টির পরিচয়টা হলো,, তিনি,,,,,★ ইমাম আল মাহমুদ★।
তার পাশে থাকবে "শীন" ( সহচর বা বন্ধু)
( উল্লেখ্য যে শীন হলো তার নামের ১ম হরফ, পুরো নাম প্রকাশ হয়নি)
## একটু স্মরন করনু,, আগামী কথন এর (৫),,,,(১৯),,, (২০)এবং (২১) নং প্যারা গুলো। সেক্ষানে বলা আছে,,
শীন"ও মীম" এর কথা। ( যারা গাজওয়াতুল হিন্দেরর সেনাপতি ও নেতা)
# বলা আছে
**শীন সেতো সাহেবে কিরান,
মীম এ "হাবিবুল্লহ"(২০)
এবং,, আরো বলা আছে যে,,
**** হাবিবুল্লাহ প্রেরিত আমির,,
সহচর তার সাহেবে কিরান।(২১)
# অতএব,,,, "মীম " হরফে শুরু নাম (মাহমুদ),,তার উপাধি হলো হাবিবুল্লাহ।। ( আল্লাহরর পক্ষ থেকে প্রধান নেতা)
# শীন হরফে নামের শুরু( পুরো নাম জানা যায়নি)""" তার উপাধি হলো,,"" সাহেবে কিরান """...!!{ গাজওয়াতুল হিন্দের সেনাপতি-- এবং উসমানি তরবারির ধারক-বাহক}
(( তিনিও আল্লাহর মননিত ব্যাক্তি,,, প্রধান আমিরের সহচর/ বন্ধু))
## অর্থাৎ,,, এই ইমাম মাহমুদ ই হচ্ছেন হাবিবুল্লাহ এবং তার সহচর বন্ধুই হচ্ছেন সাহেবে কিরান।
তাদের দুজনের নেতৃত্বেই "গাজওয়াতুল হিন্দ" হবে।
তাদের পরিচয় ২০২৫ সালের পুর্বেই প্রকাশিত হবে।ইংশাআল্লাহ।
[ ভবিৎষতবানি অনুযায়ি]।
#প্যারাঃ (৩৮)...
★ হাতে লাঠি,,পাশে জ্যোতি,,,
সাথে সহচর "শীন"।।
মাহমুদ এসে এই জমিনে,,
প্রতিষ্ঠা করিবেন দ্বীন।।
#ব্যাক্ষাঃ এখানে*** ইমাম মাহমুদের** কথা বলা হয়েছে,,, ।
তার হাতে একটি লাঠি থাকবে। ( হয়তো বিষেশ গুন সমৃদ্ধ),,,,, পাশে জ্যোতি থাকবে,,,,( হয়তো জ্যোতি বলতে, আলো বা জ্ঞান বোঝানো হয়েছে। বা অন্য কিছু। আল্লাহ জানেন)
এবং সাথে থাকবে,সহচর শীন।( সাহেবে কিরান)!
আর মাহমুদ পরিশেষে দ্বিন প্রতিষ্ঠা করবেন। ( গাজওয়াতুল হিন্দের মধ্য দিয়ে)...
#প্যারাঃ (৩৯)
★ "সত্য"-সহ করিবেন আগমন
তবুও করিবে অস্বিকার।।
হক্বের উপর করবে বাতিল,,
কঠিন অন্যায় -অবিচার।।
ব্যাক্ষাঃ আস শাহরান বলেছেন যে,,,ঐ ইমাম মাহমুদ,
সত্য সহ আগমন করবেন। তবুও তাকে অস্বিকার করবে অধিকাংশ মানুষ। আর সেই হ্বক পন্থিদের উপর বাতিলপন্থি খুবই অন্যায় অবিচার করবে।
#প্যারাঃ (৪০)
★ অবিশ্বাসি জাতির উপর
গজব নাজিল হবে তখন-
পচিশ সনের মহা সমরে
ধোয়ার আযাব আসিবে যখন।
*ব্যাক্ষাঃ আমরা কুরআনে বর্নিত ইতিহাসে পাই যে,,
# হযরত সালেহ (আ) কে অবিশ্বাস করায়, সামুদ জাতি ধ্বংশ হয়েছিল।
# হযরত হুদ (আ) কে অবিশ্বাস করায়, আদ জাতি ধ্বংশ হয়েছিল
# হযরত লূত (আ) কে না মানায়,তার জাতি ধ্বংশ হয়েছিল।
# নূহ (আ) কে না মানার কারনে,,গোটা পৃথিবির উপর প্লাবনের আযাব এসেছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায়,,
** ইমাম মাহমুদ★ কে অবিশ্বাস ও অসিকার, অববিচার,অত্যাচার করার কারনে ২০২৫ সালে এই আযাব নাজিল হবে।
[ ভবিৎষতবানী অনুযায়ি ]
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এখন কথা হচ্ছে,
নুহ(আ:) এর উপর যারা ইমান এনেছিলো, তারা তো মহা প্লাবনে নৌকায় নিরাপত্তা পেয়েছিলো, তাহলে ইমাম মাহমুদ এর উপর যারা ইমান আনবে তারা কি কোন নিরাপদ স্থান পাবেনা??
♦উত্তরঃ হ্যা। নিশ্চই
অবশ্যই কোন নিরাপদ স্থান থাকবে।
কেননা,
()আমরা যানি, যে,,, যখন নুহ (আঃ) এর জাতি, ছালেহ (আঃ), হুদ (আঃ), ইব্রহিম( আ:),লুত (আঃ), শুয়াইব (আঃ), মুছা (আলাইহিমাস সালাম) দের জাতি গজবে ধ্বংশ হয়েছিলো, তখন মুমিনগন নিরাপদেই ছিলেন।
এখন বন্ধুরা,আপনারা যদি আমাকে প্রশ্ন করেন যে,
, বর্তমানে কি সেই নিরাপদ স্থান??
তাহলে বলবো,
দুঃখিত, তা আমার জানার সাধ্যের বাইরে।
তবে, ,, যেহেতু ইতিহাস বারবার সাক্ষ্য দেয়,তাই নিশ্চিতভাবে বলছি, নিরাপদ স্থান থাকবে।
তবে কি সেই নিরাপত্তা তা আমার জানার বাহিরে।
কেননা, তা আল্লাহই ভালো জানেন এবং ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান হয়তো জানবেন।
কিন্তু তারা যে কে? কোথায় থাকে, কোথায় আছেন, কি অবস্থায় আছেন, তা আল্লাহই ভালো জানেন।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

♣প্রশ্নঃ ((২৫))
বর্তমান পেক্ষাপট ও যুদ্ধ কালিন সময়ে করনীয় -বর্জনীয় কী???

♦উত্তরঃ বন্ধুরা, চাইলেই আমি,
এই " দ্বিতীয় কারবালা থেকে গাজোয়াতুল হিন্দ" এবং তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধ" পর্যন্ত এই ভয়ংকর মহা যুদ্ধে
আমাদের কি কি করনীয় এবং কী কী বর্জনীয়"
তার একটি লম্বা তালিকা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারতাম।
কিন্তু, আমি আর আপনাদের চিন্তিত মস্তকের উপর বোঝা না চাপিয়ে,
সহয-সরল ভাবে উপস্থাপন করলাম!
★ বন্ধুরা আমরা জানি যে,
বাংলাদেশের""" দ্বিতীয় কারবালা""★থেকে শুরু হবে ""গাজোয়াতুল হিন্দ।""
এই গোটা বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্তও মুসলমানদের সেনাপতিত্ব করে যাবেন,
ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ
এবং তার বন্ধু
সাহেবে কিরান""""
আর "গাজোয়াতুল হিন্দ" থেকে শুরু হবে, '""তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ""......
তাহলে এই গোটা সিস্টেমে,
মুসলিম দের নেতৃত্বে থাকবেন, ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান।
♦তারাই আল্লাহ পদত্ত্ব মননিত নেতা।
♦তারাই, ইসলামের দুর্দশাগ্রস্থ দিন সংস্কারক।
♦ তারাই আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত
♦তারাই, বাংলার ঘনিয়ে আশা ঝড়ের সময় বাধ সরুপ
♦তারাই দ্বিতীয় কারবালার সময়ে প্রতিবাদ জানাবে,
♦ তারাই প্রথমত তাদের কিছু সংখ্যক অনুসারিদের নিয়ে জিহাদের ডাক দিবেন
♦তারাই প্রথম ""উসমানি"" তরবারি নিয়ে জিহাদের ময়দানে নামবেন।
♦তাদের দলেই শত শত,লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগ দিবে, হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে ♦তারাই গাজোয়াতুল হিন্দের মহা নায়ক।
♦তারাই সফলকাম
♦ নিরাপদ স্থানের সংবাদ প্রাপ্ত।
♦ তারাই গোটা হিন্দুস্থানে ইসলামি খেলাফত কায়েমকারী।
♦অতএব, সে সময় তারাই,
জান্নাতের পথ-প্রদর্শন কারী।
অতএব,,, আমাদের একমাত্র করনীয় হলোঃ
````` ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান```` এর দলে যোগদান করে, তাদের সাথে অমরন জিহাদ করা, কাফির মুশরিক দের বিরুদ্ধে।
কেননা, তারাই আমাদের পৌছে দিতে পারে সফলতার দারপ্রান্তে এবং পৌছে দিতে পারে
♥ইমাম মাহদী ♥পর্যন্ত।
যুদ্ধকালীন সময়ে বর্জনীয়ঃ
♦ যুদ্ধ কালীন সময়ে
আমরা যা যা করবো না তা হলোঃ
্) কখনই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করবো না!
কেননা, যুদ্ধ যখন শুরু হবে, তখন হঠাৎ করেই কারবালা থেকে গাজোয়াতুল হিন্দ এবং গাজোয়াতুল হিন্দ থেকে ৩য় বিশ্বযুদ্ধে পরিনিত হয়ে যাবে।
আর সে যুদ্ধে পৃথীবির ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষই মারা যাবে।
অতএব, উক্ত যুদ্ধে আমাদের মৃত্যু যদি লিখিতই থাকে, তাহলে আমাদের পালানোর সময়ও মৃত্যু হবে।
কিন্তু যদি বিরত্বের সহিত আমরা
হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরানের দলের সাথে মিলিত হয়ে,
মালাউনদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে থাকলে কিন্তু আমাদের হবে,
♦শহিদি মৃত্যু♦
আলহামদুলিল্লাহ।।
আর যদি মৃত্যু লিখিত না থাকে, যদি আমরা সেই ৩ ভাগের ১ ভাগের অন্তর্ভুক্ত হই তাহলে আমরা জিহাদের পর,
হবো জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি প্রাপ্ত ইংছান।
হবো বদর ও উহুদের যোদ্ধাদের সমান মর্যাদার অধিকারি।
হবো জান্নাতি।
আর যদি ২০২৫ সালেও বেচে যাই,তাহলে ২০২৬ সালে হবো,

জমিনের বুকে, ভারতীয় উপমহাদেশ তথা,
বাংলাদেশ, ভারত,পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারের বুকে স্বাধিন মুসলিম।
তাই কোন ক্রমেই ভুল পদক্ষেপ নেওয়া চলবেনা।
সঠিক পদক্ষেপ আমাদের কে ইহকাল ও পরকালে নাযাত দিবে।
আমিন।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
বিঃদ্রঃ এই মহা গজবে, পুর্বের ন্যায় যে শুধু ইমানদারগনই বেচে থাকবে না নয়।
কারন, পৃথিবির ৩ভাগের এক ভাগ বেচে থাকবে।
তাছাড়াও, ইমাম মাহদি, ও তার লোক জন, মুনসুরের দল বল, শুয়াইব ইবনে ছালেহর লোকজন, খোরাসানী যোদ্ধাগন, আবু সুফিয়ানির সৈন্য দল, কিছু ইহুদি নাছারা, সাধারন পাবলিকও বাচবে।
কিন্তু আরামদায়ক ভাবে,নিরাপত্তা দিবে, কোন আল্লাহর নির্বাচিত স্থান।
আর এই উপমহাদেশে হাবিবুল্লাহ তার উছিলা।
♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣

সময় দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুক।
সঠিক পথ পদর্শন করুক।
আমিন।



No comments:

Post a Comment