Sunday, 2 February 2020

ইমাম মাহমুদের দুই বছর বিশ্ব শাষন। ছাদীছ থেকে প্রমান ও আগামী কথন এর সত্যায়ন।

ইমাম মাহদীর মৃত্যুর পর এই গোটা বিশ্বের বাদশাহী কার হাতে যাবে ?
কে বিশ্ব শাষন করবেন ?




তিনি কি হযরত ইছা( আঃ) ?
নাকি ইমাম মানসুর ?
শুয়াইব ইবনে ছালেহ ?
নাকি ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ তার সহচর সাহেবে কিরান কে সাথে নিয়ে ?

সে সম্মন্ধে আলোকপাত করা হবে ইংশাল্লাহ।

♦প্রথমেই বলি যারা বিশ্বাস করেন যে,,, ইমাম আল মাহদী ৭/৯ বছর শাষন করা কালিন সময়েই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সয়্যেদুনা হযরত ইছা ইবনে মারিয়াম আঃ জমিনে অবতরন করবেন তাদের ধারনা ভুল।
তা পুর্বেও আমি প্রমান করেছি।
আর যারা মনে করেন সামনের দুই তিন বছরের মধ্যেই ইমাম মাহদী চলে আসবেন, তাদের ধারনাও ভুল।
কেননা, ইমাম মাহদির পুর্বেই ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও তার বন্ধু সহচর " সাহেবে কিরান "এর প্রকাশ ঘটবে এবং তাদের নেতৃত্বেই "গাজোয়াতুল হিন্দ" হবে।..
সেই সাথে আনন্দের বিষয় হলো হাদিছ থেকে প্রমান করেছি ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং নাটোর জেলাটার নির্দেশনা পাওয়া যায় হাদিছে।।
এ সকল কিছুই প্রমানিত হয়েছে পুর্বেই।
________________________
_____________________________
আজ আমি প্রমান করবো ইমাম মাহদির মৃত্যুর পর,,, ইমাম মাহমুদ বিশ্ব শাষন করবেন ২ বছর যাবৎ।
যা আগামী কথন এর সত্যতাও প্রমান করবে।
চলুন প্রথমে ♥আগামী কথন♥ এ এ সম্পর্কে কি বলা আছে তা পরে নেইঃ
♥আগামী কথন♥
♥লেখকঃ আস-শাহরান
♦প্যারাঃ (৬৪)
★ বাদশাহি পেয়ে বিশ্বনেতা,
সাত থেকে নয় বছরের পর।
ভারপ্রাপ্ত করিবে খেলাফত,
মাহদী, - মাহমুদ এর উপর।।
*ব্যক্ষাঃ লেখক বলেছেন,,
ইমাম মাহদী তার বিশ্ব শাষন ভার,, সাত থেকে নয় বছরের মধ্যেই হঠাৎ,ত্যাগ করবেন।
আর তখন বিশ্ব শাষন ভার, ভারপ্রাপ্ত হবে,,, ইমাম মাহমুদের উপর।।
#বোঝা যায়, ইমাম মাহমুদের সম্মান তাহলে অনেক। ইমাম মাহদির পরেই তার সম্মান।।
উল্লেখ্য যে,, কুরাইশ বংশ থেকে, যে ১২জন ইমাম/আমিরের আগমনের কথা হাদিছে বলা আছে, তার ই শেষ/১২ নং ইমাম হলেন,
ইমাম মাহদী।
আর,, তার নিচের পর্যায়ের ১১ নং ইমাম ই হলেন ইমাম মাহমুদ। ( আগামী কথন থেকে প্রমান মেলে)..
#প্যারাঃ (৬৫)...
★ দু সনের মধ্যেই ইমাম মাহমুদ,
বিশ্ব শাষন ভার--
হস্তান্তর করিবেন খেলাফত,
"মাহমুদ"- "মানসুরের উপর।
*ব্যাক্ষাঃ ইমাম মাহদির পর, যখন ইমাম মাহমুদ বিশ্ব শাষন করবে। তার খেলাফতের ২ বছরের মধ্যেই বিশ্বশাষন ভার ত্যাগ করবেন। আর ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন """ মানসুর"" নামক একজন ব্যক্তির উপর। কারন সে ব্যক্তিটি আল্লাহর মননিতই হবে। কেননা,এই মানসুরের নামটি বেশ অনেক গুলো হাদিছেও প্রকাশিত আছে।


তাহলে বোঝা গেলোঃ
আগামী কথনের ভাষ্য মতে, ইমাম মাহদী ৭-৯ বছর পর্যন্ত বিশ্ব শাষন করবেন।
এবং তার পর খেলাফত পাবেন ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ।
তিনি প্রায় দুই (২) বছর যাবৎ বিশ্ব শাষন করবেন।
তারপর, মানসুর বিশ্ব শাষন করবেন।
____________________________________________

এবার চলুন হাদিছ থেকে প্রমান নেয়া যাকঃ
এ ক্ষেত্রে ""আগামী কথন ""কতটা সত্য।
♥এখন আমি আপনাদের মাঝে,২ টি হাদিছ পেশ করতে যাচ্ছি,
যা এর পুর্বে আপনাদের মাঝে পেশ করিনিঃ

((১)) হযরত আরতাত রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
ইমাম মাহদীর শাষণ আমলের পর,দুই বছর ইমাম মাহমুদ বিশ্ব শাষণ করবে।যে হবে খুব কঠর,(শত্রুদের জন্য)
আর দূর্বলদের জন্য কমল অন্তরের।
(কিতাবুল ফিরদাউস,
অধ্যাঃ যুদ্ধ বিগ্রহ,
হাদিছ নংঃ৭৭১)
এবং
♥((২)) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,
রাসূল সাঃ বলেছেন,
আমার যামানায় আমি মুনাফিকদের ঘৃণা করি কিন্তু হত্যা করি না।আর আমার যামানার শেষের দিকে আমার বংশের ইমাম মাহদীর পর,একজন ইমাম দু বছরের খেলাফত পাবে,,তার খেলাফতের সময় মুনাফিকদের প্রকাশ্য হত্যা করা হবে।
(কিতাবুল ফিরদাউস,
অধ্যায়ঃ মুনাফিকের শাস্তির বর্ণনা,
হাদিছ নংঃ ১২১০)
____________________________________________

আমার মনে হয়না যে, উক্ত হাদিছ দুটির ব্যাক্ষা দেবার কোন প্রয়োজন আছে।
তো আপনারা জেনে নিলেন যে এই যে ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ তিনি শুধু গাজোয়াতুল হিন্দ ই করবেন না, বরং,
গাজোয়াতুল হিন্দের পর, ভারোতীয় উপমহাদেশে তথা,
( ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ,মিয়ানমার, সহ নেপাল ভুটান শ্রিলঙ্কা ও আফগানিস্থান)
এই সকল রাষ্ট্র কে একত্রিত করে শাষন করবেন।
তারপর মাহদির শাষন আমলের সময় ও ইমাম মাহমুদ এই ভুখন্ড শাষন করবেন।
এবং তারপর মাহদির মৃত্যুর পর,, গোটা বিশ্বের বাদশাহী পাবেন ইমাম মাহমুদ!
তবে তিনি মাহদির মতো ৭/৯ বছর নয় বরং ২ বছর বিশ্ব শাষন করবেন।
তার এই শাষনামলে কাফেরদের চেয়েও করুন পরিনতি হবে মুনাফিকদের। বিন্দু মাত্রও ছাড় পাবেনা মুনাফিকরা।
তারপর ২ বছর শাষন শেষে, তিনি বিশ্বের বাদশাহী তুলে দিবেন ইমাম মানসুরের হাতে।
ইংশাল্লাহ আপনারা অবগত হতে পারলেন।
ধন্যবাদ,।
আছছালামু আলাইকুম।

No comments:

Post a Comment