তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) এর হাদীছ সমূহঃ
♦গাজোয়াতুল হিন্দ হবে মাহদীর পূর্বেই
♦ কত সালে হবে গাজোয়াতুল হিন্দ?
♦ কত সালে হবে আধুনিকতার ধ্বংশ?
সবকিছু প্রমান হবে,কুরআন ও হাদিসের আলোকে!
আসসালামু আলাইকুম।
অতিরিক্ত আলোচনা না করে সরাসরি চলে যাচ্ছি মুল আলোচনায়।
সবার নিকট একটাই অনুরোধ করছি,
পুরো বিষয়টিকে, নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করবেন। দলা দলির আবেগে, বিবেক কে হত্যা করবেন না।
ধন্যবাদ।
প্রথমেই আলোচনা করবো, পারমানবিক অস্র নিয়ে হাদিসে কি বলা আছেঃ
হাদিসঃ
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ)- বলেন,
রাছুল (ছাঃ)- বলেছেনঃ
""কিয়ামতের পূর্বে মানুষ গন অগ্নি নিক্ষেপ করবে।আর সে অগ্নি দ্বারা তারা নিজেরাই ধ্বংস হবে।
অবশ্যই তারা আল্লাহর অবাধ্য জাতী। এই অবাধ্য জাতী ধ্বংসের পর,আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীকে শান্তিময় করবেন।
( কিতাবুল ফিরদাউস, হা- ১১৭৯)
♦ব্যাক্ষাঃ হাদিস টি ছোট হলেও কত কথা যে লুকিয়ে আছে, তা ধারনার বাইরে।
1) বলা আছে মানুষেরা শেষ জামানায় অগ্নি নিক্ষেপ করবে অর্থাৎ পারমানবিক বোমা দিয়ে যুদ্ধ করবে।
2) সে অগ্নি দ্বারা তারা নিজেরাই ধ্বংস হবে। অর্থাৎ, বোঝা যাচ্ছে, এই পারমানবিক অস্র নিয়ে বিরাট কোনো যুদ্ধ হবে, যার কারনে মানুষ ধ্বংস প্রায় হয়ে যাবে।
3) অবশ্যই তারা আল্লাহর অবাধ্য জাতী। এই পয়েন্ট টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা, এই জাতিকে আল্লাহর অবাধ্য জাতী হিসেবে বলা হয়েছে। আর আমরা জানি আল্লাহ তার অবাধ্য জাতী কে ধ্বংস করে দেন।
4) এই অবাধ্য জাতী কে ধ্বংস করার পর আল্লাহ এই পৃথিবীকে শান্তিময় করবেন।
আমরা জানি, এই গোটা পৃথিবীতে শান্তিময় করা হবে একমাত্র ইমাম মাহদীর সময়।
তার বাইরে সকল ইমাম,মুজাদ্দিদ, এমনকি ইছা( আঃ) - এর শাসনামলেও বিশৃঙ্খলা থাকবে।
আর এই অগ্নি নিক্ষেপ কারী অবাধ্য জাতী কে ধ্বংস করা হবে।
আমরা এটা জানি যখন আল্লাহ কোনো জাতী কে ধ্বংস করেন, তখন সেখানকার সব তছনছ হয়ে যায়, অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে,, এই আধুনিক বিশ্বের অস্তিত্ব থাকবেনা। তারপরই আল্লাহ পৃথিবী কে শান্তিময় করবেন অর্থাৎ, মাহদীর শাষন কাল আসবে।
আলহামদুলিল্লাহ।
সাবধান! মুশরিকরা নিজেদের অবাধ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে কিয়ামত আনয়ন করবে।
আর তখন পৃথিবীতে অগ্নি প্রকাশ পাবে, যা পৃথিবীর দুই- তৃতীয়াংশ মানুষ কে ধ্বংস করবে।
তার পরেই আল্লাহ তায়ালা একটি শান্তিময় পৃথিবী দেখাবেন। যেখানে কোন বিশৃঙ্খলা থাকবেনা।
একথা বলে তিনি সুরা ইব্রাহিম এর ৪৮ তম আয়াত পাঠ করলেন।
(কিতাবুল ফিরদাউস- হাঃ- ১১৭৮)
_____________________________________________
ব্যাক্ষাঃ 1) আল্লাহর রছুল (ছাঃ)
বলেছেন, মুশরিকরা (মুর্তীপুজারি হিন্দু রা) নিজেদের অবাধ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে কিয়ামত আনয়ন করবে।
এই কিয়ামত মানে কিন্তু পৃথিবীর কিয়ামত না।
এটা জাতির কিয়ামত।
কেননা আল্লাহর রছুল( ছাঃ) বলেছেন,
কিয়ামত ৩ প্রকার,
১) ব্যাক্তির কিয়ামত, যখন মৃত্যু হবে।
২) জাতীর কিয়ামত, যখন তারা যুদ্ধ কোরে বা আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়।
৩)পৃথিবী ধ্বংসের কিয়ামত।
আর যেহেতু এখানে, এখানে মুশরিক জাতীর কিয়ামত আনয়ন এর কথা বলা হয়েছে, সেহেতু এটা জাতির কিয়ামত।
2) আর তখন পৃথিবীতে অগ্নি প্রকাশ পাবে, যা পৃথিবীর দুই- তৃতীয়াংশ মানুষ কে ধ্বংস করবে।
আমরা জানি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে মুশরিক মালাউন রা যখন কারবালা করবে মুসলিমদের ঘড়ে ঘড়ে,, মানে অবাধ্যতার সিমা তীব্র গতিতে বাড়তে থাকবে, তখন মুমিনরা পাল্টা আক্রমণ করবে। আর এঘটনা থেকে ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবীতে বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হবে। তাহলে বোঝা গেলো মুলত মুশরিকদের কারনেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হবে।
তখন পারমাণবিক যুদ্ধ হবে। মানে অগ্নি প্রকাশ পাবে। আর এটাও জানি এই বিশ্ব যুদ্ধে ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষই মারা যাবে।
3)তার পরেই আল্লাহ তায়ালা একটি শান্তিময় পৃথিবী দেখাবেন। যেখানে কোন বিশৃঙ্খলা থাকবেনা।
আমি পুর্বেও বললাম, এই শেষ জামানায় গোটা পৃথিবীকে শান্তিময় করা হবে একমাত্র ইমাম মাহদীর শাষণামলে।
যেখানে কোনোই বিশৃঙ্খলা থাকবেনা।
তাহলে বোঝা গেলো ইমাম মাহদীর পুর্বেই মুশরিকদের পতন হবে। অর্থাৎ গাজোয়াতুল হিন্দ হবে।
কিন্তু কত সালে??
আর কার নেতৃত্বে??
4)একথা বলে তিনি সুরা ইব্রাহিম এর ৪৮ তম আয়াত পাঠ করলেন।
ঃ আমরা জানি সুরা ইব্রাহিম এর শেষের অংশ মুশরিকদের পতনের ওয়াদা ও আল্লাহর শাস্তির ওয়াদা এর আলোচনা করা হয়েছে।
আর এই সুরার ৪৮ নং আয়াতে বলা আছে,
""" - যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশ সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এবং আল্লাহর সামনে পেশ হবে।"""
(ইব্রাহিম, আয়াত,৪৮)
আল্লাহ বলেছেন,,,, একদিন আল্লাহ এই পৃথিবীকে পরিবর্তন করবেন অন্য এক পৃথিবীর মতো।
অর্থাৎ,, পৃথিবীর যে সিস্টেম থাকবে, তিনি তা পরিবর্তন করে দিবেন।
এখন প্রশ্ন, এই হাদিসে
বলা আছে, পারমানবিক যুদ্ধ হবে, ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষ মারা যাবে, তারপর পৃথিবী বদলে যাবে অন্য এক পৃথিবীর মতো হয়ে যাবে।
এর অর্থ, আধুনিকতার ধ্বংশ হয়ে যাবে।
আর এই আয়াত টি হাদিসে উল্লেখ করার পিছনে আরও একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কারন আছে।
আপনারা জানেন যে, কুরআনের প্রতিটি আয়াতেরই গানিতিক হিসাব আছে।
আর এই আয়াতের, গানিতিক হিসাবে এরকমই পাওয়া যায়,
সূরা ইব্রাহিম হলো ১৪ নং সূরা এবং তার ৪৮ নং আয়াত= ১৪৪৮,
এই সংখ্যা টিকে হিজরি সন হিসেবে ব্যবহার করে ১৪৪৮ হিজরি সন আসে। যা ইসায়ী ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় হয়।
অর্থাৎ, ২০২৬ সালে মানুষ এই পৃথিবীর এক বিরাট পরিবর্তন দেখতে পাবে। যা সম্পূর্ণ অন্য রকম আধুনিকতা ছাড়া এক বিশ্ব।
আর তারপরেই শান্তি ময় পৃথিবী আসবে মাহদীর আগমনে।
আলহামদুলিল্লাহ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এখন প্রশ্ন থেকেই যায়,
মাহাদীর পূর্বেই আল্লাহ গোটা জাতী কে ধ্বংস করবেন, এবং সেই সাথে গাজোয়াতুল হিন্দ ও সংঘটিত হবে।
কিন্তু আল্লাহ তো কোনো জাতী কে ধ্বংস করার আগে সেখানে সতর্ক কারী পাঠান।
এবং
গাজোয়াতুল হিন্দ হলে সেনাপতি, আমীর কে হবেন।???
তুল হিন্দ কতো সালে হবে??
♦হযরত কা'ব( রাঃ) বলেন,আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি অচিরেই মুসলমানরা এক দূর্বল বালকের নেত্রিত্বে হিন্দুস্থান দখল করবে।আর এ যুদ্ধের ব্যপারেই তোমাদের প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে।আর আল্লহও এই যুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর সেখান থেকেই আল্লাহ মুশরিকদের পতন করে পৃথিবিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।একথা বলে তিনি (রাসুল (ছাঃ)-সুরা ইব্রাহিম এর ৪৭ নম্বার আয়াত পাঠ করলেন।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৭)
(কিতাবুল আক্বিব,১০০)
(আখীরুজ্জামানা আলমাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,২৩৫)
♦ব্যাক্ষাঃ 1) এই হাদিস বলছে গাজোয়াতুল হিন্দ হবে এক দুর্বল বালকের নেতৃত্বে। আর আল্লাহ এই যুদ্ধের বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
2) আর এই যুদ্ধের পর আল্লাহ হিন্দুদের পতন ঘটাবেন।
3) এবং তারপর পৃথিবী কে শান্তিময় করবেন। অর্থাৎ ইমাম মাহদীর প্রকাশ ঘটবে।
4) একথা বলেই, রছুল (ছাঃ) সুরা ইব্রাহিম এর ৪৭ নং আয়াত পাঠ করেন।
সেখানে বলা আছে,
সূরা ইব্রাহীম:47 - অতএব আল্লাহর প্রতি ধারণা করো না যে, তিনি রসূলগণের সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করবেন নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
আর এই আয়াত টি হাদিসে উল্লেখ করার পিছনেও আরও একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কারন আছে।
আপনারা জানেন যে, কুরআনের প্রতিটি আয়াতেরই গানিতিক হিসাব আছে।
আর এই আয়াতের, গানিতিক হিসাবে এরকমই পাওয়া যায়,
সূরা ইব্রাহিম হলো ১৪ নং সূরা এবং তার ৪৭ নং আয়াত= ১৪৪৭,
এই সংখ্যা টিকে হিজরি সন হিসেবে ব্যবহার করে ১৪৪৭ হিজরি সন আসে। যা ইসায়ী ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় হয়।
অর্থাৎ, ২০২৫-২৬ সালের প্রথমদিকেই গাজোয়াতুল হিন্দ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আর তারপরেই শান্তি ময় পৃথিবী আসবে মাহদীর আগমনে।
আলহামদুলিল্লাহ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এখন প্রশ্ন হলো এই দুর্বল বালক কে?
তার সময় কি হবে?
হাদিসঃ
♥ #হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)- থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রছুল (ছাঃ)- বলেছেনঃ
আখেরী জামানায়, ইমাম মাহদী র পূর্বে ইমাম মাহমুদ-এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে।(তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ) তার যামানায় মহাযুদ্ধের বজ্রাঘাতে বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে,এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে।(আধুনিকতার ধ্বংস হবে).
সে তার সহচর বন্ধু ""সাহেবে কিরান"" কে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালোনা করবে-যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে।
তোমরা তাদের পেলে যানবে,ইমাম মাহদীর প্রকাশের সময় হয়েছে।
(আসরে যুহরি,১৮৭ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ২৩৩ পৃঃ
ইলমে তাছাউফঃ ১৩০ পৃঃ
ইলমে রাজেনঃ ৩১৩ পৃঃ
বিহারুল আনোয়ারঃ ১১৭ পৃঃ)
আশা করি এর ব্যাক্ষার প্রয়োজন নেই।।
কিয়ামতের পূর্বে মানুষ গন অগ্নি নিক্ষেপ করবে।আর সে অগ্নি দ্বারা তারা নিজেরাই ধ্বংস হবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রছুল (ছাঃ) - বলেছেনঃ
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
তো আপনারা জেনে নিলেন, কুরআন ও হাদিসের আলোকে,
গাজোয়াতুল হিন্দ হবে ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে ও তারপরেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হবে। পারমাণবিক যুদ্ধ।
তার ফলে, পৃথিবীর ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষই ধ্বংস হবে ও আধুনিকতার ধ্বংশ হবে।
তারপরই ইমাম মাহদীর প্রকাশ ঘটবে। ইনশাআল্লাহ।
যা আগামী কথন পুথীমালায় ও অনুরুপ ভাবে বর্ননা করা হয়েছে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আস-শাহরানের ভবিষ্যৎ বাণীর কবিতা আগামী কথনে কি বলা আছে?
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কখন হবে?
প্যারাঃ (২৭)★ দ্বিতিয় বিশ্ব সমর শেষে
আষি বর্ষ পর,,,
শুরু হবে ফের অতি ভয়াবহ,
তৃতীয় বিশ্ব সমর।
ব্যাক্ষাঃ লেখক,,আস -শাহরান প্রকাশ করেছেন,যে,,
দ্বিতিয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হবার ৮০ বছর পর,, আরো ভয়াবহ আকারে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে।
আমরা সবাই জানি যে, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে,,
১৯৪৫ সালে।
অতএব,,
১৯৪৫+৮০=২০২৫ সাল।
অর্থাৎ,, ২০২৫ সালেই গাজওয়াতুল হিন্দের সময়ই,,,৩য় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা হবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেে কোন দেশ, কোন দেশকে আক্রমণ করবে?
প্যারাঃ (২৮)★ কুর্দি কে এ রনে করিবে ধ্বংশ,
কঠিন হস্তে আরমেনিয়া।
আরমেনিয়ায় ঝড় তুলিবে
সম্মুখ সমরে রাশিয়া।
ব্যাক্ষাঃ আস শাহরান বলেছেন,, কুর্দিকে এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংশ করবে,আরমেনিয়া। এবং,,আরমেনিয়ার সাথে লড়াইএ মাতবে রাশিয়া।
{ কুর্দি= যারা ইরাক,সিরিয়া,ও ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় এবং, তুরষ্কের পূর্বাঞ্চলীয় বাসিন্দা}
আরমেনিয়া=ইরানের উত্তরে এবং তুরষ্কের পুর্বদিকে, কাস্পিয়ান সাগর ও কৃষ্ণ সাগরের মাঝে অবস্থিত}।
প্যারাঃ (২৯)
★ রাশিয়া পাইবে কঠিন শাস্তি,
মাধ্যম হইবে তুরষ্ক।
তাহার পরেই এই মাধ্যমকে,,
কুর্দি করিবে ধ্বংশ।
ব্যাক্ষাঃ তারপর রাসিয়ায় আক্রমন চালাবে তুরষ্ক। আর ঠিক তখন,তারপরই,, তুরুষ্ককে কুর্দি জাতি আক্রমন করে ধ্বংশ করে দিবে।
প্যারাঃ (৩০)
★ এরই মাঝেই চালাবে তান্ডব,
পার্শদেশ কে হিন্দুস্থান।
বজ্রাঘাতে হইবে ধ্বংশ,
বেইমানের হাতে পাকিস্থান।
ব্যক্ষাঃ এর মাঝেই ভারত তখন,,, পাকিস্থানের উপর তান্ডব চালাবে। তারা বজ্রাঘাতে( পারমানবিক বোমা হামলার মাধ্যমে) পাকিস্থানকে ধ্বংশপ্রাপ্ত করবে।
প্যারাঃ (৩১)
★ তাহার পরেই হিন্দুস্থান কে,
ধ্বংশ করিবে তিব্বত।
তিব্বত কে করিবে সে রনে তখন,
একটি আলিফ বধ।
ব্যক্ষাঃ আস-শাহরান,,বলেছেন যে,,,
যখন পাকিস্থান কে ভারত ধ্বংশ করে দিবে তখন,,চিন(তিব্বত) তখন আবার ভারতকে ধ্বংশ করে দিবে। এবং,, তার পরপরই চিন কে আবার একটি দেশ ধ্বংশ করবে,বধ করবে। সে দেশটির নাম আরবীতে "আলিফ" হরফে শুরু।
প্যারাঃ (৩২)
★ চতূর্মূখী বজ্রাঘাতে সে
"আলিফ" হইবে নিঃশ্বেষ।
ইতিহাসে শুধুই থাকিবে নাম-
মুছে যাবে সেই দেশ।
ব্যক্ষাঃ আলিফ নামক দেশটি কে তারপর চতুর্মূখী আক্রমন চালানো হবে। যার ফলে ইতিহাসে শুধু ঐ দেশটির নামই কেবল থাকবে,,কিন্তু, তার বিন্দু পরিমান চিহ্নও থাকবেনা।
** উল্লেখ্য যে সেই আলিফ নামক দেশটির পুর্ন নাম হলো,, ""অ্যামেরিকা।"""..
# শাহ নেয়ামতউল্লাহ (র) - তার ক্বাসিদাহ-গ্রন্থে বলেছেন যে,,,
★এ রনে হবে আলিফ এরুপ,পয়মাল মিশমার,
মুছে যাবে দেশ,ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার।( ক্বাসিদাহ। ৫২)
যে বেঈমান দুনিয়া ধ্বংশ করিলো আপন কামে
নিপাতিত সে শেষকালে নিজেই জাহান্নামে।
(ক্বাসিদাহ।।৫৪)
* অতএব বোঝা গেলো,, অ্যামেরিকা নিঃচিহ্ন হয়ে যাবে।।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন হবে?
প্যারাঃ (৩৩)
★ বিশ্ব রনে কালো ধোয়ায়,,
অন্ধকার থাকিবে আকাশ।
দেখিবে তখন জগৎবাসি,,
দুখানের দশম বানীর প্রকাস।।
ব্যাক্ষাঃ লেখক আস শাহরান প্রকাশ করেছেন যে,, যখন,৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে,,ঐ যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে,, ধোয়ার কারনে আকাশ দিনের বেলায়ও অন্ধকার দেখাবে।। আর মানুষ সেই দিন সুরা আদ-দুখানের ১০ নং বানির বাস্তবতা দেখতে পাবে।
#মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,,
(( অতএব,,আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন,, যে দিন আকাশ সুস্পষ্ট ধোয়ায় ছেয়ে যাবে!
সুরাঃ আদ-দুকান। আয়াতঃ ১০))
প্যারাঃ (৩৪)
★ সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে
বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত।
দুই-তৃতীয়াংশ মানব হাড়াইবে প্রান,,
রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।
ব্যাক্ষাঃ এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধর সময় সাত(৭) মাস ধোয়ার কারনে পৃথিবি অর্ধ-অন্ধকার থাকিবে।
$# হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেন,,, কিয়ামতের বড় ১০ টি আলামতের মধ্যে,, একটি হলো,,
আকাশ কালো ধোয়ায় ছেয়ে যাবে))
# আর এই যুদ্ধের এই অবস্থার
কারনটা হয়তো,,আমরা সবাই বুঝতেই পারছি যে,, ২০২৫ সালে যদি এরুপ যুদ্ধ সংঘটিত হয়,,তাহলে, নিশ্চই তা,, অতি আনবিক, হাইড্রোজেন, পারমাণবিক সহ সকল প্রকার শক্তিসালি যুদ্ধ অস্র ব্যবহৃত হবে। যার বিষ্ফরনের ফলশ্রুতিতে,,
#পৃথিবির আকাশ ধোয়ায় ঘিড়ে যাবে।
# অসংখ্য অগনিত, মানব-দানব, পশুপাখি, গাছপালা মারা যাবে।।
# ফসল উৎপাদন হবে না।
## হাদিস অনুযায়ি ইমাম মাহদির প্রকাশের পুর্বে ২ ধরনের মৃত্যু দেখা যাবে।
(১) স্বেত মৃত্যু = ৩য় বিস্বযুদ্ধের কারনে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ১-২ বছর ফসল উৎপা দন না হওয়ার ফরে সংঘটিত দুর্বিক্ষ (খড়া) র কারনে।
(২) লোহিত মৃত্যু= যুদ্ধে রক্তপাতের কারনে মৃত্যু।
(( আল্লাহ আলিম))
আছছালামু আলাইকু।
ধন্যবাদ।
শুধু এশিয়া একজেট হয়ে পশ্চিমা মোড়লদের করলে ভালো হতো
ReplyDeleteআলহামদুলিল্লাহ
ReplyDeleteআলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর পোস্ট
ReplyDelete