♦আলোচনার বিষয়ঃ হিন্দুস্থান এর যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত হাদিছ ও তার সঠিক ব্যাক্ষা।♦
আছছালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
মুলত,,গাজোয়াতুল হিন্দের হাদিছ গুলো নিয়ে বারবার তর্ক বিতর্ক চলছে।
হ্যা বন্ধুরা হাদিছ গুলো আমারও জানা আছে।
কিন্তু হয়তো আমরা সঠিক ব্যাক্ষা সবাই জানিনা,বা একটু গভির ভাবে ভাবিনা।
তো এখন সেই সকল প্রবলেম সলভ করবো ইংশাল্লাহ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আপনাদের মতোবিরোধ করার আগে এটা প্রমান করতে চাই যে,
ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরানের নেতৃত্বে মুশরিক দের পতনের মাধ্যমে গাজোয়ায়ে হিন্দ হবেঃ
তারপর অন্য আলোচনাঃতো চলুন প্রথমতো হাদিছ গুলো দেখে নেইঃ
♦হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)- থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আখেরী জামানায়, ইমাম মাহদী র পূর্বে ইমাম মাহমুদ-এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে। তার যামানায় মহাযুদ্ধের বজ্রাঘাতে বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে,এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে। সে তার সহচর বন্ধু "সাহেবে কিরান বারাহ" কে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালোনা করবে-যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে।
তোমরা তাদের পেলে যানবে,ইমাম মাহদীরর প্রকাশের সময় হয়েছে।
(আসরে যুহরি,১৮৭ পৃঃ
তারিখে দিমাশাকঃ২৩৩ পৃঃ
ইলমে তাছাউফঃ ১৩০ পৃঃ
ইলমে রাজেনঃ ৩১৩ পৃঃ
বিহারুল আনোয়ারঃ ১১৭ পৃঃ)
উক্ত হাদিছ টি এই পাচটি গ্রন্থে উল্লেখ্য রয়েছে।
অধিকাংশ মুহাদ্দিছগন ব্যক্ত করেছেন,উক্ত হাদিছটি ছহিহ, কেউ কেউ বলেছেন,হাসান।)
♦
সাহল ইবনু সা'দ রাঃ বর্নিত,,,,তিনি বলেন, রছুল (ছ.)--বলেছেনঃ
অচিরেই পূর্ব দিকে এক ফিৎতনা সৃষ্টি হবে।আর তা হবে মুশরিকদের দ্বারা।
তখন মুমিনদের একটি দল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় আনবে।
আর তাদের সেনাপতি হবে ঐ সময়ের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি "সাহেবে কিরান"!
আর তাদের পরিচালনা করবে একজন ইমাম। যার নাম হবে "মাহমুদ""!
অবশ্যেই তারা "" মাহদীর ""আগমন বার্তা নিয়ে আসবে।
(তারিখুল বাগদাদ,১২২৯)
♦আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)বলেন, রছুল (ছ).বলেছেনঃ
ইমাম মাহদীর পূর্বে এক জন ইমামের আর্বিভাব হবে
,আর তার নাম হবে "মাহমুদ।"
তার পিতার নাম হবে আব্দুল।
সে দেখতে হবে খুবই দুর্বল।
,তার চেহারায় আল্লাহ মায়া দান করবেন।
আর তাকে সে সময়ের খুব কম লোকই চিনবে।
অবশ্যেই আল্লাহ সেই ইমাম ও তার বন্ধু -যার উপাধি হবে """সাহেবে কিরাণ"""--তাদের মাধ্যমে মুমিনদের একটা বড় বিজয় আনবেন""
( ইলমে রাজেন,৩৪৭.
কিতাবুল ফিরদাউস,৭৫৪.
ইলমে তাসাউফ,১২৫৩)
♦বুরায়দা রাঃ হতে বণিত।তিনি বলেন,আমি রছুল ছঃ কে বলতে শুনেছি,
খুব শিগ্রহই মুশরিকরা তাদের বন্ধু অঞ্চলের মুসলমানদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি করে দেবে,আর নির্বিচারে হত্যা করবে।
তখন সেখান কার দূর্গম নামক অঞ্চল তথা.
"বালাদি লিল উছরো"
থেকে একজন দুর্বল বালক তাদের মুকাবিলা করবে।
আর তার নেত্রিত্বেই মুমিনদের বিজয় আসবে।
।রাবি. বলেন,তিনি আরো বলেছেন,তার একজন বন্ধু থাকবে যার উপাধী হবে সৌভাগ্যবান।
(আস সুনানু ওয়ারিদাতুল ফিতান,১৭৯১, আসারুস সুনান, ৮০৩)
♦হযরত আনাস রাঃ বলেন,একদা রছুল ছঃ এর এক মজলিসে আমি আর বিলাল রাঃ বসা ছিলাম। সে সময়ে আল্লাহর রছুল ছঃ বিলাল রাঃ এর কাধে তার ডান হাত রেখে বললেন,হে বিলাল! তুমি কী জানো তোমার বংশে আল্লাহ এক উজ্জল তারকার জন্ম দিবেন?যে হবে সে সময়ের সবচেয়ে সভাগ্যবান ব্যাক্তি। অবশ্যেই সে একজন ইমামের সহচর হবে।রাবি বলেন,সম্ভবত রছুল ছঃ বলেছেন,সেই ইমামের আগমন,ইমাম মাহদীর পূর্বেই ঘটবে।
(আসারুস সুনান, ৩২৪৮)
প্রমান পেলেন যে ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে মুশরিক (মুর্তি পুজারীদের কাছ থেকে) ভারত দখল হবে।
♥গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যৎ বাণী (হাদিস)
♦হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাঃ বলেন, রছুল ছাঃ বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বদা একটি দল থাকবে, যারা হক্বের পথে যুদ্ধ করবে। তাদের সর্বশেষ দলটি দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়বে।(কিতাবুল ফিরদাউস হাদিছ নংঃ১১৬৭)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
মুলতো আমাদের কিছু ভাইদের ২ টা হাদিছ নিয়ে বেশি বাড়াবারি দেখতেছি,ও তারা আমার গবেষনার অপপ্রচার করতেছে। তাদের জন্যই নিচে ২ টি হাদিছ রাখলাম ও তার সঠিক ব্যাক্ষা দিলামঃ
♦হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “ অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেনন।
” এবং অতপরঃ তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায় (শামে) পাবে।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, “ আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ (সুবঃ) আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী ।”বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘ খুব কঠিন, খুব কঠিন ’ ।
(কিতাবুল ফিতান, ১২৩৬...মুসনাদে আহমাদ, শাইখ নাসের উদ্দিন আলবানী রহঃ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)
[[★★★উক্ত, ১ নং হাদিসে বলা আছে গাজওয়াতুল হিন্দের যোদ্ধারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আঃ) এর সাথে সাক্ষাত করবেন। মানে, গাজওয়াতুল হিন্দ এর পরপরই ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাব হবে।]]
হাদিছ ছহিহ। নিচের পড়াটি সম্পুর্ন করুন,তাহলে এই হাদিছ টির উত্তর পাবেন।
♦হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "বায়তুল মোকাদ্দাসের (জেরুজালেমের) একজন বাদশাহ ভারতের দিকে সৈন্য প্রেরণ করবে এবং সেখানের যাবতীয় সম্পদ ছিনিয়ে নিবে। ঐ সময় ভারত বায়তুল মোকাদ্দাসের (জেরুজালেমের) একটি অংশ হয়ে যাবে। তখন তার সামনে ভারতের সৈন্য বাহিনী গ্রেফতার অবস্থায় পেশ করা হবে। প্রায় গোটা পৃথিবী তার শাসনের অধীনে থাকবে। ভারতে তাদের অবস্থান দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত থাকবে"।
( আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৫)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
[[[হাদিছের ব্যাক্ষাঃ★★★, ২ নং হাদিসে বলা আছে জেরুজালেম এর বাদসার সৈন্যরা ভারত দখল করে,তারপর তারা দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে। অর্থাৎ, ভারত দখলের পরপরই দাজ্জালের আবির্ভাব হবেও তারা সিরায়া গিয়ে ইছা আঃ কে পাবে।]]]
এই হাদিছ অনুযায়ী, তাহলে অবশ্যই গাজোয়াতুল হিন্দের পুর্বেই, জেরুজালেম মুমিনদের দখলে থাকতে হবে। তা না হলে তো,,,, জেরুজালেম এর বাদশা মুসলমানদের সাহায্য করতে আসবেনা।
তাহলে কি হবে???
চলুন দেখি,,,,
♦হযরত জাবির রাঃ বলেন,রাসূল সাঃ বলেছেন,অভিশপ্ত জাতির নিকট থেকে হিন্দুস্থান বিজয়ের সৈনিকরা অর্থাৎ গাজোয়াতুল হিন্দের বিজয়ী সৈনিকরা জেরুজালেম দখলে নেবে।
আর তাদের সেনাপতি হবে শামীম বারাহ, যার উপাধী হবে সাহেবে কিরাণ।
(আখিরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১০০)
তাহলে বোঝা গেলো
গাজোয়াতুল হিন্দের পর এবং ইমাম মাহদির প্রকাশের পুর্বে শামিম বারাহ জেরুজালেম দখল করবেন।
_________________
তাহলে বোঝা যাচ্ছে,,,হিন্দুস্থান বিজয়ি সৈনিকরা সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে জেরুজালেম দখল করবে।
তারপর তাহলে কিভাবে আবার তারা হিন্দুস্থান দখল করবে?? কেননা, হিন্দুস্থান তো জেরুজালেম দখলের পুর্বেই দখল করা হবে।
এখানেই খটকা!
♥চলুন সমাধান খুজিঃ
বন্ধুরা এই হাদিছটির পর আমার মনে হয়না আর কোনো সমস্যা থাকতে পাড়ে।
তবে,,, যারা গোমরাহ তারা গোমরাহীতে লিপ্ত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
★★★
♦♦হযরত কা'ব( রাঃ) বলেন,আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি অচিরেই মুসলমানরা এক দূর্বল বালকের নেত্রিত্বে হিন্দুস্থান দখল করবে।আর এ যুদ্ধের ব্যপারেই তোমাদের প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে।আর আল্লহও এই যুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আর সেখান থেকেই আল্লাহ মুশরিকদের পতন করে পৃথিবিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।
একথা বলে তিনি সুরা ইব্রাহিম এর ৪৭ নম্বার আয়াত পাঠ করলেন।
সাহাবীগণ জিঙ্গেসা করলঃ হে আল্লহর রাসুল সা! তাহলে মানুষ দাজ্জালকে দেখবে কখন?তিনি বললেন,যখন জাহজাহ পৃথিবি শাষণ করবে তখন হিন্দুস্থান আবারও ইহুদীদের দখলে যাবে।আর তখন বায়তুল মুকাদ্দিস মুসলমানরা শাষন করবে।আর সেখান থেকে জাহজাহ কালোপতাকা নিয়ে এক দল সৈন্য হিন্দুস্থানে পাঠাবেন এবং হিন্দুস্থান দখল করে।তারা সেখানে ইসা ইবনে মরিয়ম আঃ এর আগমন পর্যন্ত অবস্থান করবে।আর আল্লহর নবি ইসা আঃ ৩৩ বছর পৃথিবি শাষণ করবে।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৭,
কিতাবুল আক্বিব,১০০,
আখীরুজ্জামানা আলমাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,২৩৫)
তাহলে উক্ত হাদিছ ও আনুসাঙ্গিক হাদিছ বলছে,, বলছে,,,,
মুসলমানেরা কালো পতাকা নিয়ে,একজন দুর্বল বালকের নেতৃত্বে মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করে বিজয় আনবে। যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আল্লাহ ও তার রছুল (ছাঃ)
সেই দুর্বল বালক হলেন,ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ।
এখানে হাদিছে গাজোয়াতুল হিন্দের কথা বলার পর রছুল (ছাঃ) সুরা ইব্রাহিমের ৪৭ নং আয়াত পাঠ করেছেন।
যেখানে বলা আছেঃ
♦সূরা ইব্রাহীম:47 - """অতএব আল্লাহর প্রতি ধারণা করো না যে, তিনি রসূলগণের সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করবেন নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।"""""
আয়াত টি পাঠ করার ২ টি কারন।
১)) এই আয়াতে মুমিনদের সাথে আল্লাহর গাজোয়াতুল হিন্দের বিজয়ের ওয়াদা পুরনের কথা বলা হয়েছে।ও মুশরিকদের উপর প্রতিশোধ গ্রহনের কথা বলেছেন।
২)) সুরা ইব্রাহিম প্রবিত্র কুরআনের ১৪ তম সুরা,
সুতরাং, ১৪ নং সুরা ও ৪৭ নং আয়াত=১৪৪৭.
আর হিজরী ১৪৪৭ সাল মোতাবেক,,, ইসায়ি ২০২৬ সাল।
তাহলে বুঝা গেলো ২০২৬ সালে আল্লাহর ওয়াদা পুর্ন হওয়া দেখা যাবে ও মুশরিক রাও ধ্বংস হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে,, আগামী কথন ও তাই বলে,,, যে,,, ২০২৪ সালে গাজোয়াতুল হিন্দ সুরু হয়ে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে। তারপর ২০২৬ সালে বিজয় সম্পুর্ন হবে।
আগামী কথন যে, শুধু হাদিছের সাক্ষিই দেয়না,কুরআনেরও সাক্ষ্য দেয়,, এটা তার ছোট্ট দৃষ্ট্রান্ত। এর পরও একদল অন্ধ বলবে,,, সেটা ভুল।মুলত তারা গোমরাহ।
তারপর সেই বিজয়ি সৈনিক রা কালো পতাকা নিয়ে সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে জেরুজালেম দখল করবেন।
তারপর ইমাম মাহদী জেরুজালেমে নিরাপদে ভ্রমন করবেন।
তার ইমাম মাহদির কিছু পর,, জাহজাহ এর শাষন আমলে হিন্দুস্থান (ভারত) কে আবার ইহুদিরা দখল করে নিবে।
তখন জেরুজালেম এর বাদশা মানে ইমাম জাহজাহ তার সৈন্যদের হাতে কালো পতাকা নিয়ে, হিন্দুস্থান দখল কারী ইহুদিদের সাথে যুদ্ধ করবে।
উক্ত যুদ্ধেও আবার হিন্দুস্থান দখল করবে মুমিন গন।
বলা চলে,,,আবারো একটা গাজোয়ায়ে হিন্দ হবে। আর ঐ সময়ের সৈনিকরা,,,, নেতাদের বেরি বা শিকল পরিয়ে নিয়ে শিরিয়ায় চলে যাবে।আর তারা সেখানে হযরত ইছা আঃ কে পাবে।।
তাহলে সবাই বুঝলেন যে,,,
ভবিৎষ্যতে গাজোয়ায়ে হিন্দ ২ বার হবে।
১))) ইমাম মাহদির পুর্বে। ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে। মুসরিক মালাউন দের বিরুদ্ধে+
২))) ইছা আঃ এর আগমনে কয়েক বছর পুর্বে, ইমাম জাহজাহ এর নেতৃত্বে,,ইহুদি দের বিরুদ্ধে।
আশা করি সবার সব ধারনা পরিষ্কার করতে পাড়লাম হাদিছ থেকে।
তাই আমরা বুঝবো যেখানে গাজোয়াতুল হিন্দে মুশরিক দের বিরুদ্ধ বলা আছে,সেটা ইমাম মাহমুদের সময় হবে।
আর যেটাতে সুধু হিন্দুস্থান বলা আছে ও জেরুজালেম এর বাদশার সৈন্যদের কথা বলা আছে সেটা ইমাম জাহজাহ এর সময়ে ইছা আঃ এর কিছু আগে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
এর মধ্যেও কি একটা কথা খেয়াল করেছেন??
শেষের হাদিছটির শেষের অংশে বলা হয়েছে,, ইছা আঃ আগমন ৩৩ বছর থাকবেন।
যদিও জানি,,,, ৪০ বছর থাকার একটা হাদিছ আছে,,তবে ৩৩ বছর থাকারও কিছু আরও হাদিছ আছে,, দেখুনঃ
♦♦হযরত মুয়াজ ইবনে যাবাল রাঃ বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন, মুসলমানদের শেষ বিজয় হবে মরিয়ম পুত্র ইসা আঃ এর মাধ্যমে আর তিনি ৩৩ বছর পৃথিবি শাষন করবে।তার পর আল্লহ এক শিতল বাতাস দিয়ে মুমিনদের মৃত্যু ঘটাবেন।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৩,আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,২২৮)
♦♦হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রাঃ বলেন,রাসুল সাঃ কে বলা হলো,হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আল্লহর নবি ইসা আঃ কত বছর পৃথিবি শাষন করবে?তিনি বললেন,৩৩ বছর।আর জান্নাতি যুবকদের বয়সও হবে ৩৩ বছর।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৫০৪)
♦♦পরিশেষে বলবো,,
ভাই বোন ও বন্ধুগন,,,, আমরা সাধারন নগন্য মানুষ,,, ইসলামের কতটুকুই বা জানি??? আর কতটুকুই বা মানি??
জানার কোনোই শেষ নেই।
তাই নিজেকে সব সময় অল্পজ্ঞানী ভাবতে হবে।
যখনি নিজেকে সবচেয়ে জ্ঞানি মনে করবেন,তখনি ঠকবেন।
তাই নিজের মত কে প্রতিষ্ঠার জন্য,অন্যকে তুচ্ছমুল্য করবেন না, বা বিরুদ্ধতা করবেন না, বরং জানার প্রচেষ্টায় থাকুন।
আল্লাহ সবাইকে জ্ঞান দান করুন আমিন।
এখন আমাদের মনে আরেকটি প্রশ্ন জাগে যে ?
♥ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে গাজোয়াতুল হিন্দ হবার পর আবারো ইমাম জাহজাহ এর শাষনামলে কিভাবে হিন্দুস্থান ইহুদীগন দখল করে নিবে??
এবং কিভাবেই বা হিন্দুস্থান আবারো মুমিনগন দখল করবেন??♥
___________________________________পাঠকগন,,,আপনারা জানেন যে, এ সময় ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান আমাদের আলোচনার একটি বড় অধ্যায়।
ইতপুর্বে কুরআনের আয়াত ও হাদিছ থেকে এবং, শাহ নেয়ামতউল্লাহর ক্বাসিদাহ ও আশ-শাহরান এর "আগামী কথন থেকে আমি বারবার প্রমান করেছি যে, ২০২৪/২৫ এর মধ্যেই সেই প্রথম বৃহত্তম ""গাজোয়াতুল হিন্দ"" সংঘোটিতো হবে ইংশাল্লাহ।
এবং উপরের লিখনীতে প্রমান করেছি,,,, ইমাম জাহজাহ এর সময়ও আবারও হিন্দুস্থান মুমিনদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
তবে,,,সেবার আর হিন্দু মালাউন গন হিন্দুস্থান দখল করতে আসবেনা। কারন,তাদের জাতীর কোনো চিহ্ন তখন থাকবেনা।
কেননা,,,পৃথীবির বুক থেকে হিন্দুদের চিরোতরে উৎখাত করা হবে ইমাম মাহদীর পুর্বেই,, ইমাম মাহমুদের নেতৃত্বে।
আর জাহজাহর সময় হিন্দুস্থান আবার ইহুদী গন দখল করবে ।
_________________♦♦♦♦♦♦_______________
♦তো চলুন জেনে নেই হাদিছের মাধ্যমেঃ
♥হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রহঃ) বলেন,আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি,,,রাসুলউল্লাহ( ছাঃ) বলেছেন,,,,,,
খুব শিগ্রহি হিন্দুস্থানের মুসরিকদের পতন হবে।আর তা হবে এক দূর্বল বালকের নেত্রিত্বে।।আর তার নাম হবে ♥মাহমুদ।♥ আল্লহ তার মাধ্যমে হিন্দুস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।অতঃপর তার মৃত্যুর পর তার এক প্রতিনিধির -- ইহুদীদের সাথে শান্তি চুক্তি হবে এবং ইহুদিরা হিন্দুস্থানের একটি অঞ্চল দখলে নেবে।
সাহাবীগন বলল,হে আল্লহর রাসুল সাঃ! তারা কী শান্তি চুক্তি রক্ষা করে সেখানে বসবাস করবে?তিনি(রছুল ছাঃ) বললেন,না।
বরং তারা চুক্তি ভঙ্গ করে প্রতারনা করে হিন্দুস্থান দখলে আনবে এবং সেখানে বসবাস করবে।
আবার জিঙ্গাসা করা হলো,হে আল্লহর রাসুল! মুসলমানগণ কী তাদের মোকাবেলা করবে না?তিনি বল্লেন,করবে।সে সময় মাহমুদের প্রতিনিধি বিশ্ব শাষকের নিকট সে ব্যপারে অনুমতি চেয়ে একটি পত্র পাঠাবে।তখন শাষক বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সেখানে একদল সেনা পাঠাবে এবং আবার ইহুদীদের পরাজিত করবে।
(কিতাবুল ফিরদাউস, ১৫৩৮, এবং১৭০৩,
কিতাবুল আক্বিব,১৩৭)
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
♥হযরত বিলাল ইবনে বারাহ (রাঃ) বলেন, রাসুল (ছাঃ) বলেছেনঃ
হিন্দুস্থান মুসলিমগন শাষন করবে।আবার তা মুশরিকরা দখল করবে এবং তারাই সেখানে তাদের সকল হুকুম প্রতিষ্ঠা করবে।আবার তা মুসলমানরা বিজয় করবে যাদের নেতা হবে ♥মাহমুদ ♥এবং সেখানে আল্লহর হুকুম প্রতিষ্ঠিত হবে।আর তা ইসা ইবনে মরিয়ম আঃ
পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
কিন্তু লা'নত ইহুদিদের প্রতি। একথা বলে তিনি (রছুল ছাঃ), রাগন্নিত হয়ে গেলেন।তার চেহাড়ায় রক্তিম চিহ্ন প্রকাশ পেল।
সাহাবীগন তাদের কন্ঠ নিচু করে বললেন,হে আল্লাহর রাসুল সেখানে ইহুদিদের কর্ম কী?
তিনি বল্লেন,অভিশাপ্ত জাতিরা মাহমুদের এক জন প্রতিনিধির সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং সেখানকার একটি অঞ্চল তাদের দখলে নেবে।
সাহাবীগণ!বললেন,তখন কী তারা (মোসলমানেরা)
অভিশাপ্ত জাতিদের মোকাবেলা করবে না?
তিনি বললেন,হ্যা করবে।আর তাদের সাহায্য করবে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেমের)একজন বাদশা।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৭০৮,কিতাবুল আক্বিব,১৩৮)
তো বন্ধুরা আপনারা জেনে নিলেন প্রশ্নের উত্তর যে,,, ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান-- ভারত দখল করার পর,, দির্ঘ্যদিন পর তা আবার কিভাবে ইহুদীরা দখল করবে।
মুলতো ঘটনা টা এমন হবে যে,,, ইমাম মাহমুদ যখন ভারত দখলে নিবে,,তার অনেক পর,, ইমাম মাহদী,ও ইমাম মাহমুদের ইন্তেকালের পর,,, ইমাম মাহমুদ এর কোনো একজন প্রতিনিধি বা খলিফার সময়, সেই খলিফা ইহুদি সম্প্রদায়েরর সাথে শান্তির চুক্তি করতে বাধ্য হবে।এবং,,,ইহুদীদের কে ভারতের একটা বড় অঞ্চল বসবাসের জন্য দিবেন।
কিন্তু অভিশপ্ত ইহুদী সম্প্রদায় চুক্তি ভঙ্গ করে,,,,, তারা গোটা ভারত কে কুট কৌশলের মাধ্যমে দখলে নিয়ে নিবে।
তখন ইমাম মাহমুদ এর সেই খলিফা,,, জেরুজালেমে বিশ্ব বাদশার কাছে একখানা চিঠি লিখে পাঠাবেন সেই সকল বিষয়ে।
সেই বাদশাহ তখন বায়তুল মুকাদ্দাস / জেরুজালেমে থাকবেন।
তখন চিঠি পড়ার পর,, বাদশা জেরুজালেম থেকে বিরাট একটি কালো পতাকাধারী দলকে ভারতের দিকে পাঠাবেন।
তখন উক্ত কালো পতাকা ধারী সৈন্যগন ইমাম মাহমুদের সেই প্রতিনিধির সাহায্যের জন্য হিন্দুস্থানে ইহুদীদের সাথে জিহাদ করবে।তাদের নেতা হবেন সেই জেরুজালেমেরই বাদশা,
যার নাম আমি গত পর্বে হাদিছে জানিয়ে ছিলাম।
তার নাম """জাহজাহ""".
সেই যুদ্ধ টাকেও গাজোয়াতুল হিন্দ বলা হয়েছে। কেননা,,,
গাজোয়া = যুদ্ধ
হিন্দ= হিন্দুস্থান /ভারত।
অর্থাৎ,,, হিন্দুস্থানের সাথে জিহাদ হলেই সেটাকে গাজোয়াতুল হিন্দ বলা যাবে।
তবে,,♦ বিষেস মর্যাদা হলো,ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরানের নেতৃত্বে হবে মুশরিক দের বিরুদ্ধে বৃহত্তম গাজোয়াতুল হিন্দ।
এবং ঐ সময় ইমাম জাহজাহ এর নেতৃত্বে হবে।।ছোট গাজোয়াতুল হিন্দ
ইংশাল্লাহ বুঝতে পেড়েছেন।।
____________♦_______
♦পাঠকগন, হয়তো আপনাদের সবার এ বিষয়ে সব সমস্যার সমাধান পেয়েছেন। কিন্তু আমার মতই আপনাদেরও কি একটি প্রশ্ন নতুন করে জন্ম নিয়েছে, মনের কোনে??
♦ইমাম মাহমুদের একজন প্রতিনিধি /খলিফার সময়কালে সে ইহুদীদের সাথে শান্তি চুক্তি করবে,,তারপর,, ইহুদীরা সেই চুক্তি ভেঙ্গে ভারত কে দখলে নিবে।
তাহলে সেই প্রতিনিধি /খলিফা কে????????
তিনি কি ইমাম মাহমুদের পরবর্তি প্রতিনিধি
♦শামীম বারাহ সাহেবে কিরান???♦
নাকি তার পরের কোনো এক প্রতিনিধির শাষনামলে???
তো চলুন এই প্রশ্নটিরও একটি উত্তর জেনে নেইঃ
__________________________
♥হযরত আনাস রাঃ বলেন, ---রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ---
হিন্দুস্থান মুশরিকদের থেকে মুমিনরা বিজয় করবে।আর তাদের নেতা হবে ♦মাহমুদ♦,
হিন্দুস্থানে সে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।আর তার সাভাবিক মৃত্যু হবে।
তখন ♦শামীম বারাহ♦ আল্লাহর হুকুমত অটল রাখবে এবং তার মৃত্যুর পর সুশিংখল ভাবে চলতে থাকবে।
এমন সময় এক প্রতিনিধির সাথে ইহুদীদের চুক্তি হবে এবং একটি অঞ্চলে তারা বসবাস করবে।অতঃপর, ইহুদীরা চুক্তি ভঙ্গ করে হিন্দুস্থান দখলে নেবে।তখন বায়তুল মুকাদ্দাসের (জেরুজালেমেরর) বাদশা ইহুদীদের পরাজিত করবে।
(কিতাবুল ফিরদাউস,১৭০৯,কিতাবুল আক্বিব,১৪০)
♦তো বন্ধুরা এই হাদিছ টি বলছে,ইমাম মাহমুদ হিন্দুস্থান দখল করবে, তারপর তার স্বাভাবিক মৃত্যু হবে।
তারপর শামীম বারাহ (সাহেবে কিরান) হিন্দুস্থানে আল্লাহর হুকমাত প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।
তারপর সাহেবে কিরানেরও মৃত্যু হবে এবং মৃত্যুর পরও দির্ঘ্যদিন যাবৎ সু-শৃঙ্খল ভাবে পরবর্তি দায়িত্ত্বশীলগন তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।তারপর কোনো এক খলিফার সময় ইহুদীদের সাথে চুক্তি করাটা জরুরি হবে।
তখন সে চুক্তি করবেন। তারপর ইহুদিরা চুক্তি ভেঙ্গে হিন্দুস্থান দখল করলে,,জেরুজালেমের বাদশা সৈন্য নিয়ে এসে তাদের সাথে জিহাদ করবেন।(দ্বিতীয় বৃহৎ গাজোয়াতুল হিন্দ) করবেন।।
আর তারপর আবারো হিন্দুস্থান মুমিনগন জয় করবেন।
ইনশাআল্লাহ।
আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
♥আছছালামু আলাইকুম♥
No comments:
Post a Comment