নবী রছুল গন ব্যতিত আর কেউ কি আল্লাহর আদেশ পায়না??
চলুন, কুরআন - ছহিহ হাদিছ -এবং কিছু সম্মানিত ওলী-আওলীয়াগনের জিবনী থেকে বিষটির সমাধান যানা যাকঃ
♦প্রথমে কুরআন থেকে জেনে নিবো, মুহাম্মাদ (ছাঃ) -এর পর কিয়ামাত পর্যন্ত আর কোনো ব্যাক্তির কাছে ফেরেস্তা বানী নিয়ে আসবে কি নাঃ
★ প্রবিত্র কুরআনে বর্নিত হয়েছেঃ"♥" তিনি(আল্লাহ)- স্বীয় নির্দেশে বান্দাদের মধ্যে যার কাছে ইচ্ছা, নির্দেশসহ ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব আমাকে ভয় কর।"
(সূরা নাহল:2)
উক্ত আয়াত বলে,,আল্লাহ নিজ হুকুমে যার কাছে ইচ্ছা তার কাছেই ফেরেস্তাদের পাঠান, যেনো সেই ফেরেস্তা ঐ বান্দাকে হুকুম দেয় যে,বাকিদের সতর্ক করে দাও! একমাত্র আল্লাহ কে রব হিসেবে মানতে।
আর কুরআন যেহুতু অতিত-বর্তমান-ভবিৎষ্যত বোঝায়,সেহুতু মুহাম্মাদ ছাঃ এর পরও কেউ জিব্রাঈল আঃ এর দাড়া বানি পেতে পারেন।
"♥"তোমাদের রব বলেন,তোমরা আমাকে ডাক,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো"
(ছুরা.মুমিন,।আয়াতঃ.৬০)।
ঃযেহেতু এই আয়াতে আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছে,সেহেতু ক ব্যতিত কারো ডাকে সাড়া দেয়া যায় কি ভাবে।
আমরা যেমন তাকে ডাকি,তিনি সুনতে পান, ঠিক তেমনি, তিনি সারা দিলেও আমাদের শুনতে পাবার কথা।
তাহলে নিশ্চই কেউ কেউ শুনতে পান(আল্লাহর সতর্ক কারি বান্দাগন)
আমি এই সুত্রটি এ কারনেই ব্যবহার করছি, কারন কুরআনের হিসাব একদিকেই হয়না,বহু হিসাব থাকে একটি রাশির মধ্যেই।
♦অনেকই আবার এই আয়াতকে রহিত করে বলে পারে,এটা নাবী ছ.এর আগের যুগের লোকদের জন্য।
তাদের জবাবে অন্যত্র বিস্তারিত ভাবে আল্লাহ তা আলা রছুল (ছ).কে বলেন,
♥"আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্বন্ধে তোমাকে প্রশ্ন করে,আমি তো (তখন তোমার) নিকটেই।প্রার্থানা কারী যখন আমার নিকট প্রার্থনা করে আমি তাহার প্রার্থনায় সাড়া দেই।সুতরাং তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক।"(ছুরাঃ,বাক্বরহ,আ.১৮৬)
উক্ত আয়াতে আবশ্যেই নাবী (ছ).এর উম্মাতদের বুঝিয়েছেন।
♥আল্লাহ তা আলা বলেন,
""যারা বলে, আমার প্রতিপালক আল্লাহ,অতঃপর চিন্তা মুক্ত থাকে,তাদের নিকট নাযিল হয় ফেরেস্তা এবং বলে, তোমরা ভিত হইও না,চিন্তিত হইও না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার জন্য আনান্দিত হও।
(হা মীম আস সাজদা,আ.৩০)
[উক্ত আয়াতে মুলত এটাই বোঝানো হয়েছে যখন কোনো সতর্ককারী বান্দা কে আল্লাহ কোনো তাগুত শক্তির বিরুদ্ধে পাঠায়, তখন ঐ মননিত বান্দাদের কথা বোঝানো হয়েছে।কারন ফেরেস্তারা সকল মুমিনদের সাথে কথা বলেন না,শুধুমাত্র নবুঅত বা বেলায়োত প্রাপ্তদের সাথে কথা বলেন।]
________________
____________________
প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্যঃ
♦আমরা জানি নবী-রাছুলগন ওয়াহী বা ঐশি ঘোষনা পেতেন।
♦ ঠিক তেমনি,, যারা ওলী আওলীয়া /বেলায়েত প্রাপ্ত তারাও ইলহাম বা ঐশী ঘোষনা পান।
♦প্রকৃত ঈমাণদার তথা আল্লাহর মননীত ব্যক্তিরা যে সপ্নযোগে ইলহাম পায়,তা বুখারী শরিফের "খাব" পর্ব দেখলে দলীল মেলে।
"তাছাড়াও তারা দ্বীনের সঠিক দাওয়াত দিতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হয়,কাজেই আল্লাহ পাক তাদের কাছে ফিরিস্তা দ্বারা গোপন ওয়াহী তথা ইলহাম পাঠান।"
ওয়াহী দু প্রকারঃ
( ১.)প্রকাশ ঘোষণা যা কুরআন,/অন্যান্য ঐশীগ্রন্থ।--ওয়াহীয়ে মাতলু।
(২,) গোপন ওয়াহী,যা ওয়াহীয়ে গইরী মাতলু,(হাদিছ তথা --ইলহাম)--[,দেখুন তাওহীদ প্রকাশনীর ভুমিকা। ]
আর ইলহাম হলো তিন প্রকারঃ
(১)সরাসরি ইলহাম(যা ফেরেস্তা কর্তৃক)
(২) স্বপ্ন যোগে ইলহাম(যা আল্লাহ স্বপ্ন যোগে জানান)
(৩) অন্তর্করন ইলহাম(যা মনের মধ্যে থেকে বারবার স্মরন হয়)
♦ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেনঃ "ইলহাম হলো এক ধরনের গোপন ওয়াহী।"
(ফাতহুল বারীঃ ৬৯৯৩)
_______________
__________________
♦হাদিছ থেকে কিছু তথ্যঃ♦
এ প্রসঙ্গে প্রথমে কিছু কথা বলিঃআমরা যানি কিয়ামতের পুর্বে পুনরায় দুনিয়াতে আগমন হবে হযরত ইছা (আঃ)...এর।
এখন কথা হলো আমরা যানি,
যদিও ইছা (আঃ) পুর্বে নবী+রছুল ছিলেন।
কিন্তু যেহুতু মুহাম্মাদ (ছাঃ) এর পর আর কোন নবী/রছুল আসবেন না-সেহুতু ইছা আঃ ও তার নবুঅত হাড়িয়েছেন,আকাশে উঠে যাবার সাথে সাথেই।
তিনি এ উম্মতের একজন মুজাদ্দিদ/ইমাম/ নেতা হিসেবে আসবেন।
নবুঅত রেখে বেলায়েত নিয়ে আসবেন।
[একটি সুত্রঃ নবুঅত বা রেসালাত ব্যাতিত বা নবী রছুল ব্যতিত আর কেউই ওয়াহী পাবেন না।আর যেহুতু মুহাম্মাদ (ছাঃ) এর সাথে সাথেই নবুঅতেরর দরজা বন্ধ হয়ে গেছে সেহুতু, ওয়াহীর ধারাও বন্ধ হয়ে গেছে, সে হিসাবে ইছা আঃ আবার যখন আসবেন তখন তিনি কিন্তু আর ওয়াহী পাবেন না।]
★এবার চলুন দেখি হাদিছ কি বলে ?
বইঃ সহিহ হাদিসে কুদসি, অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ, হাদিস নম্বরঃ ১৬২
১৬২. নাওয়াস ইবনু সাম‘আন বলেন, কোন এক সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাজ্জালের উল্লেখ করলেন, তাতে তিনি আওয়াজ নিচু ও উঁচু করছিলেন, এমনকি আমরা তাকে (দাজ্জালকে) প্রতিবেশীর খেজুর বাগানে ধারণা করেছিলাম।
[হাদিছ বড় হবার কারনে প্রাসঙ্গিক অংশ টুকু উল্লেখ করা হলো]
দাজ্জাল এরূপ করতে থাকবে, এমতাবস্থায় আল্লাহ মাসিহ ইবনু মারইয়াম_কে প্রেরণ করবেন, তিনি দামেস্কের পূর্ব দিকে সাদা মিনারের কাছে অবতরণ করবেন দু’টি কাপড় পরিহিত অবস্থায় ফেরেশতাদের ডানার ওপর তার দু’হাত রেখে। যখন তিনি মাথা নিচু করবেন (বৃষ্টির ন্যায়) পানি টপকাবে, যখন তিনি মাথা উঁচু করবেন মুক্তোর ন্যায় শ্বেত পাথর পড়বে, (অর্থাৎ পরিষ্কার পানি)। কোন কাফের এর পক্ষে সম্ভব হবে না তার শ্বাসের গন্ধ পাবে আর বেচে থাকবে, তার শ্বাস সেখানে যাবে যেখানে তার দৃষ্টি পৌঁছবে। তিনি তাকে সন্ধান করবেন অবশেষে ‘লুদ্দ’ নামক দরজার নিকট তাকে পাবেন, অতঃপর তাকে হত্যা করবেন।
★অতঃপর ঈসা আলাইহিস সালাম এক কওমের নিকট আসবেন, যাদেরকে আল্লাহ দাজ্জাল থেকে নিরাপদ রেখেছেন, তিনি তাদের চেহারায় হাত ভুলিয়ে দিবেন এবং জান্নাতে তাদের মর্তবা সম্পর্কে তাদেরকে বলবেন।
★★★ এমতাবস্থায় আল্লাহ ইছা (আঃ) -এর নিকট বানী পাঠাবেন,এই মর্মেঃ
[বন্ধুরা উপরের কথাটি আবার খেয়াল করুন]
★★★এমতাবস্থায় আল্লাহ ইছা (আঃ) -এর নিকট বানী পাঠাবেন,এই মর্মেঃ
আমি আমার এমন বান্দাদের বের করেছি(ইয়াজুজ-মাজুজ) যাদের সাথে যুদ্ধ করার সাধ্য কারো নেই, অতএব তুমি আমার বান্দাদের নিয়ে তুর পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ কর,
এরপর আল্লাহ ইয়াজুজ ও মাজুজকে প্রেরণ করবেন, তারা প্রত্যেক উঁচু স্থান থেকে ছুটে আসবে। তাদের প্রথমাংশ পানিতে পূর্ণ নদীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, তারা তার পানি পান করে ফেলবে। তাদের শেষাংশ অতিক্রম করবে ও বলবে: এখানে কখনো পানি ছিল। আল্লাহর নবী ঈসা ও তার সাথীগণ তুরে আটকা পড়বেন, অবশেষে গরুর একটি মাথা তাদের নিকট বর্তমানে তোমাদের একশো দিনার থেকে উত্তম হবে। অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা ও তার সাথীগণ আল্লাহর নিকট মনোনিবেশ করবেন, ফলে আল্লাহ তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজের) গ্রীবায় গুটির রোগ সৃষ্টি করবেন, ফলে তারা সবাই এক ব্যক্তির মৃতের ন্যায় মৃত পড়ে থাকবে। অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা ও তার সাথীগণ আল্লাহর হুকুমে যমীনে অবতরণ করবেন।
[হাদিছের মানঃছহিহ]
♦উপরের হাদিছ বলছে ইয়াজুজ -মাজুজ বের হবার আগে হযরত ইছা( আঃ) আল্লাহ আদেশ দিবেন, তার কাছে বানি পাঠাবেন। সেই বানী পেয়ে তিনি সঙ্গিদের নিয়ে ,তুর পাহাড়ে যাবেন।
★ এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ
ইছা (আঃ) তো নবী বা রছুল হয়ে আসবেন না। তিনি আসবেন আওলীয়া/ইমাম/মুজাদ্দিদ(সংসাকারক) হয়ে, তাহলে তিনি সরাসরি জিব্রাইল কর্তৃক বানি পাবেন কি ভাবে??
তা কি "ওয়াহী"?
কিন্তু ওয়াহীর ধারা তো বন্ধ হয়েগেছে।
তাহলে তা হলো "ইলহাম"।
যা ইছা ( আঃ) পর্যন্ত চলবে।
এটা সরাসরি ইলহাম।বা জিব্রাইল আঃ এর মুখের কথা।
কিন্তু পার্থক্য হলো এটাকে ইলহাম বলতে হবে। ওয়াহী বললে গোনাহ হবে।
যেমনঃ কোনো নবী কে রছুল বললে গোনাহ হবে।
তাই সরাসরি ইলহাম আর ওয়াহীর মধ্যে তোনো তফাৎ নেই। কিন্তু মর্যাদার কারনে ইলহাম আর ওয়াহী "" দুটি ভিন্ন নামে ডাকা হয়।
♦এছাড়াও আমরা জানি ইমাম মাহদির নিকট জিব্রাইল আঃ আসবেন। বানী নিয়ে, তাছাড়াও বায়াত দেবার সময় জিব্রাঈল আঃ ইমাম মাহদির পাশেই থাকবেন।
[আল ফিতানের বর্ননা]
এছাড়াও আরও বহু সুত্র বলে মুহাম্মাদ ছাঃ এর পরও জিব্রাঈল আঃ বানী নিয়ে আসবেন কিছু মননিত বান্দাদের নিকট।
____________
____________________
♦এবার কিছু আওলীয়াদের জিবনি থেকে জেনে নেইঃ
নবুঅত ছাড়াও বেলায়েতের মাধ্যমেও, আল্লাহর পক্ষ থেকে জিব্রাঈলের মাধ্যমে আল্লাহর বানী পাবার কিছু প্রমানঃ
♥আমরা জানি প্রবিত্র কুরআনে একজন সম্মানীত বান্দা "যুলকার নাইন"- এর কথা এসেছে,। আল্লাহ বলেনঃ- "'আমি(আল্লাহ) বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।""
(সুরা কাহফঃ আয়াতঃ৮৬)
এখন কথা হলো যুলকার নাইন কোনো নবী বা রছুল ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ইমানদার বাদশাহ, মুজাদ্দিদ বা ধর্ম সংস্কারক। ইমাম/নেতা।
তাহলে নবী/রছুল না হয়েও,, যুলকার নাইন এর কাছে জিব্রাঈল আঃ আসতেন আল্লাহর বানী নিয়ে। কিন্তু তা তো ওয়াহী ছিলো না।
কেননা,,,,,ওয়াহী একমাত্র নবী-রছুলগন পেতেন।
তাহলে এই বানী কে আমরা কি ধরবো???
এটাই "ইলহাম""...
যা আওলীয়া গন পেয়ে থাকেন।
___________________
♥আসহাবে কাহফের, সেই গুহাবাসি যুবক দের মধ্যে কেউ ই কিন্তু নবুঅতের অধিকারী বা নবী-রছুল ছিলেন না।
কিন্তু কুফুরি শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলার পর,তাদের যখন অত্যাচার করা হয়,এবং পরবর্তিতে তারা সেখান থেকে লুকিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়, সেখানে তাদের মধ্যে যে যুবক টি তাদের ইমাম বা আমির / নেতা ছিলো তিনি আল্লাহর বানী পান এই মর্মে যেঃ
"তোমরা গুহায় আশ্রয় নাও।যাতে করে আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করতে পারেন"
আর তারপর,তারা আল্লাহর আদেশ মতই গুহায় আশ্রয় নেয়।
এখন কথা হলোঃ নবী না হয়েও ঐ ব্যাক্তি কিভাবে আল্লাহর হুকুম পেলেন??
সেটা তো ওয়াহী নয়।
সেটাই ইলহাম।
ওয়াহীর মতই। কিন্তু যেহুতু তিনি নবি ছিলেন না।সেহুতু
সেটা "ইলহাম".
যা আওলীয়া গন পেয়ে থাকেন।
♥আমরা প্রবিত্র কুরআনে যানতে পাড়ি যে, হযরত মূছা (আঃ) - এর জন্মের পর, যখন তার জিবনের ঝুকি আসলো,
তখন হযরত মুছা (আঃ)- এর মা /জননীর কাছে আল্লাহ বানি পাঠান।
"''- আমি মূসা-জননীকে আদেশ পাঠালাম যে, তাকে স্তন্য দান করতে থাক। অতঃপর যখন তুমি তার সম্পর্কে বিপদের আশংকা কর, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ কর এবং ভয় করো না, দুঃখও করো না। আমি অবশ্যই তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে পয়গম্বরগণের একজন করব।"
("সূরা আল কাসাস:7)
এখন কথা হলো হযরত মুছা আঃ এর মা তো নবী ছিলেন না। তাহলে তিনি আল্লাহর বানি কিভাবে পেলেন??
সেটা তো ওয়াহী নয়।
সেটাই ইলহাম।
ওয়াহীর মতই। কিন্তু যেহুতু তিনি নবি ছিলেন না।সেহুতু
সেটা কে বলতে হবে "ইলহাম".
যা আওলীয়া গন পেয়ে থাকেন।
♥হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ)- এর জিবনী থেকে জানা যায় তিনি বহুবার আল্লাহর পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনা পেতেন।
♥♥শাহ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ তিনি যে ক্বাসিদাহ রচনা করেছেন, তা কালে কালে ফলে গেছে। আর আস-শাহরান ও তার আগামী কথন নামক ক্বাসিদাহ টিতে সাল সমেত ভবিৎষ্যত বানি করেছেন।
অনেকের ধারনা তাদের এই ক্বাসিদাহ এবং আগামী কথন টি আবু হুড়াইয়া (রাঃ) এর গোপন ব্যাগের হাদিছ থেকে নেওয়া। কথাটি কিছুটা ভুল।
কেননা। হাদিছে ঘটনা উল্লেখ থাকলেও দিনক্ষণ -সাল উল্লেখ থাকেনা।
যা এই ক্বাসিদাহ এবং আগামী কথনে রয়েছে।
আর তারা ২ জনই উল্লেখ করেছেন তারা গায়েবী মদদে বা আল্লাহর সাহায্যে খবর পেয়ে লিখেছেন।
তাহলে এটাও বোঝা গেলো, তারাও ইলহাম পেতেন।
অর্থাৎ,জিব্রাঈল (আঃ)- এসে ভবিৎষ্যতবানি বলে দিয়ে যেতেন।যা তারা কবিতায় রুপ দিয়েছেন।
♥এছাড়াও এই উম্মতের শেষ ভাগে যদি ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান আসেন, তাহলে নিশ্চই তাদের ও আল্লাহর দিক নির্দেশনা মতাবেকই কাজ করতে হবে।
কেননা, তারা বিরাট একটি দায়িত্ব, "গাজোয়াতুল হিন্দ"-এর জিহাদে নেতৃত্বদান করবেন। সেহুতু তারাও সরাসরি জিব্রাঈল আঃ এর কাছ থেকে আল্লাহর বানি পাবেন। দিকনির্দেশনা মুলক।
♥তাছাড়া ইমাম মাহদী যখন গোটা বিশ্বশাষন করবেন,তখন তারও আল্লাহর পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা মুলক বানী লাগবে।আর তিনি তা পাবেন সেটাও প্রমানিত।
♥এমন কি ইছা( আঃ)- পরবর্তিতে নবী না হয়েও আল্লাহর বানী পাবেন।(ইলহাম) যেটা দিকনির্দেশনা মুলক বানি !
________________
_________________________
♥যা শিখলামঃ এখনো আল্লাহর মনননীত বান্দাগন আল্লাহর পক্ষ থেকে বানি পান। যেমন নবী রছুল গন পেতেন। কিন্তু পার্থক্য হলো তাকে "ওয়াহী " না বলে "ইলহাম" বলতে হয়।
♦উপরের তথ্যে কোন ত্রুটি থাকলে পরবর্তিতে সংশোধনের জন্য অবগত করবেন♦তবে যেহুতু উপরের তথ্য গুলো কুরআন হাদিছ থেকে নেওয়া। ভুল প্রমান করতে চাইলে কুরআন ও হাদিছ থেকে দলিল দিবেন।♦এবং আপনাদের মন্তব্য জানাবেন♦
ধন্যবাদ
♥আছছালামু আলাইকুম♥
No comments:
Post a Comment