♥ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ♥
ও ♥সাহেবে কিরান ♥ কে
♥ চেনার উপায়♥
আছছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আশা করি আল্লাহ - সবাই কে ভালো রেখেছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এমন একটি হাদিছ নিয়ে যেটার ব্যাক্ষা তে আপনারা,, সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ-এর পরিচয় জানতে পারবেন। এবং যখন সাহেবে কিরান ও হাবিবুল্লাহ হিসেবে কেউ দাবি করবে, তখন তাদের কে এই সুত্র দ্বাড়া বিচার করে দেখবেন যে, হাদিছের সাথে দাবিদার দের সুত্র মিলছে কি না!
আর এই পর্বের মাধ্যমে, আপনারা হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান কে সঠিক সময়ে সনাক্ত করতে পারবেন।( ইংশাল্লাহ)
তো চলুন শুরু করা যাকঃ
""বন্ধুরা আমি ইতপুর্বেও আপনাদের মাঝে দলিল সহ প্রমান করেছি যে,"", ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ""এবং তার প্রিয় বন্ধু"" সাহেবে কিরান"" এদেশ থেকেই প্রকাশিত হবেন।
আমার পুর্বের পোষ্ট গুলোতে দেখেছি, অনেকেই তাদের সন্দেহ অনুযায়ি, অনেককেই "ইমাম মাহমুদ" বলে সন্দেহ পোষন করেছেন।। কিন্তু সুত্র দ্বাড়া হিসাব করে দেখেছি,সে বা তারা ইমাম মাহমুদ নয়।
তখন প্রশ্ন জাগলো,এই "ইমাম মাহমুদ " বা ""'কিরান বারাহ'"- কে চেনার কি কোনোই উপায় নেই??
হাদীছে কি আছে এ ব্যাপারেঃ♦ (১)সাহল ইবনু সা'দ রাঃ বর্নিত,,,,তিনি বলেন, রছুল (ছ.)--বলেছেনঃ
অচিরেই পূর্ব দিকে এক ফিৎতনা সৃষ্টি হবে।আর তা হবে মুশরিকদের দ্বারা।
তখন মুমিনদের একটি দল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় আনবে।
আর তাদের সেনাপতি হবে ঐ সময়ের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি "সাহেবে কিরান"!
আর তাদের পরিচালনা করবে একজন ইমাম। যার নাম হবে "মাহমুদ""!
অবশ্যেই তারা "" মাহদীর ""আগমন বার্তা নিয়ে আসবে।
(তারিখুল বাগদাদ,১২২৯)
[ব্যাক্ষাঃ
♦সাহল ইবনু সা'দ রাঃ বর্নিত।তিনি বলেন, রছুল ছ.বলেছেন,অচিরেইপূর্ব দিকে এক ফিৎতনা সৃষ্টি হবে।
(দ্বিতিয় কারবালা)
♦আর তা হবে মুশরিকদের দ্বারা,(মালাউন বাহিনি+মুনাফিক বাহিনি)
♦তখন মুমিনদের একটি দল তাদের বিরুদ্বে যুদ্ধ করে বিজয় আনবে,! অর্থাৎ, হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরানের দল।
★এই হাদিছ থেকে ২টি বিষয় বিশেষ লক্ষনীয়ঃ
1(আর তাদের সেনাপতি হবে ঐ সময়ের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি "সাহেবে কিরান"!
আর তাদের পরিচালনা করবে একজন ইমাম। যার নাম হবে মাহমুদ।)
এখন বোঝা গেলো,,,,,, যুদ্ধের সময় সেনাপতি হবেন "সাহেবে কিরান"-- হাবিবুল্লাহ নয়!
এবং 2#অবশ্যেই তারা মাহদীর আগমন বার্তা নিয়ে আসবে।
তাহলে বোঝা গেলো,তাদের প্রকাশের কিছু বছরের মধ্যেই মাহদী আসবেন।]
এখন চলুন দ্বিতিয় হাদিছ টি দেখে নেইঃ
♦♦আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)বলেন, রছুল (ছ).বলেছেনঃ
ইমাম মাহদীর পূর্বে এক জন ইমামের আর্বিভাব হবে
,আর তার নাম হবে "মাহমুদ।"
তার পিতার নাম হবে আব্দুল।
সে দেখতে হবে খুবই দুর্বল।
,তার চেহারায় আল্লাহ মায়া দান করবেন।
আর তাকে সে সময়ের খুব কম লোকই চিনবে।
অবশ্যেই আল্লাহ সেই ইমাম ও তার বন্ধু -যার উপাধি হবে """সাহেবে কিরাণ"""--তাদের মাধ্যমে মুমিনদের একটা বড় বিজয় আনবেন""
( ইলমে রাজেন,৩৪৭.
কিতাবুল ফিরদাউস,৭৫৪.
ইলমে তাসাউফ,১২৫৩)
[[[ব্যাক্ষাঃ হাদিছ টি বলছেঃ ইমাম মাহমুদ-- ইমাম মাহদির আগেই আসবেন এবং ইমাম মাহমুদের পিতার নাম হবে আব্দুল।
(উল্লেখ্য যে পুর্বে ১ টি হাদিছে বলা হয়েছিলোঃ মাহদির পিতার নামের সাদৃশ্য হবে মাহমুদের পিতার নাম।
আমরা জানি মাহদির পিতার নাম ="আব্দুল্লাহ"
আর মাহমুদের পিতার নাম=আব্দুল)
★★বিষেস লক্ষনীয়ঃ★★
হাদিছ বলছে ""মাহমুদ দেখতে হবে খুবই দুর্বল"".
তার মানে কী বোঝায়??
সে দেখতেই হবে দুর্বল। তাহলে বোঝা যাচ্ছে ইমাম মাহমুদ এর কোনো শারীরিক দুর্বলতা থাকবে।যার কারনে তাকে দেখতে দুর্বল লাগবে।
আর প্রথম হাদিছটি বলছে ""
★যুদ্ধের সেনাপতিত্ত্ব করবেন "সাহেবে কিরান".
মাহমুদ নয়।
তবে দল কে পরিচালোনা করবেন/সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন ইমাম মাহমুদ।
আর আগামী কথন" ক্বাসিদাহটিতে বলা আছেঃ
("হাবিবুল্লাহ প্রেরিত আমীর।
সহচর তার সাহেবে কিরান।
কিরানের হাতে থাকিবে জিহাদের,
কুদরতি অস্র "উসমান".)
এই প্যারাটার ব্যাক্ষা তে বলা আছেঃ
গাজোয়াতুল হিন্দের যুদ্ধের প্রধান অস্রটি "সাহেবে কিরান" - ব্যবহার করবেন।
ইমাম মাহমুদ নয়।
হাদিছ আর সকল সুত্র বলছে ইমাম মাহমুদের কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকবে।
(ওয়াল্লাহু আলাম)
তবে,, কি ধরনের দুর্বলতা তা জানা যায়না। তবে যাই হোক তাকে দেখলে সাধারন মানুষের চেয়েও দুর্বল মনে হবে।
♦ বন্ধুরা ঘাবড়াবেন না। এমন কিছু হলেও অবাক হবার কোনোই কারন নেই।
কেননা, আপনি কি জানেন নাহ যে একজন সন্মানিত রছুল মুছা( আঃ),,, যার কথা কুরআন মাজিদে বারবার এসেছে, সেই মুছা (আঃ)- এতটাই তোতলা ছিলেন যে,তিনি তার মনের ভাব মুখ দিয়ে প্রকাশ করতে পারতেন না। (অধিকাংশ সময়)
তাইতো তিনি দোয়া করলেন, তার ভাই হারুনের জন্য যেঃ হে আল্লাহ! আমার মুখে জরতা! সবাই আমার কথা বোঝেনা। তাই আপনি হারুন কেউ কবুল করুন যেনো, সে আমাকে সহযোগিতা করে।
আর আল্লাহ মুছা (আঃ)- এর দোয়া কবুল করলেন এবং হারুন কে রেছালত ও নব্যুয়ত দানন করলেন।
তাই খেয়াল করে দেখবেন যে,,যেখানেই মুছা আঃ এর কাহিনি সেখানেই হারুন আঃ এর পাঠ আছে।কারন মুছা আঃ-এর দুর্বলতার জন্য হারুন আঃ কাজ/দ্বায়ীত্ত্ব বেশি ছিলো।
(সুরাঃ ত্বোয়া-হা। আয়াতঃ ২৭-৩৭)
এমন কি ইমাম মাহদিও মুছা আঃ এর মতই তোতলা হবেন। তিনি যখন কথা বলবেন,তা বেধে যাবে এবং কথা বের হবেনা,তার কারনে তিনি তার হটুর উপর হাতের তালু দিয়ে আঘাত করতে থাকবেন।
তার কারনেই তার সাথে তার প্রিয় বন্ধু"" শুয়াইব ইবনে ছালেহ"- থাকবেন।
(আবু দাউদঃমাহদির বর্ননা)
তাই বোঝা যায়,ইমাম মাহমুদ ও তাহলে কোনো না কোনো দুর্বলতায় ভুগবেন,যার কারনেই, সাহেবে কিরানের এতটা মর্যাদা / এত দায়িত্ব।
তবে, যেহুতু হাদিছে বলছে,সেনাপতি হবে "সাহেবে কিরান" আর গাইডলাইন দিবেন ইমাম মাহমুদ
সেহুতু আমার ধারনা, তার হাত বা পায়ে কোনো সমস্যা থাকবে। পুর্নশক্তি থাকবেনা/ দুর্বলতায় ভুগবেন
(আল্লাহ অধিক অবগত,, কোন ভুল হলে আল্লাহ মাফ করুন)
♦ হাদিছ বলছে ইমাম মাহমুদের শরীর দুর্বল হলেও চেহাড়া হবে ""মায়াবী""। দেখেই মায়া হবে।
তার মানে কিন্তু এই না যে,তার শরীরও দুর্বল হবে,চেহারায় মায়াবী রেখা থাকবে, তাহলে কি তাকে অত্যাচার করা হবেনা?
কক্ষনই না।কেননা, ইতিহাস বলে, মুহাম্মাদ( ছাঃ) এবং ইউসুফ (আঃ)- দুইজন শ্রেষ্ঠ সুন্দর পুরুষ। তাদেরকেও কি কঠিন অত্যাচার করেছিলো পাষান হৃদয়ের কাফিরগন। এবার তো ঐ সুন্দর নয়,তাহলে কেমন হবে???
♦আর ইমাম মাহমুদ কে তার জামানার খুবই কম মানুষই চিনবে।অর্থাৎ,তিনি কোনো হাইপ্রোফাইলের, কেউ হবেননা। সাধারন পাবলিক হবেন।যদি ইতিহাস দেখি তাহলে জানতে পারবো ৯৫% নবী রছুল,আওলিয়া গন সাধারন জনগন ছিলেন।সে সময়ের আলোচিত, কোন ব্যাক্তি ছিলেন না।
♦হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরানের হাত ধরে, মুসলমানদের বড় একটা বিজয় গাজোয়াতুল হিন্দের বিজয় আসবে।ইংশাল্লাহ।
♦ পরিশেষে দুইটি হাদিছই বলছে তাদের আগমন হলে বুঝতে হবে মাহদী খুবই সন্নিকটে।
আলহামদুলিল্লাহ।
আরো একটি বিষয়ঃ ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান,, যে ২০২১ এর পুর্বে প্রকাশ পাবেন না, তার কিন্তু কোনো গ্যারান্টি নেই।
তারা যে কোনো মুহুর্তে প্রকাশিত হতে পারেন।
আজও/কালও/ ১ বছর পরও/ ২১ সালেও।
তবে চুরান্ত যেহুতু ২৪সাল আর জিহাদের পুর্বে বহু নির্যাতন করা হবে সেহুতু সে ৩-৪/৫-৬ বছর আগে প্রকাশ পাওয়াটা কোনো বিস্ময়ের বিষয় নয়।
ইতিহাসও তাই বলে,
সুতরাং সর্বদা চোক কান খোলা রাখুন।
আর কেউ যদি নিজেকে ইমাম মাহমুদ বলে দাবি করে
তাকে নিচের ১০ টি পয়েন্টের সাথে মিলিয়ে নিয়েই কেবল বিশ্বাস করবেনঃ
(১) তার নাম "মাহমুদ"- কি না।
(২) তার পিতার নাম "আব্দুল" কিনা।
(৩) তাকে দেখতে" দুর্বল "কিনা!
(৪) তার কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কিনা।(কেননা,, হাদিছ বলছে তিনি শারিরিক সমস্যা জনিত কারনে দুর্বল হবেন,সাধারন মানুষের চেয়েও)
(৫) জন্মভুমি এই দেশে কি না।
(৬) তার জেলার নাম কি??
সেই জেলার বর্তমান বা পুরাতন নামের অর্থ কি "দুর্গম" হবে কি না???
(৭) তার চেহাড়া ""মায়াবী "" কী না??
(৮) তাকে কি অনেক মানুষ চেনে না কি চেনে না??
(কেননা, তাকে ইমাম মাহমুদ হিসেবে নয়,,সাধারন মানুষ হিসেবেই বেশি পরিচিত হবেনা সে)
(৯) সে সাধারন কোনো পরিবারের সন্তান হবেন।
(১০) তার একজন ঘনিষ্ট প্রিয় বন্ধু থাকতে হবে যার নামের প্রথম হরফ হবে আরবীতে
"শীন" - হরফে বা বাংলাতে "শ" দিয়ে।
(তিনি হবেন সাহেবে কিরান।)
_____=_________________
যদি উক্ত ১০ টি পয়েন্টের সাথে দাবিদারের হুবহু মিল পাওয়া যায়,তাহলে তাকে ইমাম মাহমুদ বলে মান্য করা যাবে।(ইংশাল্লাহ)
আল্লাহ আমাদের কে সঠিক"" সাহেবে কিরান"" ও ""হাবিবুল্লাহ ""-কে চেনার এবং তাদের দলে যোগদানের তাওফিক দান করুন।
আমিন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আছছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
বিভ্রান্তিকর বর্ণনা করে কি মজা পান ?
ReplyDeleteইমাম মাহমুদের ফিতনা পর্ব – ১ | দাবী ও পরিচিতি
Deletehttps://abuammarsaifullah.blogspot.com/2023/08/blog-post.html
তাকে চেনার আরো ভালো কিছু উপায় আছে।
ReplyDeleteইমাম মাহমুদের ফিতনা পর্ব – ১ | দাবী ও পরিচিতি
ReplyDeletehttps://abuammarsaifullah.blogspot.com/2023/08/blog-post.html