Sunday, 2 February 2020

ঘোড়া নিয়ে রাসূল (ছাঃ) এর হাদীছ। জিহাদের প্রস্তুতি হিসেবে ঘোড়া প্রস্তুত রাখা।

ঘোড়া নিয়ে কিছু কথা ও হাদিছের আলোচনা।



আছছালামু আলাইকুম।
আমরা কমবেশি অনেকেই পঙ্খীরাজ ঘোড়ার গল্প সুনেছি। যার পিঠে থাকে ২ টি ডানা,যে তার মনিব কে পিঠে চড়িয়ে নিয়ে, আকাশ পথে উড়ে বেড়ায়।
যদি সে ধরনের কিছু ভেবে থাকেন,তাহলে দুঃখীতো।
আজ আমি বাস্তবিক ঘোড়া সম্পর্কিত কিছু কথা বলবো।

আমার একটি উপদেশ সেই সকল দ্বিনি ভাই এবং বোনদের জন্য,যারা বিশ্বাস করেন,যে আগামী দিনে আসতে চলেছে ভয়াবহ জিহাদ!
আর গাজোয়াতুল হিন্দও সামনের দিনগুলোতে লক্ষনীয়। তাছাও
আমি প্রমান করেছি যে, গাজোয়াতুল হিন্দ এবং তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধের পর (২০২৫আল্লাহ আলাম)
তারপর কিন্তু আধুনিকতার অস্তিত্ব থাকবেনা।
বন্ধুরা সভ্যতার দিকে মানুষকে দ্রুতগামী করেছে ঘোড়া।

ঘোড়া এমন একটি প্রানি, যার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে।
এছাড়াও আমরা জানী প্রতিটি জিহাদেই ঘোড়ার ব্যাপক ব্যাবহার হতো! এমন কি আর কিছু বছর পর সবাই ঘোড়া ব্যবহার করবে।
কেউ বাহন হিসাবে,কেউ জিহাদের উদ্দেশ্যে, কেউ বা অর্থ লাভের তাগিদে।
আমি ইতপুর্বে হাদিছ থেকে প্রমান করেছি।
আধুনিকতা ধ্বংসের পর প্রথম
যে বড় যুদ্ধটি হবে তরবারী ঘোড়া দিয়ে, সেটা হলো "জেরুজালেম দখল"।যা ২০২৬-২৭ এর দিকে হবে ইংশাল্লাহ।

আর এটাও হাদিছ থেকে প্রমান করেছি যে, সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন শামীম বারাহ"(সাহেবে কিরান)...
আর উক্ত যুদ্ধে তরবারী ও ঘোড়ার ব্যাবহারেরর কথা হাদিছ শরীফে এসেছে।

♥♥হাদিছ♥♥

⚫ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল ফিলিস্তিন দখল করবে, যার নেতৃত্বদান করবেন শামীম বারাহ (সাহেবে কিরান)

** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন শক্তিই তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয় করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)

** হযরত উমর বিন মুররাহ আল জামালী (রাঃ)থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,“নিশ্চই খোরাসান থেকে একদল কালো পতাকাবাহী লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং তাঁদের একদল তাঁদের ♦ঘোড়াগুলো দড়ির সাহায্যে বাইতাল লাহ্যিয়া (ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা) এবং হারাস্তার (সিরিয়া রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকা) মধ্যবর্তী স্থানে জাইতুন (জলপাই) গাছের সাথে বাধবে”।♦
আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘সেখানে কি কোন জাইতুন গাছ আছে’? তিনি বলেন,“যদি সেখানে জাইতুন গাছ নাও থাকে তাহলে শীঘ্রই সেখানে জাইতুন গাছ জন্মাবে এবং খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী দল বের হয়ে আসবে এবং তারা তাঁদের ঘোড়াগুলো এইসব জাইতুন গাছের সঙ্গে বাঁধবে”।
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯০৩)


** দেখুন উক্ত হাদিছ গুলো বলছে জেরুজালেম দখলের সময় ঘোড়ার ব্যবহার হবে।

♥এছাড়াও আমাদের প্রিয় নবী (ছাঃ) ঘোড়া খুব পছন্দ করতেন।
সুনানু নাসাঈঃ
৩৫৬৫. আহমাদ ইবন হাফস (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মানব জাতির পর ঘোড়া অপেক্ষা আর কোন বস্তু প্রিয় ছিল না।
তাহক্বীকঃ যয়ীফ। আত-তা'লীকুর রাগীব ২/১৬১।
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

ঘোড়ার ললাটে কল্যান থাকেঃ

♦৩৫৭২. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বরকত ঘোড়ার লালটে।
তাহক্বীকঃ সহীহ। মুখতাসার মুসলিম ১১০৬, সহীহ জামে' আস-সগীর ২৮৮৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

♦৩৫৭৩. ইমরান ইবন মূসা (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তিনি ঘোড়ার ললাটের চুল তাঁর দুই আঙ্গুল দিয়ে বানিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার মাথায় খায়ের-বরকত বাঁধা থাকবে, আর সে খায়ের-বরকত হল সওয়াব এবং গনীমত।
তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ জামে' আস-সগীর ৩৩৫৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)
♦৩৫৬৩. আমর ইবন ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার ললাটে কল্যাণ বেঁধে রেখেছেন। ঘোড়া তিন প্রকারঃ এক প্রকার ঘোড়া যা দ্বারা মানুষ সওয়াব লাভ করে। আর এক প্রকার ঘোড়া, যা (অসচ্ছলতার জন্য) আচ্ছাদন (ঢালস্বরূপ) হয়ে থাকে এবং এক প্রকার ঘোড়া যা বোঝাস্বরূপ হয়ে থাকে। সওয়াবের ঘোড়া তো ঐ ঘোড়া, যাকে (মালিক) আটকে রাখে (লালন পালন করে) আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য এবং প্রয়ােজনমত তাকে জিহাদে ব্যবহার করা হয়। যা কিছু সে খায়, যা কিছু তার পেটের ভেতরে গায়েব করে, তা সবই তার জন্য সওয়াব লেখা হয়। যদিও নতুন চারণভূমিতে সে তার সামনে উদ্ভাসিত হয়। হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
তাহক্বীকঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৮/ ঘোড়া (كتاب الخيل)
হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৪ | 3564 | ۳۵٦٤
পরিচ্ছদঃ ১. ঘোড়ার ললাটে কল্যাণ সংযুক্ত
৩৫৬৪. মুহাম্মাদ ইবন সালমা ও হারিস ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘোড়া কোন লোকের জন্য সওয়াবের কারণ হয়ে থাকে, আর কারো জন্য তা আচ্ছাদন (ঢালস্বরূপ), আর কারো জন্য তা বোঝা (গুনাহের কারণ) হয়ে থাকে। ঘোড়া ঐ ব্যক্তির জন্য সওয়াবের কারণ হয়ে থাকে, যে তাকে আল্লাহর রাস্তায় বাঁধে (প্রতিপালন করে)। আর সে তার রশি বাগান এবং চারণভূমিতে লম্বা করে দেয়, সেই ঘোড়া সে রশিতে থেকে যতদূর পর্যন্ত চরবে, তার জন্য নেকী লেখা হবে। যদি সে রশি ছিড়ে কোন উঁচু স্থানে (টিলায়) বা দুই উঁচু স্থানে চরে, তবে তার প্রত্যেক পদক্ষেপে তার জন্য নেকী লেখা হবে এবং হারিসের হাদীসে আছে, তার গােবরেও নেকী লেখা হবে। যদি ঐ ঘোড়া কোন নহরে গিয়ে পানি পান করে, অথচ মালিকের পানি পান করাবার ইচ্ছা না থাকে, তবুও তা মালিকের জন্য নেকী রূপে লেখা হবে।
এইরূপ ঘোড়া সওয়াবের কারণ হয়ে থাকে। আর, যে তা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বেঁধে রাখে, অথবা মানুষের কাছে চাওয়া থেকে বাঁচার জন্য এবং তাতে অর্থাৎ (ঘোড়ার) ঘাড়ে ও পিঠে পালনীয় মহান মহীয়ান আল্লাহর হক'-এর কথা বিস্মৃত হয় না (এর যাকাত আদায় করে), তবে তা (ঘোড়া) তার জন্য আচ্ছাদন। আর ঐ ব্যক্তির জন্য পাপ, যে ব্যক্তি তাকে গর্ব করা, লোক দেখানো এবং মুসলমানের সাথে শত্রুতার জন্য বাঁধে (পালন করে)। কোন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গাধার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, এর ব্যাপারে এখনও কিছু আমার উপর নাযিল হয়নি। তবে এই আয়াত যা সর্বব্যাপী মূলবিধি (রূপে স্বীকৃত, যাতে সামগ্রিক বিষয় শামিল রয়েছে)। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, কেউ অণু পরিমাণ নেককাজ করলে তা সে দেখতে পাবে, আর কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে তা-ও সে দেখতে পাবে।
তাহক্বীকঃ সহীহ। সহী জামে’ আস-সগীর ৩৫৫১।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

____________♥____________

তাই আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো সময় থাকতে একটি ঘোড়ার বাচ্চা কিনুন। আর তাকে স্বযত্নে নিজের বন্ধু হিসাবে লালন পালন করে বড় করে তুলুন।
এবং তাকে জিহাদের জন্য ট্রেনিং দিন,তার পিঠে ছওয়ারী করুন।তাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার আর যথপোযুক্ত ভালোবাসা দিয়ে প্রস্তুত করুন, এবং তার মনে নিজের জায়গা তৈরী করে নিন, সেও যেনো
আপনাকে নিজের একমাত্র প্রিয় বন্ধু মনে করে, যেনো নিজের একমাত্র নিরাপদ স্থান মনে করে আপনাকে।
তাহলে দেখবেন, একদিন সে আপনার জিবন বাচানোর একটি বড় মাপের উছিলা হবে ইংশাল্লাহ।
আর অবশ্যই ঘোড়াটিকে ভবিৎষ্যত জিহাদের জন্য পালন করবেন, তাতে আপনার জন্য তার প্রতিটি কদমে নেকী দান করা হবে। (সুবহানআল্লাহ)
,,, আর আমরা এটাও জানি ইমাম মাহদীর পুর্বেই দ্বিতীয় সুফিয়ানি তার সৈন্যদের কে নিয়ে সবাই ঘোড়ার পিঠে চড়ে প্রকাস পাবে জন সম্মুখে।
তাছাও ইমাম মাহদির শাষনকালে ঘোড়ার ব্যবহার বিষেস ভাবে লক্ষনীয়।
তাই যারা ইমাম মাহমুদ বা ইমাম মাহদির সৈনিক হতে ইচ্ছুক,তারা নিজেরাও জিহাদের জন্য প্রস্তুত হন, সাথে নিজের প্রিয় একটি ঘোড়াকে প্রস্তুত রাখুন।

আছছালামু আলাইকুম ।

No comments:

Post a Comment