Monday, 3 February 2020

সিরিয়ার যুদ্ধ কেন শুরু হয়েছে এবং কবে শেষ হবে ? ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় কবে প্রকাশ পাবে?

সিরিয়ার যুদ্ধ কেন শুরু হয়েছে এবং কবে শেষ হবে?

সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছিল যে জন্যঃ

মুলত এক বালকের জন্যঃ

ঘটনায় পরে আসছি,চলুন আগে যেনে নেই,
কিছু ভবিৎষ্যত বানি।



** হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একটা যুদ্ধ হবে। যার শুরুতে থাকবে ছোটদের খেলাধুলা। (ছোটদের খেলা থেকেই যুদ্ধ শুরু হবে)। যুদ্ধটি এমন হবে যে, এক দিক দিয়ে থামলে আরেক দিক দিয়ে (যুদ্ধের আগুণ) প্রজ্জলিত হয়ে উঠবে। যুদ্ধ শেষ হবে না, এমতবস্থায় আকাশ থেকে এক সম্বোধনকারী (জিব্রাইল আঃ) সম্বোধন করে বলবে- অমুক ব্যক্তি নেতা। আর ইবনুল মুসাইয়িব তার দুই হাত গুটাবেন ফলে তার হাত দুটো সংকুচিত হয়ে যাবে। অতপর তিনি এই কথাটি তিন বার বললেন, সেই আমীর বা নেতাই সত্য।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৭৩ ]

** হযরত ইবনুল মুসাইয়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সিরিয়ায় একটি যুদ্ধ হবে। যার শুরুটা হবে শিশুদের খেলাধূলা (দিয়ে)। অতপর তাদের এযুদ্ধ কোন ভাবেই থামবে না। আর তাদের কোন দলও থাকবে না। এমনকি আকাশ থেকে এক সম্বোধনকারী সম্বোধন করে বলবে, তোমাদের উপর অমুক ব্যক্তি। এবং সুসংবাদদাতার হাত উথিত হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৭৭ ]

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪ বছর বয়সী ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মুয়াইয়া সিয়াসনেহ টেলিভিশনে তিউনেশিয়া ও মিশরের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী খবর দেখে দক্ষিণ সিরিয়ার দারা শহরে নিজের স্কুলের দেয়ালে সরকার বিরোধী স্লোগান লেখে। রাতের বেলা পুলিশ এসে তাকে সহ আরো ৩ বন্ধুকে আটক করে মারাত্মক নির্যাতন করে।

যার কারণে দারা শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে, এবং পরবর্তীতে যা পুরো সিরিয়াতে ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে বাশার আল আসাদ সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং তাদের কে নির্দেশ দেয় বিক্ষোভকারীদের সরাসরি গুলি করতে।

কিন্তু সেনাবাহিনীর কেউ কেউ গুলি করতে অস্বীকার করে। তারপর সেনাবাহিনীর সেই বিদ্রোহী অংশটি নিয়ে ঘটিত হয় FSA।

তারপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার আরব দেশের মিত্ররা বিদ্রোহীদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।

২০১২ সালে আল কায়দা আফগানিস্তান থেকে কিছু প্রশিক্ষিত যোদ্ধা সিরিয়াতে পাঠায় এবং ইরাকের ইসলামিক ইস্টেট কে সিরিয়াতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সাম্প্রতিক কালে,
HTS এর কমান্ডার আবু মুহাম্মদ জুলানী বলেন, মাত্র ৫ টি AK47 রাইফেল দিয়ে তারা সিরিয়া যুদ্ধের যাত্রা শুরু করে।

,,আর আবু হুরায়রা(রা) একটি হাদিছ বলে,

অন্ধকার অন্ধত্বপুর্ন ফিৎনা(সিরিয়ার যুদ্ধ)
১২ বছর চলবে। অতঃপর, ফুরাতের সোনার পাহাড় উন্মচিত হবে,।

তাহলে, ২০১১+১২= ২০২৩..

জানা গেলো , ২০২৩ সালে।

তবে, কোন কোন মুহাদ্দিছগন বলেছেন,১২ বছরের মাথায় ফুরাতের ঘটনা ঘটলেও যুদ্ধ চলবে
১৮ বছর চলবে।

২০১১+১৮= ২০২৯...

তাহলে হতে পারে, তা মাহদী র বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা শেষ হবে।

ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় সম্পর্কে আস-শাহরানের ভবিষ্যৎ বাণীর কবিতা আগামী কথন এ যা বলা আছে? 


ফোরাত নদীতে স্বর্নের পাহাড় কবে প্রকাশ পাবে? 


প্যারাঃ (৭)
★ অতঃপর দেখবে নদী পাড়ে,,
সকল বিশ্ববাসী গন।
চাক্বচিক্কেই হয়না সোনা,,
বুঝবেনা তা লোভিদের মন।।
** ব্যখ্যাঃ আগামী কথন কবিতায় লেখক ( আস- শাহরান) - এই পর্বে বলেছেন যে,, কাশ্মির বিজয় হওয়ার পর,, হঠাৎ কোনএক দিন নদিরপাড়ে বিরাট একটি সোনার পাহাড় দেখতে পাবে।
** এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে,,
মোহাম্মাদ (ছাঃ)- এর সেই হাদিসটির বাস্তবায়ন হবে যে,,
""কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হবে না,,যতদিন না,ফুরাত নদি থেকে সোনার পাহাড় ভেষে না উঠবে।। তোমরা কেউ তখন থাকলে,, তা থেকে কোন অংশই নিবে না""..
## আগামী কথনে বলা হয়েছে যে,,
"" চাক্বচিক্কেই হয়না সোনা,,
বুঝবেনা তা লোভিদের মন।।
- - এর দাড়া আসলে এটা বোঝানো হয়েছে যে,,
ঐ সোনা,,খাটি সোনার মত চকচক করলেও,,
তা আসলে একটি বড় পরিক্ষা যে,, কার ইমান কেমন। কে আল্লাহ ও তার রছুলের নিষেধ মান্যকরে আর কারা সিমা লঙ্ঘন করে।


প্যারাঃ (৮)...
★ একটি " শীন", দুইটি "আলিফ",,
তিন ভুখন্ডেই হবে ঝড়।
বিদায় জানালো মহাদূত....
তার তের-নব্বই- এক পর।
** ব্যখ্যাঃ
* এই পর্বে লেখক আস- শাহরান,, একটু অস্পস্ট ভাবে বাক্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন যে,,সেই ফুরাত নদীর স্বর্নের পাহাড় দখলে আনার জন্য,,তিনটি রাষ্ট্র যুদ্ধে জরিয়ে পরবে।। সেই ৩ টি দেশের নামের প্রথম হরফ এখানে লেখক উল্লেখ করছেন। আর তা হলো,,
(১) শীন। (২) আলিফ এবং (৩) আলিফ।
যেহেতু,,, ফুরাত নদি তুরষ্ক থেকে উৎপন্ন হয়ে,
আরবের পাশ দিয়ে,,শিরিয়া দিয়ে ইরাক পর্যন্ত বৃস্তিত।
তাই সহযেই অনুধাবন করা যায় যে,,
(১) শীন,,, হলো শিরিয়া।
এবং,, (২) আলিফ,,, হলো ইরাক।
তাহলে (৩) নং আলিফ কোন দেশ?
{ পরবর্তি প্যারায় প্রকাশিত}
*** এখন প্রশ্ন হলো কবে,,কত সালে,, এই সোনার পাহাড় প্রকাশ পাবে??
** এ প্রসঙ্গে (আস-শাহরান) বলেছেন যে,,
"" বিদায় জানালো মহাদূত,,,
তার তের নব্বই এক পর।।
** কে এই মহাদূত??
আমরা সবাই জানি যে,, মানবতার মুক্তির মহা দূত হলেন,, আমাদের প্রিয় নবী,, হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)।। তিনি পৃৃথীবি থেকে বিদায় জানিয়েছেন ৬৩২ খ্রীঃ তে।। আর ১৩-৯০-১ মানে লেখক,,এখানে,, ১৩৯১ বছর বুঝিয়েছেন।
সুতরাং,, ৬৩২+১৩৯১ = ২০২৩....!!!
??? অর্থাৎ,, এখানে লেখক( আস- শাহরান)
ভবিৎষত বানি করে বলেছেন যে,,
আগামী ২০২৩ সালের যে কোন সময়ই ফুরাত নদি থেকে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠবে।।
** যেটা কিয়ামতের অন্যতম আলামত।।


প্যারাঃ (৯)...
★ যে ভূমি থেকে দিয়েছিলো নিষেধ,,
খোদার প্রিয় নবী।।
নিষেধ ভূলিবে,, করিবে -রণ,,
তাতে হইবেনা কামিয়াবি।।
** ব্যাখ্যাঃ এই প্যারায় লেখক ( আস-শাহরান).
বলেছেন যে,, মুহাম্মাদ (ছাঃ)- যে দেশ থেকে ঐ স্বর্নের খনি দখল করতে যাওয়ার নিষেধ করেছিলেন,, তার নিষেধ ভুলিয়া,, ঐ দেশটিও লোভের বশিভুত হয়ে,, ফুরাত নদীর সোনার পাহাড় দখল করতে লড়াই করবে। অর্থাৎ,, সৌদি আরব ও যুদ্ধ করবে, সোনার লোভে।।
** এই পর্ব থেকে প্রমানিত যে,, (৩) নং " আলিফ নামক দেশটি হলো "" আরব""!
** যে ৩টি দেশ,,আল্লাহর রছুল (ছাঃ)- এর নিষেধ অমান্য করে,, ফুরাত নদীর সোনার পাহাড় দখল করতে,, যুদ্ধের সুচনা করবে,, সেই ৩ টি দেশ হলো,,
(১) শিরিয়া, (২) ইরাক ও (৩) আরব।

কিন্তু কেউ ই সেই যুদ্ধে সফলতা পাবে না।।

প্যারাঃ (১০)...
★ দুপক্ষ কাল চলিবে লড়াই,,
দখল করিতে জলাংশ।
প্রতি নয় জনের, সাত জনই হায়,
হইবে সে রনে ধ্বংশ।।
ব্যাখ্যাঃ লেখক( আস- শাহরাণ) - ভবিৎষত বানিতে বলেছেন যে,, ফুরাত নদীর সোনার পাহাড় দখল করার জন্য,, শিরিয়া,, আরব ও ইরাক,, ২ পক্ষ কাল সময় ধরে যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে।
** আমরা জানি,, যে,,
১ পক্ষ কাল সময় = ১৫ দিন।
সুতরাং,, ২ পক্ষ কাল = ৩০ দিন।
অর্থাৎ,, সোনার খনি দখল করতে ১ মাস যুদ্ধ চলবে,, শিরিয়া,ইরাক ও আরবে।
২০২৩ সালের যে কোন মুহর্তে।।
** আর সেই যুদ্ধে যত জন অংশ গ্রহন করবে,,
তাদের প্রতি ৯ জনের মধ্যে ৭ জন করেই মারা পরবে।।

প্যারাঃ (১১),,,,
★ যেখান থেকে এসেছিলো ধন,
চলে যাবে সেথায় ফের।
বুঝছোনা কেন? - এটা তোমাদের,,
পরিক্ষা ঈমানের। !!
**ব্যখ্যাঃ এই প্যারায় লেখক আস-শাহরান, ভবিৎষতবানি করে বলেছেন যে,, ঐ সোনার ক্ষনি যেখান থেকে এসেছিল,,আবার সেখানেই ফেরত চলে যাবে।
** অর্থাৎ,, ফুরাত নদি থেকে যে সোনার ক্ষনিব উঠবে,, তা ১ মাসের কিছু কম-বেশ সময়ের মধ্যেই,,আবার জলের মধ্যে ডুবে যাবে। অদৃশ্য হয়ে যাবে।
মাঝখানে মহান আল্লাহ মানুষের ইমানের পরিক্ষা নিবেন।
*(( আমরা জানি যে,, ইরাক,, আরব ও শিরিয়া তিনটি দেশই ইসলামিক দেশ। আর তারাই নাকি,, আল্লাহর রছুল (ছাঃ) এর নিষেধ লঙ্ঘন করে ফিতনায় পতিত হবে! { ভবিৎষতদ্বানী অনুযায়ী} তাই তো আল্লাহ তাদের গজবে ধ্বংশ করবেন))

(( আল্লাহ আলিম))
ধন্যবাদ সবাইকে।
আছছালামু আলাই কুম।

No comments:

Post a Comment