"জুলফি বিশিষ্ট তারকা" যা ইমাম মাহদির আগমনের একটি আলামত।
১.যুলফি তারকার ঘটনা কি সত্য ?
২.কখন এই তারকা উদিত হবে ?
৩.কেন এই তারকা উদিত হবে ?
চলুন, হাদিছের আলোকে তার সত্যতা,করনীয়-বর্জনীয় দেখে নেই।[প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা পরিষ্কার করার প্রচেষ্টা করবো]
(১.) যুলফী তারকার ঘটনার যে বিবরনী পাওয়া যায়,তা কি সত্য ?
♦উত্তরঃ হ্যা বন্ধুরা, এটা সত্য। কেননা, হাদিছ শরীফে এই ঘটনার ভবিৎষ্যতবানী উল্লেখ পাওয়া যায় কিতাবুল ফিতানে।যদিও হাদিছ গুলো ছহিহ নয়। তবে,হাসান-গরিব ও যঈফ এর পর্যায়ভুক্ত।
তবে যেহুতু মাউযু নয়,তাই গ্রহনীয়।
চলুন হাদিছ দেখে নেওয়া যাকঃ
====================================
♦ জুলফি বিশিষ্ট একটি তারকা(আগ্নি শিখা) উদিত হবে।
------------------------------------------------------------------
♦হযরত ওলীদ (রহঃ) কা’ব (রহঃ) হতে বর্ননা করেন,তিনি বলেন, হযরত মাহদি এর আগমনের পূর্বে পূর্বাকাশে জুলফি বিশিষ্ট একটি তাঁরকা উদিত হবে।
[আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪২]
♦ হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এমন একটি তারকা উদিত হবে,যার আলো হবে চন্দ্রের আলোর ন্যায়।এরপর উক্ত তারকা সাপের ন্যায় কুন্ডুলি পাকাতে থাকবে।যার কারনে তার উভয় মাথা একটা আরেকটার সাথে মিলিত হওয়ার উপক্রম হবে। দীর্ঘকার রাত্রে দুইবার ভুমিকম্প হওয়া এবং আসমান থেকে জমিনের দিকে যে তারকাটি নিক্ষিপ্ত হবে,তার সাথে থাকবে বিকট আওয়াজ।এক পর্যায়ে সেটা পূর্বাকাশে গিয়ে পতিত হবে। যা দ্বারা মানুষ বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবতের সম্মুখিন হবে।
(হাদিস বড় হওয়ায় কেবল শেষ অংশ উল্লেখ করা হল)
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৩ ]
♦আবু জাফর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী (রহঃ) বলেন, "যখন পূর্বাকাশে ৩ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত আগুনের অগ্নিশিখা দেখতে পাবে, তখন আহলে মুহাম্মদ (সাঃ) এর (ইমাম মাহদীর) জন্য অপেক্ষা কর। একপর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা (হযরত জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে) মাহদী আঃ এর নাম ঘোষণা করবেন। যা পৃথিবীর সকল মানুষ শুনতে পাবে।
(আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী, পৃষ্ঠা নং - ৩২)
♦হযরক কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আসমানের বুকে এক প্রকার লাল বর্ণের আত্মপ্রকাশ করবে।একটি তারকা উদিত হবে যেটা পূর্নিমার রাত্রির মত উজ্জল হয়ে হঠাৎ বাঁকা হয়ে যাবে। হাদীস বর্ণনাকার ওলীদ বলেন, আমার নিকট হযরত কা’ব থেকে সংবাদ এসেছে, তিনি বলেন, পূর্বদিকের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, পশ্চিমে জীর্ণতা প্রকাশ পাবে, আসমানে লালিমা দৃশ্যায়ন হবে এবং কেবলার দিকে ব্যাপকহারে মানুষ মারা যাবে।
[আল-ফিতানঃ৬২২]
বন্ধুরা,, আমরা জেনে নিলাম, আকাশে দুইটি তারকার উদয়ন ঘটবে। যারা পরষ্পর বিষ্ফোরনের মাধ্যমে আকাশের রং কিছুদিন লাল হয়ে যাবে।
____________________________________________
(২.)এই তারকার উদয় কখন হবে ?
♦উত্তরঃ যদিও হাদিছে তার কোন দিনক্ষণ প্রকাশ নেই,তবে,অত্যাধুনিক প্রযুক্তিময় বিশ্বের সুবাদে, বিজ্ঞানিগন এই তারকা নিয়ে, তথ্য দিয়েছেনঃ
চলুন দেখি বিজ্ঞানিগন কি বলেছেনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশের গ্রেন্ড রেপিট মিশিগানের Calvin College এর একদল গবেষক ও খ্যাতিমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রসেসর লরেন্স মুলনার বলেছেন,
২০২২ সালে এই প্রথম মানুষ খালি চোখে দুটি তারকার সংঘর্ষ দেখতে পাবে।
তবে দুটি তারকার সংঘর্ষের পূর্বে পরস্পরের দিকে কয়েক দিন ঘুরতে থাকবে, এবং এদের আলো চাঁদের আলোর মত উজ্জ্বল হবে। এদের পরস্পরের সংঘর্ষের পর লাল রঙের আভা আকাশে ছড়িয়ে পরবে। (হুবহু হাদিছের বর্ননা) যা American Astonomical Society (AAS) এর ২২৯ তম বৈঠকে এই গবেষণার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়। তাদের দাবি,২০১৩ সাল থেকে তারা Binary system বা, একই কক্ষপথে চলা এই দুটি তারকার উপর নজরদারি করে আসছিল এবং তারা তারকা দুটিকে KIC9832227 নামে চিহ্নিত করেছেন।
তাহলে জানা গেলো, বিজ্ঞানিগনের মতে,২০২২ সালে এই তারকা উদিত হবে।(আল্লাহু আলাম)
____________________________________________
এখন প্রশ্ন জাগতে পাড়ে,
(৩.) এই আলামতটি কেন প্রকাশ পাবে ?
♦উত্তরঃ বন্ধুরা যদিও এটা আমাদের জন্য গজব সরুপ, তবে তা নিয়ে কথা না বলে, বলছি,
এই আলামতটি ২ টি প্রধান কারনে প্রকাশ পাবে।
(১) ইমাম মাহদির প্রকাশের পুর্বে যে কয়েকটি আলামত প্রকাশ পাবে,তার একটি হলো এই তারকা।
অর্থাৎ, এটা হলো ইমাম মাহদির আগমনের আলামত।
যেমন হাদিছে এসেছে,
আবু জাফর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী (রহঃ) বলেন, "যখন পূর্বাকাশে ৩ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত আগুনের অগ্নিশিখা দেখতে পাবে, তখন আহলে মুহাম্মদ (সাঃ) এর (ইমাম মাহদীর) জন্য অপেক্ষা কর। একপর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা (হযরত জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে) মাহদী আঃ এর নাম ঘোষণা করবেন। যা পৃথিবীর সকল মানুষ শুনতে পাবে।
(আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী, পৃষ্ঠা নং - ৩২)
[এখন তার মানে আপনারা যদি ধরে নেন,এই তারকার প্রকাসের পরপরই দ্রুতই ইমাম মাহদী চলে আসবেন হয়তো তাহলে ভুল করছেন। কারন,এগুলো হলো আলামত। যেমন মাহদির আগমনের আরও আলামত হলোঃ সিরিয়ার ফিৎনা সুরু হওয়া, ফোরাত নদির সোনার পাহাড় প্রকাসিত হওয়া, ইমাম মাহমুদ এর প্রকাশ হওয়া, পৃথিবির ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষের মৃত্যু হওয়া,আবু সুফিয়ানির আগমন হওয়া,আকাসে হাত প্রকাশ পাওয়া, রমজানের ১ম ও ১৫ তারিখ সুক্রবার হওয়া, মধ্য রমজানে আওয়াজ, বায়দাহ ধ্বসে যাওয়া ইত্যাদি। এখন এগুলোর মানে এটা নয় যে, মাহদি তখনি প্রকাশ পাবে,বরং এগুলো তার আগমন নিকটে হবার আলামত মাত্র।]
♦এবং কারন (২) এক বছরের খাদ্য মজুদের সতর্কবানী হিসেবে এই তারকা উদিত হবে।
যেমন হাদিছে এসেছেঃ
----------------------------------------------------------------
** হযরত কাসির ইবনে মুররা আল হাজরনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আসমানে বিভিন্ন আলামত প্রকাশ পেতে থাকলে মানুষের মাঝে ব্যাপক এখতেলাফ (মতপার্থক্য) দেখা দিবে । তুমি এমন অবস্থা প্রাপ্ত হলে (দেখলে) তোমার সাধ্যানুযায়ী খাবারের মজুদ করে রাখ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৪ ]
** হযরত খালেদ ইবনে মা’দান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর পূর্বদিক থেকে আগুনের তৈরি পিলারের ন্যায় এক নিদর্শন প্রকাশ পাবে। যেটা জমিনের সকলে দেখবে। তোমাদের কেউ এমন যুগ প্রাপ্ত হলে, সে যেন তার পরিবারের জন্য এক বৎসরের খোরাকী (খাদ্য) প্রস্তুত রাখে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৩ ]
(৪.) এই তারকার সাথে ১ বছরের খাদ্য মজুদ করার সম্পর্ক কী ?
♦উত্তরঃ বর্তমানে কিছু মুফতি, আলেম,গবেষকসহ অধিক মানুষের একটি বহুল প্রচলিত ধারনা হলো,এই জুলফি তারকা/Red Nova Star বিষ্ফরনের পূর্বেই আমাদের ১ বছরের খাদ্য মজুদ করতে হবে।
******************************************
\♦♦ এই কথটি একেবারেই ভূল♦♦/
কারন টা আমি বলছি, কিন্তু নিচের লেকাটুকু পড়ার পুর্বে দীরস্থির হন, ধীরে ধীরে মনযোগ দিয়ে না পড়লে বুঝবেন না।
জুলফী তারকা/Red Nova Star এর সংঘর্ষ যদি ২০২২ সালে হয়,তাহলে কি আমাদের কে ২০২২ এর পুর্বেই ১ বছরের খাদ্য মজুদ করতে হবেনা ?
♥ না ♥তখন খাদ্য মজুদ করতে হবেনা।
কেননা, এই তারকা দেখার আগে খাদ্য মজুদ করার কোনই কারন নেই,। কিন্তু ১ বছরের খাদ্য মজুদ করতে হবে,তখন, যখন এই তারকা আমরা দেখতে পাবো,তারপর খাদ্য মজুদের কাজ করবো।
এখন বলতে পাড়েন,কেন এমন বলছি??
করনটা হাদিছ থেকে দেখে নিনঃ
হযরত কাসির ইবনে মুররা আল হাজরনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আসমানে বিভিন্ন আলামত প্রকাশ পেতে থাকলে মানুষের মাঝে ব্যাপক এখতেলাফ (মতপার্থক্য) দেখা দিবে । তুমি এমন অবস্থা প্রাপ্ত হলে (দেখলে) তোমার সাধ্যানুযায়ী খাবারের মজুদ করে রাখ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৪ ]
** হযরত খালেদ ইবনে মা’দান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর পূর্বদিক থেকে আগুনের তৈরি পিলারের ন্যায় এক নিদর্শন প্রকাশ পাবে। যেটা জমিনের সকলে দেখবে। তোমাদের কেউ এমন যুগ প্রাপ্ত হলে, সে যেন তার পরিবারের জন্য এক বৎসরের খোরাকী (খাদ্য) প্রস্তুত রাখে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৩ ]
______=_______=_______=______=______
আমি আবারও বলছি, হাদিছগুলো পড়ে দেখুন,
হাদিছ বলছে জুলফীসহ তারকা(Read Nova Star)
যখন মানুষ আকাশে দেখতে পাবে,তখন যেনো,১ বছরের খাবার জমা করার কাজে লেগে যায়,
হাদিছ কিন্তু এটা বলছে না, জুলফীসহ তারকা আকাশে প্রকাসের আগেই তোমরা ১ বছরের খাদ্য জমা রাখো।
***************************************
আমি আগেই বলেছি যে, এই তারকা দেখার আগে খাবার সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। বরং তারকা দেখার পর খাবার সংগ্রহ করতে হবে।
কেননা, এই তারকা এমন একটি ঘটনাকে হয়তো ইঙ্গীত করছে,যা ঘটলে ১ বছর চরম দুর্বিক্ষ দেখা দিবে, তাই এই জুলফী তারকা মানুষের সতর্কবার্তার মত কাজ করবে,
তাই আমরা যখনি, আকাশে এই আলামত দেখবো, তখনি আমাদের ভাবতে হবে যে, হয়তো সামনের ২-৩ বছরের মধ্যেই পৃথীবিতে এমন কিছু ঘটতে পাড়ে, যার কারনে, ১ বছরের খাদ্য মজুদ করা আবস্যকীয়।
____________________________________
____________________________________
(৫.) কেন আমাদেরকে ১ বছরের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে?
♦„উত্তরঃ আমি বারবার বলছি,যে,,,,এই জুলফি সহ তারকা নিজ চোখে দেখার পরই কেবল, খাদ্য মজুদ করবো। কারন,এই তারকা টি এমন একটি সতর্ক বানী,যেটা আমাদের জানান দিবে যে, ,হয়তো সামনের ২-৩ বছরের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটবে,যাতে করে ১ বছর খাদ্য জন্মাবেনা।গবেষনা করে দেখলাম যে,,,
তা হলো, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
যার ফলে পৃথীবির দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যাবে।
কারনটা আপনারাও জানেন যে, বর্তমান যুগে যদি বিশ্বযুদ্ধ হয়, তাহলে পরবর্তি ১ বছর দুর্বিক্ষ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
আর এটাও বোঝাই যাচ্ছে, এই তারকা টা যদি ২০২২ সালে উদিত হয়,তাহলে তার ২-৩ বছর পর এমন ঘটনা ঘটবে যে ১ বছরের খাদ্য লাগবে।
তাহলে ২০২৪-২০২৫ সালের দিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে পাড়ে। যা আস্- সাহরান এর ভবিৎষ্যত বানির অনুরুপ।
বাকিটা আল্লাহর হাতে।
-------------------------------------------------------------------
বিঃদ্রঃ এই জুলফি তারকা কে নিয়ে, কিছু লেখা পাওয়া যায়, যা অনর্থক
কারন,
ঐ তারকার প্রকাসের পর আকাশ লাল হবে এবং তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়ে যাবে এটা সত্য,,,,তবে তা কিছু দিনের জন্য।
কিন্তু,,, যে প্রচারনা চালানো হচ্ছে তা ভ্রান্ত।
নিচে সেই তথ্য দেওয়া হলোঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তার সাহাবীরা কেন পূর্বাকাশে উজ্জ্বল তারকা দেখলে আমাদেরকে এক বছরের জন্য খাদ্য মজুদ করে রাখতে বলেছেন, তা একটু বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
১, Red nova star বিস্ফোরণের পর মেঘের মতো যে লাল আভা আকাশে ছড়িয়ে পরবে, সেগুলো মূলত তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। কারন, KIC9832227 দুটি তারকা তে অগ্নি পরিবাহী উপাদান রয়েছে। আর এগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরো একটি কারন হল, এসব ছড়িয়ে পরা উপাদান গুলোতে আবার সূর্যের তাপ পরবে। সহজ ভাষায় বললে, মনে করেন এখন স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৩৫°ডিগ্রি থেকে 45°ডিগ্রি। কিন্তু Red nova বিস্ফোরণের পর তাপমাত্রা হবে ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০°ডিগ্রি।
আর তাপমাত্রা যখন ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০° ডিগ্রি হবে, স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের সকল ফসল ফলাদি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। নদ নদী, খাল বিল, পুকুরের পানি শুকিয়ে যাবে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও নিচে নেমে যাবে। গবাদি পশু গরু, ছাগল, ভেড়া, গাদা, হাস, মুরগি সব মরে যাবে। এমনকি পোকা মাকর, অন্যান্য বন্য প্রাণী গুলো ও মরে যাবে।
২, গাছ পালা, শাক সবজি এগুলো মূলত সূর্যের তাপ, আলো, পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহনের মাধ্যমে বেড়ে উঠে এবং ফুল, ফল-মূল ও অক্সিজেন দেয়। কিন্তু যখন ৪০ দিন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পরবে না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের ফসল ফলাদি ও শাক সবজি গুলো নষ্ট হয়ে যাবে এবং অত্যধিক তাপমাত্রার কারনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
হাদিসে বর্ণিত আছে, "ইমাম মাহদীর আবির্ভাব পূর্বে এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যাবে যুদ্ধ, বিগ্রহ, তরবারি ও রক্তপাতের কারনে। আর এক তৃতীয়াংশ মারা যাবে ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর কারনে"।
===========================
উপরের তথ্যানুযায়ী এতটা কিছুই হবেনা । হবে,এই তারকা প্রকাসের ২-৩ বছর পর।
এখন আপনারাই বলুন, তারকাটা দেখলে খাদ্য মজুদ করতে হবে কিন্তু তার আগে মজুদ করাটা বোকামির শামিল নয় কী??
♦মুলশিক্ষাঃ তারকাটা ২০২২ সালেই প্রকাশ পাক বা যে কোন সালে প্রকাশ পাক, যেদিন জমিন থেকে সরাসরি দেখা যাবে,তার পরেই আমরা জেনে রাখবো,যে ২ টি জিনিস হতে চলেছে,
(১) দুর্বিক্ষ আসতে চলেছে(বিশ্বযুদ্ধের কারনে)
এবং
(২) ইমাম মাহদি আগমন সন্নিকটে।
এবং তখন একটাই করনিয়ঃ
"১ বছরের খাদ্য মজুদ করা"
♥ধন্যবাদ♥
No comments:
Post a Comment